মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাড়ছে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান

চলচ্চিত্রের জন্য বছরে পাঁচ কোটি টাকা  দেওয়া হয়। এটা বছরে ১০  কোটি টাকা করে দিতে চাই। একটা ছবিতে কমপক্ষে ৭৫ লাখ টাকা করে  দেওয়া যায় কিনা সেটা ভাবছি। সিনেমা হলগুলো যাতে মোডিফিকেশনের জন্য ঋণ পায় এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে

 

চলচ্চিত্রকারদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। বাড়ছে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের অর্থ। চলচ্চিত্র নির্মাণ বাবদ সরকারি অনুদান বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার পাশাপাশি ‘বাণিজ্যিক’ চলচ্চিত্রেও এই প্রণোদনা দেওয়ার  ঘোষণা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের প্রথম সিনেপ্লেক্স সিলভার স্ক্রিনের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৬০ লাখ টাকা কম। বোম্বেতে স্ক্রিপ্ট রাইটাররাও অনেক টাকা নেন। চলচ্চিত্রের জন্য বছরে পাঁচ কোটি টাকা  দেওয়া হয়। এটা বছরে ১০  কোটি টাকা করে দিতে চাই।

একটা ছবিতে কমপক্ষে ৭৫ লাখ টাকা করে দেওয়া যায় কিনা সেটা ভাবছি। সিনেমা হলগুলো যাতে মোডিফিকেশনের জন্য ঋণ পায় এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনুদানের ছবি বেশির ভাগই আর্ট ফিল্ম। এগুলো খুব কমই হলে মুক্তি দেওয়া হয়। বেশির ভাগ টেলিভিশনের কাছে বিক্রি করে দেয়। এতে তাদের লাভ হয়। এখন থেকে কমার্শিয়াল মুভিকেও আমরা অনুদান  দেব। শর্ত থাকবে সেগুলো অবশ্যই সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে। আর্ট ফিল্মকেও অনুদান দেব। না হলে আর্ট ফিল্ম হবে না। এগুলোর প্রয়োজন আছে। তবে পার্সেন্টেজ ঠিক করে দেব। দেশের বিভিন্ন জেলায় তথ্য কেন্দ্র করা হবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এরকম ২৫-৩০টি করব। এসব তথ্য কেন্দ্রে একটি করে ৩০০ আসনের সিনেমা হল থাকবে। জমি পেলে চট্টগ্রামে এরকম দুটি করব। এফডিসির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি সত্য যে, এফডিসিতে যন্ত্রপাতি কেনা হয় কিন্তু সেগুলোর সঠিক ব্যবহার নেই। দেখা  গেল যন্ত্রপাতি কেনার সময় কিছু পার্টস মিসিং। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এরকম হয়ে আসছে। এগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এফডিসিতেও আগের মতো এসব অনিয়ম চলবে না।

সর্বশেষ খবর