দীর্ঘ ২২ বছরের পথচলায় এটিএন বাংলার অর্জন অনেক। এ সম্পর্কে আপনার অভিব্যক্তি কী?
দুই দশকেরও বেশি সময় ধলে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি পৌঁছে দিচ্ছে এটিএন বাংলা। এ দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এটিএন বাংলার অর্জন অনেক বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৪ সালের ২২ নভেম্বর ‘আমরাও পারি’ অনুষ্ঠানের জন্য ছোট পর্দার অস্কারখ্যাত এমি অ্যাওয়ার্ড অর্জন। এ ছাড়া অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে চ্যানেলটির প্রাপ্তির তালিকায়, যা স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তবে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো দর্শকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা।
নতুন বছরে কী পরিকল্পনা থাকছে?
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটিএন বাংলা দর্শকদের নিত্য নতুন অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে আসছে। কেননা দর্শকদের ভালোবাসাই এটিএন বাংলার বড় প্রাপ্তি। নতুন বছরেও দর্শকদের নিত্য নতুন এবং ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান উপহার দেবে এটিএন বাংলা। রিয়েলিটি শো, গেম শোর পাশাপাশি ব্যত্রিক্রমী কিছু অনুষ্ঠান এ বছর দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন।
দর্শকদের কাছে আপনার প্রত্যাশার কথা বলুন
প্রতিনিয়তই নিত্য নতুনর পরিকল্পনা করি এটিএন বাংলার জন্য। আর এসব পরিকল্পনা সবকিছুই দর্শকদের জন্য। আর এ কারণেই দর্শকরা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এটিএন বাংলার সঙ্গেই আছেন। দুই দশক ধরে দর্শকরা এটিএন বাংলাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য এটিএন বাংলা পরিবার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও দর্শকদের এ ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে এটিই প্রত্যাশা।
এখন চ্যানেলের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই প্রতিযোগিতাও বেড়েছে। এ প্রতিযোগিতায় এটিএন বাংলার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?
শুধু সংবাদ নয়, অনুষ্ঠান প্রচারেও এটিএন বাংলা নিজেকে এগিয়ে রেখেছে। বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষা, খেলাধূলা, সমাজ, সংস্কৃতি নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়ে বরাবরই প্রাধান্য দিয়ে আসছি। এ ছাড়া বাংলাদেশের খেলাধূলাকে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দিতে এটিএন বাংলা বদ্ধপরিকর। এসব মিলিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে এটিএন বাংলা এখনো তার দৃঢ় অবস্থানে অটল রয়েছে।
একজন টিভি চ্যানেলের সফল প্রতিষ্ঠাতা, গল্পকার, গান রচয়িতা, কণ্ঠশিল্পী এবং সমাজসেবকের মধ্যে কোন পরিচয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
গান হচ্ছে আমার প্রধান হবি। যে বয়সে একজন শিল্পী গান থেকে অবসর নেয়, সেই বয়সে আমি গাওয়া শুরু করলাম। গানই হচ্ছে আমার স্বাচ্ছন্দ্যের প্রধান জায়গা, গান নিয়ে আমি এগোতে চাই। আমি আমার লেখা কোনো সিনেমা বা নাটকের শুটিং দেখতে যাই না। কিন্তু গান রেকর্ডিংয়ের সময় উপস্থিত থাকি। যাতে গানটি প্রপারলি হয় সেদিকে নজর রাখি। আর শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করতে পারলে খুব ভালো লাগে। আমাদের দেশে শিল্পীদের পারিশ্রমিক কম বলে একটা সময় যখন তারা কাজ পায় না তখন অসহায় হয়ে পড়ে। তাই শিল্পী নির্মাতাদের কল্যাণে একদিকে আমার চ্যানেলে বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করি না। অন্যদিকে আমার কাছে কেউ সহযোগিতা চাইলে তাকে খালি হাতে ফিরাই না। আমি শিল্পী ঐক্যজোট নামে একটি সেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছি। সংগঠনটি যেভাবে অসহায় শিল্পীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তার জন্য এর কর্তাব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা আমার স্বপ্ন পূরণ করছে।