৮ ডিসেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। কেমন লাগছে?
সময় যত ঘনিয়ে আসছে, আমি একটি ঘোরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ‘ভাত দে’ সিনেমার জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। তখন আমি যেমন একটি ঘোরের মধ্যে ছিলাম, সংগীত জীবনের ২৫ বছর পরও আমি একই ঘোরের মধ্যে আছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমি একটি স্বপ্নের মধ্যে আছি। পুরস্কারটি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এই স্বপ্ন যেন ভাঙবে না।
কখনো কি ভেবেছিলেন এই গানটির জন্য এত বড় একটি পুরস্কার পাবেন?
এই গানটি করার পর আমি যাকেই শুনিয়েছি তিনিই প্রশংসা করেছেন। আপনারা জানেন এই গানটি লিখেছেন শ্রদ্ধেয় গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সুর করেছেন রুনা লায়লা। গানটি যেদিন রেকর্ড হয় সেদিন রুনা লায়লা আন্টি আমাকে বলেন, এই গানটির জন্য তুমি একটি পুরস্কার পাবে। এমনকি লতাজিও (লতা মঙ্গেশকর) প্রশংসা করেছেন। আজ মনে হচ্ছে সবার ভালোবাসায় আমি এই পুরস্কারটি পাচ্ছি।
এ বছর আপনার আরও একটি বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, একই মঞ্চে কুমার শানুর সঙ্গে গান গাওয়া।
আমি শিল্পী কুমার শানুর অনেক বড় একজন ভক্ত।
এমন একটি মানুষের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে গান পরিবেশন করা ও সম্মাননা পাওয়া, আসলেই আমার বড় একটি প্রাপ্তি। পুরো ব্যাপারটাই ছিল স্বপ্নের মতো। কলকাতার মাটিতে আমাকে হাজার হাজার দর্শকের সামনে যে সম্মাননা প্রদান করা হলো, তাতে আমি সত্যিই ভাষাহীন হয়ে পড়েছিলাম। তাদের সেই ভালোবাসার কাছে, সম্মানের কাছে আমি ঋণী হয়ে গেলাম।
তাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসাকে আমি আন্তরিকভাবে
কৃতজ্ঞতা জানাই। এছাড়া আমার অনেক ইচ্ছা কুমার শানুর সঙ্গে একটি গান করা।
আপনার ইচ্ছার কথাটা কি কুমার শানুকে বলা হয়েছে?
না, এই কথাটা বলার সুযোগ হয়ে উঠেনি। তবে আবার যদি কোনো সময় দেখা হয় তবে বলে দেব।
এমন একজন গুণী শিল্পীর সঙ্গে গান গাইতে পারাটা ভাগ্যের বিষয়।
বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কিছু বলুন।
দুটি গানের কাজ শেষ করে রেখেছি অনেক আগেই, এখন মিউজিক ভিডিও করার অপেক্ষায় আছি। তবে গানগুলো কবে রিলিজ দেব এগুলো এখনো ঠিক করিনি। এছাড়া স্টেজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এখন স্টেজ শোয়ের চাপ একটু বেশি, তাই সেগুলো নিয়েই ব্যস্ত আছি। সিনেমার গান নিয়ে কোনো ব্যস্ততা নেই এখন।
এখন অডিওর চেয়ে মিউজিক ভিডিওর সংখ্যা বেশি। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
এটা সময়ের দাবি, আমার কাছে মনে হয়। যেহেতু অডিও গান শ্রোতাদের মাঝে পৌঁছানোর মাধ্যম এখন কম, তাই ভিডিও করতে হচ্ছে। তবে গানের চেয়ে যখন মিউজিক ভিডিও গুরুত্ব বেড়ে যায় তখন সমস্যা। খুব সাধারণভাবেও একটি মিউজিক ভিডিও করে গানটি সবার কাছে পৌঁছানো যায়। আর এটিই হয়তো হওয়া উচিত।
একটি বিষয় আমার খারাপ লাগে, এখন নতুন যারা গান করছেন তারা আমাদের অডিওর স্বর্ণযুগটা দেখেননি। নব্বই দশকে অডিওর যে রমরমা অবস্থা ছিল আমাদের, সেটি তারা দেখতে পারলেন না।