কোন নাটকের শুটিং করছেন?
ধারাবাহিক ‘চাটাম ঘর’র। নাটকটির নির্মাতা শামীম জামান।
কিছুদিন আগে আরেকটি ধারাবাহিকেও তো কাজ করলেন...
হুমম... কায়সার আহমেদের ‘বকুলপুর’।
ফেসবুকে শ্যামল মাওলার সঙ্গে ছবি দেখলাম। রিকশায় চড়ে কোথায় যাচ্ছেন?
হা হা হা... আরে এটি একটি একক নাটকের দৃশ্য ছিল। মানস পালের লেখা আর গোলাম হাবিব লিটুর পরিচালনায় ‘একাই মন এর খেয়াল’।
ঈদের কাজ কি শুরু করে দিয়েছেন?
গত পরশু একটি একক নাটক করেছি। এটি এফ জামান তাপসের। আরেকটির কথা তো আগেই বললাম, লিটুর কাজ। আর সামনের মাসে করার কথা আছে তৌকির ভাইয়ের একটি কাজ, ফরিদুল হাসানের ৭ পর্বের নাটক, শ্রদ্ধেয় আবুল হায়াত ভাইয়ের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এবং ১৫ আগস্টের জন্য একটি নাটকের কাজ।
ঈদে কিছু অভিনয়শিল্পী ৩০-৩৫টি নাটকে কাজ করেছেন। এরকম গয়রহভাবে কাজ দর্শকের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছতে পারছে কি?
একজন আর্টিস্ট ৩০-৪০টা করতেই পারে। কারও যদি সময় ও যোগ্যতা থাকে তবে করতে তো সমস্যা নেই। এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে সেটা মানসম্পন্ন হতে হবে। হতে হবে একটা ডিসিপ্লিন ওয়েতে। ফরমায়েশি নয়। নির্মাতাকে স্ক্রিপ্টের চরিত্র অনুযায়ী কাস্টিং করতে হবে। কিন্তু চ্যানেল, এজেন্সি বা প্রযোজক যদি বলে দেয় অমুককে নিতেই হবে, তাহলে ভালো নাটক হবে না। তবে এখনকার শিল্পীরা যে অনেক পিছিয়ে আছে, তা বলতে আমি রাজি নই।
বাপ্পা মজুমদারের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন...
হুমম... যারা দেখেছে, তারা সবাই ভালোই বলেছে। ভিডিওটি নজরুল সংগীতের; ক্লাসিক্যাল বেজড। আমি যেরকম নাচের কাজ করি, এটি ঠিক আমার মনের মতো ছিল। কোরিওগ্রাফি করেছেন লিখন রায়।
‘ক্যাম্পাস স্টার’র বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। কেমন লাগছে?
আমি যে প্লাটর্ফম থেকে উঠে এসেছি সেই প্লাটর্ফমেরই বিচারক হিসেবে কাজ করতে পেরে অনেক আনন্দিত, গর্বিত। বিচারক হিসেবে আমার সঙ্গে আরও আছেন সজল ও কনা।
রান্নার অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করলেন। সবমিলিয়ে কেমন হয়েছে?
ভালোই তো বলব! রান্নার ওপর ভিত্তি করে এ রিয়েলিটি শোটি চ্যানেল আইয়ের জন্য নির্মিত। ২ সপ্তাহ প্রচারও হয়েছে।
নাচ তো নিয়মিতই করছেন। স্টেইজ শো করছেন না?
হ্যাঁ, নাচ নিয়মিতই করছি। সামনে বেশ কিছু স্টেইজ শো আছে। এটিএন-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্টেইজ শো করব।
কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শিল্পীদের নিয়ে ভাবনা কী?
গত দুই বছরে আমরা শক্তভাবে তৈরি হয়েছি। এখন শুধু কাজ করার পালা। শিল্পীর সম্মান ও পেশাজীবী হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানে কাজ করব। শুটিংয়ের নিয়মকানুন মানার ব্যাপারেও জোর দাবি জানাব। শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করতে হবে। আগের কমিটির অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করব; নতুন কী কী সংযোজন করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করব।