শিরোনাম
সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → রুমানা রশীদ ঈশিতা

গান ছাড়ার সাহস আমার নেই

শোবিজ প্রতিবেদক

গান ছাড়ার সাহস আমার নেই

‘নতুন কুঁড়ি’র সেই অলরাউন্ডার শিশুশিল্পী ঈশিতা। শৈশব থেকেই নৃত্য, অভিনয় ও গানের সঙ্গে তার সখ্য। একই সঙ্গে লেখালেখি ও নির্মাণের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ছেলে যাভীর দৌলার সঙ্গে নতুন করে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপন-

 

কেমন আছেন, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন কেন?

জি, অনেক ভালো আছি। ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম।

 

মা-ছেলে লাকী আখন্দের সুর করা ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ নতুন সংগীতায়োজনে গাইলেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

যাভীর চার বছর বয়স থেকেই গান শিখছে। ওর খুব শখ ছিল আমার সঙ্গে একটি গান করার। তাই দুজন মিলে গানটি করা। এই গানটি দুজনেরই খুব প্রিয়। আমরা মা-ছেলে গানটির ভিডিওচিত্রেও অংশ নিয়েছি। ভিডিও নির্মাণ করেছেন মঞ্জু আহমেদ। নতুন করে সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। সবকিছু মিলিয়ে অভিজ্ঞতা চমৎকার! 

 

যাভীর কোন শ্রেণিতে পড়ছে?

এখন পঞ্চম শ্রেণিতে। পড়াশোনার পাশাপাশি গানের প্রতি ওর রয়েছে অসম্ভব ঝোঁক।

 

‘তোমার জানালায়’র মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর পর সংগীতাঙ্গনে ফেরা। হঠাৎ গানে ফেরা কেন?

আমি শৈশব থেকে এখনো গানের সঙ্গেই আছি। গান ছাড়ার সাহস আমার নেই।

 

ব্যক্তিজীবনে নিভৃতচারী ঈশিতা কিন্তু পর্দায় তেমন নিয়মিত নন, কেন?

পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। এছাড়াও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছি। আসলে সময় ও ব্যস্ততার কারণে কাজ করা হয় না। তবে যে কোনো ভালো গল্প-নির্মাণের কাজ হলে অবশ্যই অভিনয় করি। তবে নিয়মিত অভিনয়ের ইচ্ছা নেই। একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও নাটকে কাজ করেছি।

 

বিটিভির নতুন কুঁড়িতে ‘ফালানি’ চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকহৃদয় জয় করেছিলেন। ছোট পর্দায় অভিনীত প্রথম নাটক ছিল কোনটি?

ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ও ফখরুল আবেদীনের পরিচালনায় ‘দুজনে’। নাটকে আফজাল হোসেন ও শান্ত ইসলামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করি।

 

অভিনেতা সৌমিত্রের সঙ্গে রাফায়েল আহসানের ‘কাঠপেন্সিল’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

অভিজ্ঞতা তো ছিল চমৎকার! তার প্রতি ছিল মুগ্ধতা! এত বড়মাপের অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছি, তাই তখন একটু নার্ভাসও ছিলাম। সত্যি বলতে কি, আমি ঘোরের মধ্যে ছিলাম সেসময়!

 

অভিনয় করতে গেলে সংগীতজ্ঞান থাকাটা কী জরুরি?

অভিনয় করতে গেলে ইমোশন, তাল ও লয়ের জ্ঞান থাকাটা আবশ্যক, যা সংগীত থেকেই নিতে হয়। অভিনয় ও সংগীত আসলে একে অন্যের পরিপূরক। সব থিয়েটার স্কুলেই কিন্তু গান শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

 

নাচের কোনো অনুষ্ঠান বা উপস্থাপনায় আর কী দেখা যাবে?

নাচটা সহজেই হয় না, প্রিপারেশন লাগে। আর উপস্থাপনা করতে চাই। তবে এখনো পর্যন্ত মনের মতো কোনো অফার পাইনি। আমার কাছে অফার আসে রান্নার প্রোগ্রাম, পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম।

 

এখন তো সবাই সবকিছু করতে চায়। এটা কতটা ইতিবাচক?

এখন অভিনয়ের অনেক প্লাটফর্ম; অপশন অনেক। কিন্তু ভালো অভিনয়শিল্পী খুবই হাতেগোনা। সে জন্য কিছুটা সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। তাই সার্বিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা, স্ক্রিপ্ট রাইটার- সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।

 

সামনে কোনো চলচ্চিত্রে আপনাকে দেখা যাবে কী?

স্ক্রিপ্ট, ডিরেকশন আর টিম ভালো হলে অবশ্যই করব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর