শিরোনাম
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → ফারজানা ছবি

চলচ্চিত্রে নিয়মিত হব

চলচ্চিত্রে নিয়মিত হব

অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। ছোট পর্দার এ আলোচিত অভিনেত্রীর সম্প্রতি ‘জয়নগরের জমিদার’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। হঠাৎ করে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় কাজ করা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- রাফিয়া আহমেদ

 

চলচ্চিত্র ‘জয়নগরের জমিদার’-এ অভিনয় করেছেন, অনুভূতি কী?

আমার অভিনীত প্রথম বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্র এটি। আর ২০২০ সালের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি এটি, আমার জন্য পুরো সময়টাই ভীষণ আনন্দের এবং অসাধারণ প্রাপ্তির। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় অভিনয়ের আকাক্সক্ষা আমার বরাবরই ছিল, তাই এ কাজটি আমার অভিনয় জীবনে নতুন সংযোজন।

 

এ চলচ্চিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলুন?

বর্তমান চলচ্চিত্রের চলমান অস্থিতিশীল সময়ে এ ধরনের একটি  ইতিহাসনির্ভর ভিন্নধারার সিনেমা নির্মাণের জন্য অবশ্যই কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং নিষ্ঠা দুটোই প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় প্রযোজক আবু সাঈদ খান এবং পরিচালক এম সাখাওয়াত হোসেন তাদের এ প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসার দাবি রাখেন। এ সিনেমার সামগ্রিক আয়োজন ছিল বেশ বিস্তৃত এবং অভিনয়শিল্পীরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভালো কাজটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। 

 

চলচ্চিত্রটি কেমন সাড়া পেল?

চলচ্চিত্রটি দর্শকের গ্রহণযোগ্যতায় যতদূর যেতে পেরেছে, তা সত্যিই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে, যা প্রত্যেক শিল্পকর্মেই থাকে। তা সত্ত্বেও দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ না করলে অবশ্যই টানা এক সপ্তাহ দেশের ২২টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত হতো না। আমি হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে ছবিটি দেখেছি।  দর্শক ভীষণ পছন্দ করেছে বলে আমার মনে হয়েছে।

 

চলচ্চিত্রে কি নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে? 

অবশ্যই আমি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হব। ভালো কাজ পেলে, ভালো গল্প হাতে পেলে আমি অবশ্যই চলচ্চিত্রে কাজ করব এবং দর্শক নাটকে আমাকে যেমন বৈচিত্র্যময় সব চরিত্রে দেখেছে ফিল্মেও আমার সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

 

হঠাৎ করেই ছোট পর্দা ছেড়ে বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছা কেন হলো?

এ ইচ্ছা আমার বরাবরই ছিল। বিষয়টি আসলে হঠাৎ করে নয়। আশা করি আগামীতে আরও ভালো কিছু কাজ আমার দর্শকদের জন্য নিয়ে আসব।

 

দশর্ক আপনার এই চলচ্চিত্র কেন দেখছে বলে আপনার মনে হয়?

সমসাময়িক গল্প ভাবনা এবং একই ধাঁচে নির্মিত চলচ্চিত্রের ভিড়ে এটি সম্পূর্ণ মৌলিক  গল্প ও ভিন্ন নির্মাণশৈলীর একটি দেশীয় চলচ্চিত্র, যা আমাদের ইতিহাস এবং শেকড়ের  কথা বলছে। এ জন্যই দর্শক এ সিনেমাটি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছে বলে আমি মনে করি।

 

আপনার একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মালা ভাবী’ রাজস্থান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন?

হ্যাঁ, মিজানুর রহমান লাবুর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এটি। এ স্বল্পদৈর্র্ঘ্য চলচ্চিত্রটির মূল বিষয় হচ্ছে পাপ-পুণ্য ও কর্মফলের সঙ্গে প্রকৃতির অতিপ্রাকৃতির সংযোগ। এটিও আমার ভীষণ পছন্দের একটি কাজ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর