বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : ফাহমিদা নবী

আমাদের স্বপ্নের পথে অনেক বালি জমে গেছে

আমাদের স্বপ্নের পথে অনেক বালি জমে গেছে

সম্প্রতি জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবীর মেয়ে আনমোল উকিল হয়েছে। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই গিটারের জাদুকর, ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন একটি গান গেয়েছেন এই গুণী শিল্পী। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার সঙ্গে কথা বলেছেন-আলী আফতাব

 

প্রথমে অভিনন্দন জানাই আপনার মেয়ে উকিল হয়েছে বলে।

আমি কখনো আমার মেয়েকে বলিনি তোমার বড় হয়ে এটা হতে হবে, ওটা হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছি সে বড় হয়ে ভালো মানুষ হবে। ছোটবেলা থেকেই তার ল’ সাবজেক্ট ভালো লাগত। আর সেই ইচ্ছা থেকেই আজ সে উকিল।

 

মেয়েকে নিয়ে সুন্দর একটি স্ট্যাটাস দেখলাম আপনার ফেসবুকে।

হ্যাঁ, আমি আমার স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম,‘ জীবন অনেক রকমভাবে জীবনকে সাজায়। কত সংঘাত, কত সংগ্রাম, সুখের পালক, দুঃখ জয় সবই যাপিত জীবনের একেকটি ধাপ। সেই ধাপগুলো মানুষ শুধুই ভালো এবং সুন্দর জীবনের লক্ষ্যে পেরিয়ে যেতে থাকে।’ মজার বিষয় হচ্ছে, আমি এই স্ট্যাটাসটি দিয়েছি পৃথিবীর সব মায়ের পক্ষ থেকে।

 

সম্প্রতি আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে গাইলেন শুনলাম?

হ্যাঁ, বাচ্চু ভাইকে নিয়ে চমৎকার একটি গান করলাম। তার মতো একজন শিল্পীকে ট্রিবিউট দিয়ে এমন একটি গান গাইতে পেরে ভালো  লেগেছে। একই গান আমি ও টুটুল আলাদাভাবে গেয়েছি। গানটির কথা ও সুর করেছেন তিতাস কাজী। গানটির কথাগুলো এ রকম ‘এই রুপালি গিটার  ফেলে চলে একেলা’। আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিনে গানটির দুটি ভার্সনের ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশিত হবে। সামনে শ্রদ্ধেয় শাহনাজ রহমতুল্লাহকে নিয়ে একটি গান করার ইচ্ছা আছে।

 

সামনে নতুন আর কী গান করছেন?

এখন কীভাবে যে কোন কাজ হচ্ছে কিছুই বলতে পারি না। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের স্বপ্নের পথে অনেক বালি জমে গেছে। এরই মধ্যে ১৫টি দেশের গান করেছি, ঈদে গানগুলো প্রকাশ হওয়ার কথা আছে। এ ছাড়া ‘এই শহরে আমরা দুজন একলা পাখি’, ও ‘কি করে বলি’ শিরোনামের দুটি নতুন গান করেছি এই ঈদের জন্য। এ ছাড়া আজকাল ভালো কোনো গানের প্রজেক্ট হচ্ছে না। তার মধ্যে থেকেও আমি একটি নির্দিষ্ট গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। 

 

সিলন সুপার সিঙ্গার প্রতিযোগিতা কেমন উপভোগ করছেন?

এই অনুষ্ঠানটির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে- আমাদের দেশের অনেক মেয়ে সংসার শুরু করার পর গান ছেড়ে দেয়। তাদের কথা চিন্তা করেই এই আয়োজন। এরই মধ্যে আমরা টপ ফিফটিকে পৌঁছে গেছি। তাদের গাওয়ার অদম্য ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

 

দেশে প্রতিভাবান শিল্পী আছে?

অবশ্যই আছে। জানাশোনা শিল্পীদের  পেছনে অর্থলগ্নি করার মতো প্রতিষ্ঠান নেই। শুনেছি মানুষ সোনার হরিণের পেছনে  ছোটে। কিন্তু গানের জগতে কি আসলেই সোনার হরিণের পেছনে ছুটছি আমরা? তাই তো কিছুদিন পরই অর্থলগ্নিকারীরা ধাক্কা খায়। যাদের নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়, কিছুদিন থাকে এরপর বাতাসে মিলিয়ে যায়।

 

উত্তরণের উপায় কী?

প্রথমেই বলব, সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশন চ্যানেলের উচিত হবে মেধা  দেখে শিল্পীদের কাভারেজ দেওয়া। অযোগ্যরা এমনিতেই কমে যাবে।

সর্বশেষ খবর