বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
ই ন্টারভিউ

সিনেমা না বাড়লে মান আসবে কোত্থেকে

সিনেমা না বাড়লে মান আসবে কোত্থেকে
গত ঈদে মুক্তি পেয়েছিল তার ‘নোলক’, আর এবারের ঈদে ‘বেপরোয়া’।  বলছি ঢালিউডের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী ববির কথা। মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ও অন্যান্য সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল   

 

ব্যস্ততা এখন কী নিয়ে?

আপাতত পরিবারকে ঘিরেই সব ব্যস্ততা। এতদিন সবকিছু আমার ওপরেই ছিল। ঈদের ঝামেলা একাই সামাল দিয়েছি। মা দেশে ছিলেন না, সম্প্রতি ফিরেছেন।

 

আর মিডিয়াপাড়ার ব্যস্ততা...

আমার ডেঙ্গু হয়েছিল। এখনো তার রেশ পুরোপুরি কাটেনি। গত এক মাস খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল, যেতে পারিনি। আগামী মাসে যাব। শিগগিরই নতুন কাজে হাত দেব। আর এমনিতেই ২/৩টি ছবি প্রস্তুত আছে। কিছু কিছু কাজ বাকি। সেগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

 

‘নোলক’ গত ঈদে, এবার ‘বেপরোয়া’, কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন?

আমার কাছে দুটোই ভালো লেগেছে। ‘নোলক’ একদমই ভিন্ন একটা ছবি। ‘বেপরোয়া’ আলাদা স্বাদের। দুটোর মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। দর্শকরাও বলেছেন, নোলক-এ তারা আমাকে একভাবে দেখেছেন, বেপরোয়া’তে আরেকভাবে। পরপর দুটি আলাদা চরিত্রে অভিনয় করায় দর্শকদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি।

 

‘নোলক’ থেকে ‘বেপরোয়া’ কি একটু বেশিই আলোচিত ছিল?

‘নোলক’-এর প্রযোজক নতুন ছিল, ছবিটি যে আসবে সেটা শেষ মুহূর্তে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আরও কিছু ব্যাপার ছিল। এরপরও ‘নোলক’ বেশ আলোচিত ছিল। আর ‘বেপরোয়া’ অ্যাকশন সিনেমা। এ ধরনের সিনেমাকে বাংলাদেশে একটু অন্যরকমভাবে গ্রহণ করা হয়। ‘বেপরোয়া’য় বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি।

 

ফিল্মপাড়ার সংকট উত্তরণে প্রযোজক ববির পরিকল্পনা কী?

অনেক অল্প বয়সে প্রযোজনায় এসেছি। এত আলোচনা, গবেষণা, সমিতি; অবশ্যই এগুলোর দরকার আছে। কিন্তু সিনেমার সংখ্যা না বাড়লে চলচ্চিত্রশিল্পের কোনো গতি থাকবে না। চলচ্চিত্রই শিল্পের প্রাণ। প্রচুর ছবি হতে হবে। আর একটা কথা হলো, নতুন প্রযোজক এলে তারা যেন কাঙাল না হয়ে যান, ভেঙে না পড়েন। তারা যেন ছবি করাটা চালিয়ে যান। নতুন প্রযোজককে বেশি সহযোগিতা করা উচিত।

 

সিনেমার গুণগত মান এবং আপনার নিজস্ব কোনো পরিকল্পনা...

অভিনেত্রী হিসেবে আমি টাকার লোভ করিনি। সিনেমার মানের কথা চিন্তা করেছি। আমার মূল গুরুত্ব সিনেমাতেই। আমি বিজ্ঞাপন বা ওয়েব সিরিজে কাজ করিনি। সুতরাং এই দুর্মূল্যের বাজারে যে সিনেমাটা পাব সেটাই তো করা উচিত আমার। কিন্তু আমি সেটা করিনি। আমি সিনেমার মানের দিকটাও মাথায় রেখেছি। আর এখন আজেবাজে বা অশ্লীল সিনেমা এলেও দর্শক গ্রহণ করবে না। দর্শক এখন অনেক স্মার্ট। ছবির সংখ্যা না বাড়লে মান আসবে কোত্থেকে? এ জন্য প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ টিমওয়ার্ক।

 

চলচ্চিত্রে ৯ বছরে কারও সঙ্গে জুটি হয়নি সেভাবে...

হা. হা.. হা...। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। যখন যে ছবিতে যার সঙ্গেই কাজ করেছি, যেমন সম্প্রতি রোশানের (বেপরোয়া ছবির নায়ক) সঙ্গে কাজ করেছি, রোশানের সঙ্গে আমার জুটিটা দর্শক খুব পছন্দ করেছে। শিল্পীদের কিছু গুণ থাকে, যার সঙ্গে কাজ করবে তার সঙ্গেই, গাছের সঙ্গে কাজ করলেও কেমিস্ট্রিটা ফুটে উঠবে, হা. হা.. হা...।

 

প্রায়ই শোনা যায় বিয়ে করছেন, মনের মানুষ আছে?

বিয়ে-শাদি... আমি জানি না। এখনো নিশ্চিত নয়। আসলে আমি এখন অনেক চাপের মধ্যে থাকি। মন মেজাজও ভালো থাকে না সবসময়। মনের মতো মানুষ এখনো পাইনি। দেখা যাক, কী হয়?

সর্বশেষ খবর