সাধারণ মানুষ থেকে কিছুটা আলাদাই ছিলেন হুমায়ূন সাধু। সব সময় বলতেন, মানুষ বড় হয় মনে, শরীরে নয়। এই প্রতিবন্ধকতা থামিয়ে রাখতে পারেনি তার জয়যাত্রা। কোনো বাধা-বিপত্তি তিনি আমলে নেননি কখনো। জীবনের টানে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় কিছু দিন কাটান রেলস্টেশনে, বাসস্টপেজে। ঠিকানাবিহীন জীবনে একসময় ঠিক নিজের জায়গা করেন নেন নির্মাতা ও অভিনেতা হয়ে, লেখালেখি করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থেমে গেল হুমায়ূন সাধুর পথচলা। পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, ‘সাধুকে তিন দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অবশেষে তিনি জীবনযুদ্ধে হেরে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘তুই সময় দিছিলি আমাদের তৈরি হওয়ার। আমরা হয়তো তৈরিও হইছিলাম। কিন্তু মানুষ বোধ হয় কখনই প্রিয়জনের বিদায়ের জন্য তৈরি হইতে পারে না রে, সাধু!’
নয় ভাইবোনের মধ্যে হুমায়ূন সাধু সপ্তম। চট্টগ্রামে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০০১ সালে নিজের তাগিদেই বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন সাধু। একপর্যায়ে কাজ শুরু করেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সহকারী পরিচালক হিসেবে। একই সঙ্গে লেখালেখি করতে থাকেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন হুমায়ূন সাধু। এরপর অসংখ্য নাটক, টেলিছবি, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেছেন। কাহিনি ও চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন তিনি।