হুট করেই দেশ ছাড়লেন ববিতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উড়াল দিলেন কানাডায়। যাওয়ার আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুঠোফোনে জানান, বলতে পারেন এবার প্রায় স্থায়ীভাবেই চলে যাচ্ছি। এখানে একা একা আমার মন টেকে না। কিছুই ভালো লাগে না। একমাত্র পুত্র অনিক কানাডায় সেটেলড। সেখানে সে পড়াশোনা ও জব করছে। অনিকও সেখানে খুব একা। পড়াশোনা ও চাকরির ব্যস্ততার মাঝে আবার তাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াসহ ঘরের সব কাজ করতে হয়। তার ওপর ভীষণ চাপ যাচ্ছে। মা হয়ে এ বিষয়টি আমি সহ্য করতে পারছি না। ভেবে দেখলাম আমি যদি অনিকের কাছে চলে যাই তাহলে দুজনেরই একাকিত্ব কেটে যাবে। অনিককে রান্না করে খাওয়াব আর তাকে নিয়ে মজা করে ঘুরে বেড়াব। আমাদের দুজনের শখ মাছ ধরা। এটিও করব। কবে নাগাদ আবার দেশে ফিরব তা বলতে পারছি না। উল্লেখ্য, আমেরিকার সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ডিসিসিআইয়ের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ববিতা গত মার্চ মাসে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠানটির সম্মেলনে যোগ দিতে যান। সেখানে অনিক গিয়ে মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সঙ্গে ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী ববিতার দুই ভাই। মে মাসের শেষদিকে দেশে ফিরেছিলেন ববিতা। যাওয়ার আগে দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী।
