শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → পূর্ণিমা

বুঝে-শুনে কাজ করতে চাই

বুঝে-শুনে কাজ করতে চাই

অভিনেত্রী পূর্ণিমা। দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকলেও গত বছর আবার  ফিরেছেন। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তার কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

দীর্ঘ সময় পর বড় পর্দায় ফেরার অনুভূতি কেমন?

হুম, বেশ ভালোই বলতে পারেন। অনেকদিন পর কাজ শুরু করেছি। মাঝে কয়েকটি নাটক, টেলিছবির পাশাপাশি সিনেমায় কাজের প্রস্তাব এসেছিল। নানা কারণে সেগুলো করা হয়নি। সত্যি বলতে বড় পর্দায় এখন থেকে বুঝে-শুনে ভালো কাজ করতে চাই। সামনে শীতে ছোট পর্দার জন্য দুই-একটি কাজ করব। এদিকে ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ ছবির শুটিং আবার শুরু হয়েছে। এখন এ দুই ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।

 

গাঙচিল ছবিতে আপনার চরিত্রটি নিয়ে কিছু বলুন

এ ছবিতে আমার চরিত্রের নাম মোহনা। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের জীবনের নানা ঘটনা এই ছবির প্রধান উপজীব্য। এ অঞ্চলে এনজিওকর্মী হিসেবে দর্শকরা আমাকে দেখতে পাবেন। আর ফেরদৌস অভিনয় করছেন সাংবাদিক চরিত্রে।

 

সর্বশেষ ছোট পর্দার কোনো নাটকে কাজ করেছেন?

সর্বশেষ কোরবানি ঈদে ছোট পর্দার বিশেষ নাটকে অভিনয় করি। মিজানুর রহমান আরিয়ানের নির্দেশনায় এ নাটকটির নাম ‘সাবলেট’। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপূর্ব। নাটকটি প্রচারের পর বেশ সাড়া পেয়েছি।

 

ইনস্টাগ্রামে আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা নাকি রেকর্ড গড়েছে?

হ্যাঁ, বিষয়টি আমার জন্য খুবই আনন্দের। অল্প সময়ে ইনস্টাগ্রামে আমার ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখের বেশি। অবশ্য অনেক তারকার চেয়ে আমার ফলোয়ার সংখ্যা কম। আমি তারপরও খুশি। কারণ খুবই অল্প সময়ে আমার ফলোয়ার সংখ্যা বেড়েছে ইনস্টাগ্রামে। এটি সত্যি ভালো লাগার মতো একটা ব্যাপার।

 

সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে আপনাকে।

আসলে ‘মানুষ মানুষের জন্য’- এ প্রবাদের ওপর আর কোনো সত্য নেই। আমাদের সবার দরকার একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো। এই দায়বদ্ধতা থেকে চেষ্টা করছি অসহায় মানুষের পাশে থাকতে। এ নিয়ে আমার স্মরণীয় ঘটনা হলো, চলতি বছরের মে মাসে উত্তরার উত্তরখান এলাকার মৈনারটেক জিয়াবাগ বৈকাল স্কুলের পাশে অবস্থিত ‘আপন নিবাস বৃদ্ধাশ্রম’ গিয়েছিলাম। ওই আশ্রমে পঞ্চাশেরও বেশি বৃদ্ধ মা ও বেশকিছু প্রতিবন্ধী রয়েছেন। আমাকে কাছে পেয়ে খুশিতে মন ভরেছে তাদের। বৃদ্ধাশ্রমের মানুষের সঙ্গে একবেলা খাবার খেয়েছি, তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। সেখানে গিয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।

বৃদ্ধাশ্রমটির বৃদ্ধাদের মধ্যে অনেকের বয়সই একশর বেশি। তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এবং একবেলা খাওয়াতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। শান্তি অনুভব করছি। আমার মতো করে সবাই আসুন, তাদের সঙ্গে সময় কাটান। সবাইকে অনুরোধ করব তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।

 

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?

না। আমি কখনো এমনটি ভাবিনি। কারণ সমিতি হলো একটি সেবামূলক সংগঠন। দায়িত্ব নিয়ে তা যথাযথভাবে পালন করতে না পারলে সেটি হবে লজ্জা ও দুঃখের। আমি জানি নিজে সংগঠনকে সময় দিতে পারব না। তাই যা পারব না তা না করাই ভালো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর