রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → জায়েদ খান

শিল্পীপল্লী গড়ে তোলা হবে

শিল্পীপল্লী গড়ে তোলা হবে

আসন্ন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে আবারও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন নায়ক জায়েদ খান। নির্বাচন ঘিরে তার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন-  আলাউদ্দীন মাজিদ

 

দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন করতে যাচ্ছেন, জয়ী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশা কেমন?

জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ দুই বছর ধরে শিল্পীদের সুখে-দুঃখে কাজ করেছি। কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেইনি। ভোটাররা বলছেন, ‘জায়েদ খানকে নয়, আমরা তার কাজকে সমর্থন করি। গত দুই বছরে তার কাজ আমাদের মুগ্ধ করেছে। তাই আবারও তাকে কাজের সুযোগ দিতে চাই।’ আমার ব্যাপারে সদস্যদের এমন ইতিবাচক মন্তব্য আমার কাজের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি যদি জয়ী না-ও হই তার পরেও সদস্যদের সম্মানে আজীবন তাদের জন্য কাজ করে যাব ইনশা আল্লাহ।

 

কিন্তু সদস্য পদ এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে অনেকের অভিযোগও রয়েছে, কী বলবেন?

দেখুন, সদস্য পদের ব্যাপারে যা করা হয়েছে সবই সমিতির গঠনতন্ত্র মেনে করা হয়েছে। আর আমরা নতুন যেসব সদস্য করেছি এ ক্ষেত্রে বলতে চাই আগের সিচুয়েশন আর এখনকার বাস্তবতা এক নয়, আগে প্রচুর ছবি নির্মাণ হতো। এখন ছবি নির্মাণ কমে গেছে। তাই শিল্পীরাও কাজের অভাবে আছে। গঠনতন্ত্রে আগে যেখানে পাঁচটি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করলে সদস্য হওয়া যায় উল্লেখ আছে, সেখানে বর্তমান বাস্তবতায় কমিটির মিটিংয়ে দুটি ছবি করা হয়েছে। তাহলে এ ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ থাকার কথা নয়। এ ছাড়া আর কোনো অভিযোগ তো নেই। আগামীতে ক্ষমতায় এলে যাদের সহযোগী সদস্য করা হয়েছে তাদের পূর্ণ সদস্য করা হবে।

 

এবারের নির্বাচন নিয়ে ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে, এর কারণ কী?

আমি একটি কথা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই। নির্বাচন হচ্ছে মিলন মেলা। উৎসব আয়োজন। অহেতুক হিংসা- বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে পরিবেশকে কলুষিত করা ঠিক নয়। শিল্পীরা হলেন সাধারণ মানুষের কাছে আইডল। শিল্পীরা যদি এ ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করে তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে আর আত্মসম্মানবোধ থাকে না। যদি নিজেদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য তৈরি হয় সেটি নিজেরাই আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা উচিত। কারণ দিন শেষে চলচ্চিত্রের সবাই একটি পরিবার।

 

অনেকের মধ্যে কাজের চেয়ে সমিতির নেতৃত্বের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকে, কেন?

দেখুন, বর্তমান সময়ের কথা যদি বলি তাহলে বলতে হয় কাজের পরিমাণ যে হারে কমেছে তা সহজেই বোধগম্য। আর যে কোনো সমিতি হলো একটি অলাভজনক সেবামূলক সংগঠন। এখানে কেউ যদি লোভ বা মোহে নির্বাচন করতে আসে তা হবে বোকামির নামান্তর। কাজও করতে হবে আবার সমিতির নেতৃত্বে এলে সেবাও দিতে হবে। আমার মতে, সমিতির নেতৃত্ব পেতে হলে সারা বছর কাজের পাশাপাশি সবাই সবার সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে হবে।

 

নির্বাচিত হলে এবারের কার্যক্রম কী হবে?

গতবারের অসমাপ্ত কাজ শেষ করব। পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানাব। কমপক্ষে যদি একটি শিল্পীপল্লীও গড়ে দেওয়া হয় তাহলে সুবিধাবঞ্চিত শিল্পীদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটবে। একই সঙ্গে সরকার যেন শিল্পীদের জন্য একটি কল্যাণ ফান্ড গঠন করে দেয় তার আবেদনও থাকছে। এ ছাড়া গতবারের মতো শিল্পীদের সুখে-দুঃখে ২৪ ঘণ্টা তাদের পাশে থাকব। সিনেমা হল সংস্কার, ভেঙে ফেলা সিনেমা হলের জায়গায় কমপক্ষে একটি হলেও যাতে সিনেপ্লেক্স থাকে সে ব্যবস্থা করার জন্য এবং নতুন সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল নির্মাণে সর্বাত্মক সুবিধা পেতে সরকারের কাছে আবেদন জানাব। চলচ্চিত্র নির্মাণব্যয় যাতে সহনশীল হয় এফডিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসব। সব মিলিয়ে সব সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে  নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব।

সর্বশেষ খবর