শোবিজ জগতের জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা সজল। দীর্ঘ ক্যারিয়ার জীবনে বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনয়গুণে দর্শক হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। রোমান্টিক ধারা থেকে বেরিয়ে করছেন ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলাপনে- পান্থ আফজাল
পূজার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘জিন’ ছবিতে কাজ করছেন। কাজটি কেমন হচ্ছে?
আমার কাছে তো ভালোই মনে হচ্ছে। গল্পটি গতানুগতিক ধারা থেকে একটু অন্যরকম। ভৌতিক গল্পের ছবি হলেও একজন মানুষের জীবন থেকে নেওয়া গল্প। নাদের ভাই খুবই যত্ন সহকারে কাজটি করছেন। সব কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছে। আশা করছি, দারুণ স্বাদের একটি হরর মুভি দর্শক হলে গিয়ে উপভোগ করতে পারবেন। একটি কথা বলে রাখি, দর্শক কিন্তু এখন যথেষ্ট ম্যাচিউর। তারা অনেক বেশি জানেন, বোঝেন, ভালোমন্দের খবর রাখেন। তাই হলে গিয়ে ছবি দেখেই তারা ভালোমন্দের বিচার করবেন।
পূজার সঙ্গে ক্যামিস্ট্রি কেমন ছিল?
সে অনেক চমৎকার একজন অভিনেত্রী। যদিও এর আগে তার সঙ্গে ছোট পর্দায়ও কাজ হয়েছে। সে সময় ছিল সে শিশুশিল্পী আর এখন সে একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী... হাহাহা। তখন একরকমের জার্নি আর এখন আরেক রকমের। তবে এই ছবির ফার্স্ট ডে-র শুটিংয়ের পরে তার সঙ্গে এক প্রকার ফ্রেন্ডশিপ অ্যাটমোসফেয়ার তৈরি হয়েছিল। এক্ষেত্রে নির্মাতা নাদের ভাই, পূজার মা ঝরনা আন্টিরও অবদান কম নয়। সবসময় আমরা চেয়েছি কাজটি যেন সুন্দর ও দর্শকের জন্য ভালো কিছু হয়। তবে বলব, সহশিল্পী হিসেবে সে অসাধারণ! আমার নিজের কাছে ওর অভিনয় ভীষণ পছন্দের।
জিন ছবিতে সজলের চরিত্র ভালো না খারাপ?
হাহাহা... অনেক ভালো। ছবিতে আমার চরিত্র হচ্ছে র্যাফ। যে মডেল ফটোগ্রাফি করে। স্টাইলিস একটা ছেলে। তবে, একই সঙ্গে তার মধ্যে অনেকগুলো কোয়ালিটি আছে। যেমন ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী, যা বলে ভেবে বলে, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। ছবিতে আমি পূজা চেরীর হাজবেন্ড। পূজাকে জিনে ধরা থেকে উদ্ধার করতে আমি বিভিন্নভাবে সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করি।
নির্মাতাসহ বাকি চরিত্রগুলো কেমন?
নির্মাতা থেকে শুরু করে ছবিতে অভিনয় করা কলাকুশলীসহ সবাই খুবই কো-অপারেটিভ। নির্মাতা নাদের ভাই সিনিয়র হলেও খুবই ফ্রেন্ডলি। তার কাছ থেকে অভিনয় শেখার অনেক সুযোগ পেয়েছি। আর রোশান, মুন, বেবী আপা, সহিদ উন নবীর সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পেয়েছি। তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া অনেক ভালো ছিল। আর বেবী আপার সঙ্গে তো অনেক দিন পর কাজ করলাম। আমার খুব পছন্দের একজন অভিনেত্রী। তবে ফাটাফাটি রকমের অভিনয় করেছে সহিদ উন নবী। ওর সঙ্গে শটের সময় হাসতে হাসতে মরে যেতাম। আমি পারসন্যালি ওর একজন বড় ফ্যান। এলাহি স্যারের অভিনয়ও ছিল অসাধারণ!
ছবিটির মুক্তির আগে প্রচার নিয়ে কী চিন্তা রয়েছে?
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ প্ল্যান করছে। আমরা সঙ্গে রয়েছি। তবে, ছবিটি নিয়ে সামনে বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।
ছবিটি কবে মুক্তি পাবে?
আমার জানা মতে, এ বছরই মুক্তির প্ল্যান। তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই ভালো বলতে পারবে।
‘পাফড্যাডি’র কাজের অগ্রগতি কেমন?
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ভাইয়ের নির্মাণে চমৎকার একটি কাজ। এটির কাজ চলছে পুরোদমে। এ কাজটির মধ্যে আমরা অনেকেই আছি। পাভেল ভাই (আজাদ আবুল কালাম), ভিষণ ভালো অভিনেতা! তার সঙ্গে কাজ করতে পারলে অনেক কিছু শেখা যায়। আর পরীমণি, এত সুন্দর অভিনয় করে মেয়েটা! এত কিউট! তার চরিত্রের নাম টিনা। অন্যদিকে এ গল্পে ‘সুলতান’ নামে অন্যরকম একটি চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে। এ ধরনের চরিত্রে সচরাচর আমাকে দেখাই যায় না।
সজল বিয়ে করবে কবে?
হাহাহা... এ প্রশ্নটার উত্তর আপাতত বাকি থাক। পরেরবার সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত বলব।