রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

১০ বছর পর মিমি আপার সঙ্গে কাজ করলাম

১০ বছর পর মিমি আপার সঙ্গে কাজ করলাম

শোবিজ জগতের প্রিয়মুখ অভিনেতা সজল। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও অত্যন্ত মিশুক এই অভিনেতা অভিনয়গুণে দর্শক হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। ইদানীং রোমান্টিক ধারা থেকে বেরিয়ে করছেন ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এই তারকার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

শুভ সকাল! এত হৈ চৈ কেন? শুটিংয়ে মনে হচ্ছে...

শুভ সকাল আপনাকেও। হুম... ঈদে প্রচারের জন্য একটি নাটকের শুটিং করছি।

 

জনপ্রিয় অভিনেত্রী-নির্মাতা আফসানা মিমির পরিচালনায় একটি নাটকে অভিনয় করলেন। নির্মাতা হিসেবে তিনি কেমন?

মিমি আপা অভিনেত্রী হিসেবে যতটা প্রিয় আমার, ততটাই প্রিয় তার ডিরেকশন। প্রিয় একজন মানুষ! তার নির্দেশনায় এবার ‘সমান্তরাল’ নাটকে কাজ করেছি। নাটকটির মধ্য দিয়ে মিমি আপার সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বছর পর কাজ করা হলো। পুরান ঢাকার নারিন্দায় এটির শুটিং হয়; পুরনো একটি বাড়িতে। তবে এখনই নাটকের গল্প বা চরিত্র সম্পর্কে বলতে চাই না, প্রচার হলে তখন বলবেন কেমন করেছি! (হা হা হা) 

 

ঈদে প্রচারিত ‘মায়েরা পাখির মতো হয়’ নাটকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হারুন চরিত্রটি দর্শকনন্দিত হয়। রোমান্টিক থেকে একেবারে সিরিয়াস চরিত্রে...

হা হা হা...হুম, চেষ্টা করছি বেশ কয়েক বছর ধরেই সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করার। তবে এই নাটকটি একটু অন্যরকম, চরিত্র ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। দয়াল সাহার লেখা চমৎকার ধরনের এই গল্পটি নিয়ে নির্মাতা সরদার রোকনও ভালো করার চেষ্টা করছেন; কষ্ট করেছেন। তবে সুফিয়া ও রাফিয়া চরিত্রটি নুসরাত ইমরোজ তিশা অসাধারণ করেছেন। খুব সাধারণকে অসাধারণভাবে নাট্যকার, নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও কুশলীরা চোখের সামনে তুলে ধরেছেন বলেই কাজটি ভালো হয়েছে।

 

‘পরীমণির সুলতান সজল’-কথাটি কতটুকু সত্য?

হা হা হা...আরে এটা একটি ওয়েব সিরিজে আমার চরিত্র! মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত বিগ বাজেটের ১০ পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘পাফ ড্যাডি’। এটিতে আমি সুলতান চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার বিপরীতে পরীমণিকে দেখা যাবে ‘টিনা’ নামের এক চিত্রনায়িকার চরিত্রে। আর নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম। সিনেমার আদলে নির্মিত হচ্ছে ওয়েব সিরিজটি। ক্ষমতা পালাবদলের গল্প ‘পাফ ড্যাডি’।

এতে দেখা যাবে, রাস্তায় ভাসমান একজন মানুষ কীভাবে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন।

 

আপনি তো প্রচুর ঘুমকাতুরে! ঈদের আগে রাত জেগে শুটিং করেন কীভাবে?

কথাটা কিন্তু সত্যি! আমি সেই রকম ঘুমকাতুরে। বিশেষ দিবস বা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাত জেগে কাজ করার পর প্রচুর ঘুুমাই; বেশ কয়েকদিন একটানা। তবে আবার সেই শুটিংয়ে ব্যস্ত হতে হয়! বোঝেনই তো-এটাই একজন অভিনেতার জীবন!

 

নাটক ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান কাজ নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট কতটুকু?

সন্তুষ্টি মাঝামাঝি। বেশির ভাগ নাটক এক রকম; নামেই শুধু গল্পের পরিবর্তন। সব গল্প এক রকম মনে হয়। তাই বেছে বেছে কাজ করছি।

 

আঁকাআঁকি চলছে কেমন?

ব্যস্ততার কারণে তেমন করে আঁকাআঁকি হচ্ছে না। তবে আমার ঘরের দেয়াল ও টিভির নিচের জায়গাজুড়ে ভাগ্নির পেন্সিলে আঁকাআঁকি খুবই উপভোগ করি।

 

ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে নিয়ে বিশ্লেষণ কী?

খুবই অগোছালো একজন মানুষ। ঘরে মা না থাকলে বোঝা যায় আমি কতটা এলোমেলো।

সর্বশেষ খবর