সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : নুসরাত ইমরোজ তিশা

‘চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করি’

‘চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করি’
জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। তবে গান দিয়েই শুরু হয়েছিল পথচলা। তিনি বড় পর্দায়ও সবার কাছে সমান জনপ্রিয়। বেশকিছু দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দেওয়ার পর আবারও তিনি নতুন কিছু ছবি নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করতে হাজির হচ্ছেন। মুক্তি প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন-  পান্থ আফজাল

 

দীপঙ্কর দীপনের নতুন ছবি ‘ঢাকা ২০৪০’-তে যুক্ত হয়েছেন। ছবিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই...

এটি একটি সোশ্যাল ড্রামা, যেটি ২০৪০ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে। তখন আমাদের ঢাকার অবস্থা কেমন হতে পারে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করবেন নির্মাতা। অনেক দিন আগেই নির্মাতা এই গল্পটি শুনিয়ে ছিলেন; ভালো লেগেছিল। এবার সেটা পর্দায় ফুটিয়ে তোলার পালা। ভালো একটি কাহিনি নিয়ে কাজ হচ্ছে। আমরা সুন্দর এক বাংলাদেশ চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ছবিটিতে আমার সহশিল্পী হিসেবে বাপ্পি চৌধুরী ও নুসরাত ফারিয়া রয়েছেন।

 

শুটিং শুরু হবে কবে থেকে?

আমার জানা মতে, শুরু হবে ২৪ জুন থেকে।

 

অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়াবতী’ কিছুদিন আগে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ ছবি প্রসঙ্গে জানতে চায়।

‘মায়া’ নামের এক কিশোরী ছোটবেলায় তার মার কাছ থেকে চুরি হয়ে যায়। উইমেন ট্রাফিকিংয়ের ফাঁদে পড়ে সে। তাকে দৌলতদিয়ার রেড লাইট এরিয়ায় বিক্রি করা হয়। সেখানে মায়াকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন সংগীতগুরু খোদা বক্স। আর মায়ার গানের প্রেমে পড়েন ব্যারিস্টার ইকবাল (ইয়াশ রোহান)। এক সময় ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে মেয়েটি। শুরু হয় নতুন গল্প। নতুন সংগ্রাম।

 

সিডনিতে প্রদর্শিত হয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

প্রতিক্রিয়া তো ভালোই ছিল। দর্শকরা ছবিটি খুবই পছন্দ ও প্রশংসা করেছেন। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। তাই বিশ্বাস করি, দেশে মুক্তি পেলে ছবিটি সবার গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

 

ঈদে মনে হয় অল্প কিছু নাটকে কাজ করেছেন? তবে বান্নাহর ‘লেডি কিলার’ নাটকটিতে আপনার ভিন্ন চরিত্র দর্শক খুবই পছন্দ করেছে...

হুমম! অল্প কিছু কাজ করেছি। বরাবরই আমি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি। কারণ, একই চরিত্র বার বার করলে তার সৌন্দর্য থাকে না। ঈদে সরদার রোকনের ‘মায়েরা পাখির মতো হয়’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘মাইকেল মামা মিনু খালা, ‘রিভেল কাউ’ ও ‘ঘরে বাইরে’ কাজগুলোও ছিল আমার পছন্দের।

 

 ওয়েব সিরিজেও কাজ করছেন। ওয়েব সিরিজগুলো কেমন হচ্ছে?

পজিটিভ, নেগেটিভ, ভালো-মন্দ কী তা বলতে পারব না। সেটা বোঝার অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেনি। আর আমি ভালো স্ক্রিপ্ট ও ভালো ডিরেক্টর হলেই কাজ করি। সেটা হতে পারে যে কোনো মাধ্যম। আসলে আমি সর্বদা ভালো কাজের সঙ্গেই থাকতে চাই।

 

ছোট পর্দায়-বড় পর্দায় কাজ করছেন। তো লং টাইম কাজের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

আমার কাছে মনে হচ্ছে সবই এক। ছোট পর্দা, বড় পর্দা, নাটক বা সিনেমা-অ্যাকটিং এসব তো আমাকে করতেই হচ্ছে। একটা ভালো স্ক্রিপ্টে আমাকে ভালোভাবেই প্রিপারেশন নিয়ে কাজ করতে হয়। সব কিছু মিলে আমি নিজেকে ঠিক সেভাবেই প্রস্তুত করছি। আর সেই প্রস্তুতিটাও আমি দীর্ঘস্থায়ী হিসেবেই নিচ্ছি।

 

কিন্তু বড় পর্দায় তো নাচ বা অন্যান্য বিষয়ে  বেশি পারদর্শী হতে হয়, কমার্শিয়ালি চিন্তা করলে সেটা কি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের?

আমি নাটকেও অনেক নাচানাচি করেছি। আর  সেসব নাটকও কমার্শিয়াল, কারণ সেখানে আমি নায়িকার ক্যারেক্টার করেছি, নাচানাচি ও গান করেছি। তো আমার কাছে বড় পর্দার কাজ, ছোট পর্দার কাজ কিংবা মিডিয়াম পর্দার কাজ-সেটা তেমন ফ্যাক্টর নয়। আর আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েই সব সেক্টরে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব।

 

এক সময় আপনার একটি ব্যান্ড দলও ছিল। সেই ব্যান্ড দলটি কি এখনো আছে?

আমরা চার বন্ধু রুমানা, নাফিজা, কণা এবং আমি মিলে অনেক আগে গঠন করেছিলাম ব্যান্ড দল ‘অ্যাঞ্জেল ফোর’। যদিও সে ব্যান্ড দলটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারিনি। সবাই নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর