শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকা ও কক্সবাজারে নাট্য-নৃত্য উৎসব

শীত জেঁকে ধরার আগেই সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষ নতুন এক আমেজে মাতছে। ঢাকা শহরের নাট্যপ্রেমী ও বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রসৈকতের নৃত্যপ্রিয় মানুষ উৎসবের উন্মাদনায় ভাসছে। ঢাকা ও কক্সবাজার সমুদ্রতটে আয়োজিত এই দুই উৎসব নিয়ে লিখেছেন- পান্থ আফজাল

ঢাকা ও কক্সবাজারে নাট্য-নৃত্য উৎসব

নৃত্যাঞ্চল ও সৃষ্টির অংশগ্রহণে ‘বাঁদি-বান্দার রূপকথা’ ঢাকা থিয়েটারের ‘ধাবমান’

নাট্যোৎসবে শেষ চার নাটক

পাঁচ দিনব্যাপী মঞ্চনাটকের আয়োজন ‘আইডিএলসি নাট্যোৎসব-২০১৯’ শুরু হয় গত মঙ্গলবার থেকে। ‘তারুণ্যের জয়গানে আসুন আনন্দ মঞ্চে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ নাট্য উৎসব। বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে দেশের স্বনামধন্য ১০টি নাট্যদল নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে এ উৎসব। ১০টি নাট্যদল হচ্ছে-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদল, নাট্যচক্র, তাড়ুয়া, ঢাকা পদাতিক নাট্য সংসদ, শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র, সময় নাট্যদল, ঢাকা থিয়েটার, আরশিনগর (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), থিয়েটার ও নাগরিক নাট্যাঙ্গন। মোট ১০টি নাটক পরিবেশিত হচ্ছে এই আয়োজনে। প্রথম দিন ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদলে ‘রসপুরাণ’ ও নাট্যচক্রের ‘ভদ্দরনোক’ মঞ্চস্থ করে। দ্বিতীয় দিন বিকাল ৫টা থেকে প্রদর্শিত হয় তাড়ুয়ার ‘লেট মে আউট’ ও নাগরিক নাট্যাঙ্গনের ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’। অন্যদিকে গতকাল অর্থাৎ তৃতীয় দিন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় ঢাকা পদাতিকের ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’ এবং জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘চম্পাবতী’। এদিকে আজ নাট্য উৎসবের চতুর্থ দিন। এদিন বিকাল ৫টা থেকে সময় নাট্যদলের ‘ভাগের মানুষ’ মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। ঢাকা থিয়েটারের ‘ধাবমান’ প্রদর্শিত হবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে। আগামীকাল উৎসবের সমাপনী দিন। সেদিন শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বিকাল ৫টা থেকে মঞ্চস্থ হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদল আরশিনগরের ‘রাহু চন্ডালের হাড়’। উৎসবের শেষ নাটক থিয়েটারের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। এটি মঞ্চস্থ হবে জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে। মাঝখানে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭টা থেকে হবে সমাপনী ও কৃতী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এ বছর নাট্যোৎসবে দর্শনীর মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ থিয়েটার ফেডারেশনের কল্যাণ তহবিলে প্রদান করা হবে।

ঢেউ-নূপুরের ঝঙ্কারে আন্দোলিত হবে সমুদ্রসৈকত

আজ থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ‘ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’। চার দিনের নাচের উৎসব বসছে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার সাজছে ভিন্ন আঙ্গিকে। ঢেউ আর নূপুরের ঝঙ্কারে উদ্বেলিত হবে আজ সমুদ্রসৈকত। দেশ-বিদেশের অগণিত নৃত্যশিল্পীর মিলন মেলায় মুখরিত হবে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ আনন্দ উৎসব। সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষ অবাক বিস্ময়ে সমুদ্রতটে উপভোগ করবে নাচের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন। প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড ড্যান্স অ্যালায়েন্স এশিয়া প্যাসিফিকের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন হচ্ছে ‘ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল’। উৎসব চলবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। নৃত্যযোগের সভাপতি ও জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসলাম হিরুর মতে, ‘বাংলাদেশের সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পর্যটনের মেলবন্ধন রচনাই এর মূল উদ্দেশ্য।’ জানা যায়, এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে এ উৎসবে যোগ দিচ্ছেন প্রায় দুই শতাধিক নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক ও কোরিওগ্রাফার। আজ কক্সবাজারের কক্স কার্নিভালে বিকাল ৫টায় উৎসবের উদ্বোধন হবে। তবে, সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মারমেইডে হবে সেমিনার, মাস্টার ক্লাসসহ বিভিন্ন সেশন। অন্যদিকে সংস্থাটির বার্ষিক সাধারণ সভার অংশ হিসেবে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, সেমিনার, কর্মশালা, নৃত্য পরিবেশনা। কক্স কার্নিভালে চার দিনই থাকবে সান্ধ্য নৃত্য আয়োজন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে দেশীয় নৃত্যশিল্পীরা পারফর্ম করবেন। শেষ দিনে কক্স কার্নিভালে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ থেকে নৃত্যাঞ্চল ও সৃষ্টির অংশগ্রহণে হবে ‘বাঁদি-বান্দার রূপকথা’। পারফর্ম করবেন শিবলী মোহাম্মদ, শামীম আরা নীপা ও আনিসুল ইসলাম হিরু। নির্দেশনায় সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। উৎসবের আয়োজনে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ড্যান্স অ্যালায়েন্স-এশিয়া প্যাসিফিক ও নৃত্যযোগ। ইভেন্ট পার্টনার মাত্রা। সার্বিক সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও ট্যুরিজম বোর্ড। ভেন্যু পার্টনার মারমেইড বিচ রিসোর্ট।

সর্বশেষ খবর