বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মাহফুজুর রহমান খান স্থিতিশীল এ টি এম শামসুজ্জামান

শোবিজ প্রতিবেদক

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মাহফুজুর রহমান খান স্থিতিশীল এ টি এম শামসুজ্জামান

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। সোমবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। গ্রিনলাইফ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আলী আহমেদের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। গতকাল সকালে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক অধ্যাপক মইনুল আহসান জানিয়েছেন, তার অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। গুরুত্বের সঙ্গে তাকে হাসপাতালের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক মইনুল আহসান বলেন, ‘মাহফুজুর রহমান খানের ফুসফুস ও পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে রক্ত জমা হয়েছে। গতকাল সকালে পাকস্থলী থেকে দুই লিটার রক্ত বের করা হয়। আইসিইউতে তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দিচ্ছে না। পরিস্থিতি মোটেই অনুকূল নয়।’ দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার রাত দশটার দিকে তিনি খাবার খেতে গিয়ে লাঞ্চের মধ্যে খাবার ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ও তার নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্বজনরা তখন তাকে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যান। মাহফুজুর রহমান খান ১৯৬৬ সালে চলচ্চিত্রে চিত্রগ্রাহক হিসেবে এলেও পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে ১৯৭২ সালে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও আটবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। তিনি নায়ক চরিত্রে অভিনয়ও করেন। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমার জন্মভূমি, এ কালের নায়ক, চল ঘর বাঁধি, আলো-ছায়া প্রভৃতি।

 

এ টি এম শামসুজ্জামানের অবস্থা স্থিতিশীল

কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার এ টি এম শামসুজ্জামান আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গত সোমবার দুপুরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তার মেয়ে কোয়েল বলেন, বাবার মূলত গ্যাস্ট্রিক ও মলত্যাগজনিত সমস্যা। এর আগে এই সমস্যায়ই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আবারও এটি শুরু হলে চিকিৎসককে দেখাতে আসি। চিকিৎসকের পরামর্শেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই, দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যায় নাকে নল লাগিয়ে গ্যাস বের করা হয়েছে। এখনো মলত্যাগের সমস্যা রয়েছে। তার স্ত্রী রুনি জামান বলেন, পুরনো সমস্যার কারণে তাকে আবার হাসপাতলে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কিছু মেডিসিন দিয়েছেন। এগুলোয় কাজ না হলে আবারও অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।

সর্বশেষ খবর