শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফোক ফেস্টের পর্দা নামবে আজ

পান্থ আফজাল

ফোক ফেস্টের পর্দা নামবে আজ

সাত্তুমা

লোকসংগীত বাঙালির মননে ও মাথায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তাই এত বছর পরও এসব গানের আবেদন আজও ফুরয়নি। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরের মানুষের কাছেও সমান জনপ্রিয় আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত এই লোকসংগীত। সুসংবাদ হচ্ছে, বাঙালির এই লোকসংগীত এখন পৌঁছে গেছে বিশ্বমঞ্চে। এই সংগীতকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বড় বড় উৎসব। গত কয়েক বছর ধরে তিন দিনব্যাপী রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে লোকসংগীতকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক লোকসংগীতের জমজমাট আসর। যেখানে দেখা যায় উপচে পড়া সংগীতপ্রেমী মানুষের ভিড়। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই আসরের আজ শেষ দিন। তৃতীয় ও শেষ দিনের আয়োজনে প্রথমে মঞ্চে উঠবেন কাওয়ালি গানের সাড়া জাগানো কণ্ঠশিল্পী মালেক দেওয়ান। তিনি বিশ্বাস করেন, কাওয়ালি গানের মূর্ছনা

ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বব্যাপী। সেই বিশ্বাস নিয়েই টুনু কাওয়ালের এই শিষ্য উৎসবের শেষ দিন কাওয়ালির পাশাপাশি পরিবেশন করবেন মাইজভান্ডারি গান। মালেক দেওয়ানের পর মঞ্চে উঠবে রাশিয়ার করেলিয়া অঞ্চলের আলোচিত ব্যান্ড সাত্তুমা। নিউ ফোক ঘরানার এই ব্যান্ডটি এরই মধ্যে রাশিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, এস্তোনিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সংগীত পরিবেশন করে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। প্রথম ঢাকার মঞ্চে সংগীত পরিবেশনের জন্য তারা নির্বাচন করেছেন নিজ দেশের জনপ্রিয় লোকগানগুলো। সাত্তুমার পর মঞ্চে উঠবেন দেশের লোকগানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার। মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ছাড়াও চলচ্চিত্রে নিয়মিত গান করেন তিনি। ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। লালন শাহ, হাসন রাজা, রাধারমণ, শাহ আবদুল করিমসহ বিভিন্ন গীতিকবির গান গেয়ে জয় করেছেন অগণিত সংগীতপ্রেমীর হৃদয়। এর আগেও লোকসংগীত উৎসবে গান গেয়ে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তার পরিবেশনা শেষে উৎসবের সমাপ্তি টানতে মঞ্চে উঠবে উপমহাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড জুনুন। পাকিস্তানি এই ব্যান্ড এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশ সফরে এসেছে। এবারের সফরটি তাদের কাছে অন্যরকম। কেননা এ দলটি এবার সুফির সঙ্গে রক ফিউশনের পরিবেশনা তুলে ধরবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্টের মঞ্চে। আরও কিছু ভিন্নধর্মী সুফি গানের পরিবেশনা তুলে ধরতেই তাদের এবারের ঢাকা সফর।

 

মালেক দেওয়ান

চার দশকের বেশি সময় ধরে কাওয়ালি গান গেয়ে আসছেন তিনি। কাওয়ালি গানের পাশাপাশি তিনি মাইজভান্ডারি গানেও পারদর্শী।

 

রাশিয়ান ব্যান্ড সাত্তুমা

সাত্তুমা রাশিয়ান কারেলিয়া অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ২০০৩ সালে দলটি গড়া হয়।

 

চন্দনা মজুমদার

লালনশিল্পী চন্দনা মজুমদার। তিনি লালন ছাড়াও রাধারমণ দত্ত, হাসন রাজা, শাহ আবদুল করিমসহ আরও বিভিন্ন বাউল ও লোককবির গান গেয়ে থাকেন।

 

পাকিস্তানি ব্যান্ড জুনুন

এই উপমহাদেশে ‘জুনুন’ এক নামে

পরিচিত। পাকিস্তানি এই ব্যান্ডটি সুফি ঘরানার গান দিয়ে দুই যুগের বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের প্রিয় গানের দল হয়ে আছে।

 

সর্বশেষ খবর