শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

শিল্পীদের ভালোবাসার তরী আমাকে তীরে পৌঁছে দেবে

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে তার একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

শিল্পীদের ভালোবাসার তরী আমাকে তীরে পৌঁছে দেবে

চলচ্চিত্র এবং সমিতির সার্বিক প্রতিকূল অবস্থায় নির্বাচনে এলেন, কী বলবেন?

  দেখুন, প্রতিকূল পরিস্থিতি পাল্টাতে নতুন ও সময় উপযোগী চিন্তাভাবনা নিয়ে নতুনভাবে তো কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে। নতুনভাবে সবকিছু ঢেলে সাজাতে হবে। নতুনের কেতন উড়িয়ে এই শিল্প ও শিল্পীদের সফলতার সাত রঙে রাঙিয়ে তুলতে চাই। পৃথিবীতে যা কিছু নতুন সবই কল্যাণকর হয়ে উঠুক। এ কামনাই করি।

 

যে কোনো নির্বাচনে নানা ঘটনা ঘটে। আপনার ক্ষেত্রেও ঘটছে। এগুলোকে কি বিচ্ছিন্ন নাকি ইনটেনশনালি হিসেবে দেখছেন?

দেখুন, নির্বাচনের সময় নানা ধরনের ঘটনা ঘটবে এটিই স্বাভাবিক। এগুলোকে আমি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখি। কেউ যদি ইনটেনশনালি কিছু করে তাহলে সচেতন ভোটাররাই তা বিবেচনা করবে। আমি যেহেতু সভাপতি পদে নতুন প্রার্থী, তাই আমার কোনো জবাবদিহিতা নেই। ভোটাররা উপযুক্ত মনে করলে আমাকে, আর গতবারের সভাপতি মিশা ভাই যদি তার কার্যকালের স্বচ্ছ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে তাহলে তার পক্ষেই রায় যাবে, এটিই স্বাভাবিক।

 

গতবার আপনি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েও পদত্যাগ করলেন, এটি ব্যক্তিগত অভিমান ছিল?

মোটেও ব্যক্তিগত অভিমান ছিল না, আমি মিশা-জায়েদ খানের বিপক্ষ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম। একটা সময় এসে দেখলাম বিজয়ী প্যানেলের কর্মকর্তারা আমাকে অবহেলা-তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন। বুঝলাম বিপক্ষ প্যানেল থেকে জয়ী হওয়ায় তারা আমাকে চাচ্ছিলেন না। এক কথায় চরম অপমানিত হয়ে আমাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।

 

আপনি প্যানেল দিতে চেয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত একাই নির্বাচন করতে হচ্ছে, কেন?

এ নিয়ে আমি এখন কিছু বলতে চাই না। যারা আমার সঙ্গে নির্বাচন করবেন বলেও আমার পাশ থেকে সরে গেছেন তারা তাদের মতো করে পরে গণমাধ্যমের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আধা ঘণ্টা আগ পর্যন্ত সবার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম একাই লড়ব। আর আমার এই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার শক্তি ছিল আমার প্রতি সাধারণ সদস্যদের অফুরন্ত ভালোবাসা। বলতে পারেন এখন একটি বিশাল দ্বীপের মাঝে একাকী দাঁড়িয়ে আছি। সদস্যদের ভালোবাসার তরী আমাকে তীরে পৌঁছে দেবে এটি নিশ্চিত।

 

নির্বাচিত হলে সদস্যদের কল্যাণে কী কাজ করবেন?

নির্বাচিত হলে প্রথমেই সদস্য পদ নিয়ে কাজ করব। আগের কমিটি যাদের স্থায়ী সদস্য পদ খারিজ করেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে ফিরিয়ে দেব। তারপর আগের কমিটির অসমাপ্ত ভালো কাজগুলো সম্পন্ন করব। বয়স্ক ভাতার এফডিআর চালু করব। যাদের বয়স ষাটের ঊর্ধ্বে তাদের জন্য এ ভাতা নিশ্চিত করব। এ ছাড়া শিল্পীদের যত রকম সহযোগিতা দরকার প্রয়োজনে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তা নিশ্চিত করতে চাই। এমনভাবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাব যেন মেয়াদ শেষে কেউ বলতে না পারে, মৌসুমী আমাদের ঠকিয়েছে।

আমি কিন্তু নির্বাচন করার জন্যই নির্বাচনে দাঁড়াইনি, সবার সুখ-দুঃখ শেয়ার করার জন্যই প্রার্থী হয়েছি।

 

বিজয়ের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ একদিকে সদস্যদের অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছি। অন্যদিকে আমি যেহেতু সভাপতি পদে নতুন প্রার্থী তাই সদস্যদের কাছে আমার কোনো জবাবদিহিতা নেই। আমার লক্ষ্য স্বচ্ছ। তাই নির্বাচনের নতুন ভোরে রক্তিম সূর্য আমার আঙিনায় বিজয়ের সোনালি রোদ ছড়াবে, এমন স্বপ্ন নিশ্চিন্তেই দেখতে পারি।

সর্বশেষ খবর