বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : মাহিয়া মাহি

গুঞ্জনকে কখনই পাত্তা দেই না

গুঞ্জনকে কখনই পাত্তা দেই না
চলচ্চিত্র সংকটের মধ্যেও মাহিয়া মাহির ছবি বলতে গেলে এখন নিয়মিত মুক্তি পাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে তার ‘অবতার’ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ বিষয় আর অন্যান্য প্রসঙ্গে আজ তার বলা কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

শুরুতেই জানতে চাই কেমন আছেন?

হুম, বেশ ভালো আছি। সংসার, ছবির কাজ আর ঘুরে বেড়ানো, সব মিলিয়ে বলতে পারি ভালোই সময় কেটে যাচ্ছে।

 

ছবি সংকটের এই সময়ে একজন শিল্পী কি সত্যিই ভালো থাকতে পারে?

হ্যাঁ, প্রশ্নটা একেবারেই বাস্তবসম্মত, না এই সংকটে ভালো থাকা সবার পক্ষে আসলেই সম্ভব নয়, তার পরেও বলব এখন কম বেশি যাই হোক কিছুটা হলেও কাজ হচ্ছে। চলচ্চিত্রের এই সংকটকালীন সময়ে নির্মাতা বা শিল্পী যদি পেশা হিসেবে চলচ্চিত্রের ওপর হান্ড্রেড পার্সেন্ট নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তাহলে কষ্ট বাড়বে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ব্যবসা, চাকরি বা অন্য কোনো অবলম্বন থাকতেই হবে। যা এরই মধ্যে অনেক শিল্পী-নির্মাতাই করছেন। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

 

এ অবস্থায় আপনার ব্যস্ততা কেমন?

আমার হাতে কিন্তু প্রচুর ছবির কাজ জমে আছে। এসবের মধ্যে রয়েছে আনন্দ অশ্রু, প্রেমের বাঁধন, অবতার, আমার বেহেশত আমার মা, মন দেব মন নেব, গোলাপতলীর কাজল ইত্যাদি। অবতার চলতি মাসেই মুক্তি পাবে। আর বাকিগুলোর চলতি বছরেই মুক্তির কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত বলতে পারেন।

 

ছবিগুলোতে আপনার রূপায়িত চরিত্র কেমন?

আসলে স্বাভাবিকভাবেই একেকটি ছবিতে আমার চরিত্র একেক রকম। এ মুহূর্তে চরিত্রগুলোর কথা বলে দিলে দর্শকআগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে বলতে পারি প্রতিটি ছবিতেই সেন্ট্রাল ক্যারেক্টর প্লে করেছি। আশা করি আমার অভিনয় দর্শক মন কাড়বে। যেমনটি  অগ্নি, জান্নাত, অনেক সাধের ময়না, অন্ধকার জগৎসহ অনেক ছবিতে দর্শক আমার অভিনয় দেখেছেন এবং পছন্দ করেছেন।

 

নির্মাতাদের অভিযোগ আপনি আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক দাবি করেন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করব না, তবে কখনই অযৌক্তিক পারিশ্রমিক দাবি করিনি। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি ছবির ব্যবসা যেহেতু খুব ভালো যাচ্ছে না তাই যদি গল্প পছন্দ হয়, নির্মাতাও ভালো হন তাহলে নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করব।

 

চলচ্চিত্রের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

দেখুন ভালো-মন্দ সময় শুধু চলচ্চিত্রের বেলায় নয়, সব ক্ষেত্রেই আসে। রাতের পর দিন আবার দিনের পর রাত এটিই প্রকৃতির নিয়ম। তাই কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে কীভাবে তা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা যায় সেই চেষ্টা ও সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে বা মনোবল হারিয়ে ফেললে কখনই ঘুরে দাঁড়ানো যায় না। চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থা শুধু আমাদের দেশেই নয়, হলিউড, বলিউডসহ সারা বিশ্বেই চলছে। আমাদের সঙ্গে অন্য দেশের পার্থক্য হলো আমরা এ অবস্থা শুরুর প্রথম দিকে একে গুরুত্ব না দেওয়ায় বিষয়টি এতটাই জটিল হয়ে গেছে যে, যা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম করণীয় হলো ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। বিচ্ছিন্নভাবে থাকলে উত্তরণ কখনই সম্ভব নয়।

 

মাঝে মধ্যে আপনাকে ঘিরে নানা গুঞ্জন চাউর হয়, এর কারণ কী?

উফ্, এসব গুঞ্জন কেন যে আমার পিছু ছাড়ছে না বুঝতে পারি না। আসলে আমার মতে এর কারণ দুটি। একটি হলো সেলিব্রেটিদের নামে এমন অবান্তর খবর রটিয়ে অনেকে মজা নেয়, দ্বিতীয়ত কিছু মানুষ অন্যের সুখ সহ্য করতে পারে না। এই যে আমি এখন স্বামী-সংসার আর কাজ নিয়ে সুন্দর সময় পার করছি, এটি হয়তো অনেকের সহ্য হচ্ছে না। এসবকে পাত্তা দেই না। জনপ্রিয়তার বিড়ম্বনা বলে একটি প্রবাদ আছে। আসলে অনেকের মতো আমিও এই বিড়ম্বনার শিকার...হা...হা...হা...।

সর্বশেষ খবর