শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নির্মাণেও সফল তারা

নির্মাণেও সফল তারা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সূচনালগ্ন থেকে অনেক শিল্পী তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। পরবর্তীতে তারা আবার নির্মাতা হিসেবেও সফলতা দেখিয়েছেন।  এমন কয়েকজন সফল তারকা-নির্মাতার কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

খান আতাউর রহমান

১৯৫৯ সালে অভিনয় শুরু। অভিনয়ে দর্শক-ভালোবাসা লাভ করেন। তার পরিচালিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘সুজন সখী’, ‘দিন যায় কথা থাকে’সহ অসংখ্য ছবি নন্দিত হয়।

 

সুভাষ দত্ত

অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। ১৯৬৩ সালে প্রথম নির্মাণ করেন ‘সুতরাং’। এরপর ‘আবির্ভাব’, ‘বসুন্ধরা’, সবুজ সাথী, ফুলশয্যা, আকাক্সক্ষা, ‘ডুমুরের ফুল’সহ অসংখ্য ছবি নির্মাণ করে নির্মাতা হিসেবে খ্যাতি পান।

 

রহমান

১৯৬০ সালে ‘হারানো দিন’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে এসে খ্যাতি পান। এরপর চান্দা, তালাশ ছবিগুলোতে তার অভিনয় কালজয়ী হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালে নির্মাণ করেন ‘দরশন’। এটি বাম্পার হিট হয়। এরপর আরও অনেক ছবি নির্মাণ করে অভিনেতার মতো নির্মাতা হিসেবেও সফল হন তিনি।

 

রাজ্জাক

১৯৬৮ সালে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হয়ে সাড়া জাগান। এরপর রাজ্জাক মানেই নায়করাজ। ১৯৭৭ সালে প্রথম নির্মাণ করেন ‘অনন্ত প্রেম’। ব্যাপক জনপ্রিয় হয় ছবিটি। এরপর ‘বদনাম’, ‘চাপাডাঙ্গার বউ’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’ ‘সন্তান যখন শত্রু’সহ অনেক ছবি নির্মাণ করেন এবং নির্মাতা হিসেবেও সফল হন।

 

সোহেল রানা

পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ ছবির মাধ্যমে। এতে নিজে অভিনয় করেন। এরপর ‘এপার-ওপার’সহ বহু চলচ্চিত্রেই তার নির্মাণ ও অভিনয়ে মুন্সিয়ানা দেখান তিনি।

 

আলমগীর

১৯৭৩ সালে ‘আমার জন্মভূমি’ ছবিতে প্রথম অভিনয়। প্রচুর ছবিতে দক্ষ অভিনয় দিয়ে দর্শক-ভালোবাসা কুড়ান। ১৯৮৫ সালে প্রথম নির্মাণ করেন ‘নিষ্পাপ’। এরপর ‘নির্মম’, ‘বৌমা’, ‘মায়ের দোয়া’ ছবিগুলো দিয়ে নির্মাতা হিসেবেও সফল হন।

 

বুলবুল আহমেদ

সত্তরের দশকে অভিনয়ে এসে জীবন নিয়ে জুয়া, ওয়াদা, জন্ম থেকে জ্বলছি, আরাধনা, সীমানা পেরিয়ে, সূর্যকন্যা, ছোট মা’সহ অসংখ্য ছবির জনপ্রিয় এ নায়ক আশির দশকে নির্মাণ করেন ভালো মানুষ, মহানায়ক, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্তসহ বেশ কিছু ছবি। সবগুলো ছবিই সফল হয় তার।

 

শাবানা

ষাটের দশকে ‘চকোরি’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আসা শাবানা আশি থেকে নবইয়ের দশকে নির্মাণ করেন ‘আমি সেই মেয়ে’সহ প্রায় ২৫টি ছবি। সব ছবিই হিট। অভিনেত্রীর মতো নির্মাতা হিসেবেও সফল শাবানা।

 

সুচন্দা

ষাটের দশকে ‘কাগজের নৌকা’র মাধ্যমে অভিনয়ে আসা এ নায়িকা আশির দশকে নির্মাণে এসে ‘তিন কন্যা’, ‘প্রেম প্রীতি’, ‘সবুজ কোট কালো চশমা’, ‘হাজার বছর ধরে’  ছবিগুলো নির্মাণ করে প্রশংসিত হন।

 

ববিতা

সত্তুরের দশকে সংসার ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আসা ববিতার জনপ্রিয়তার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এ অভিনেত্রী নির্মাণ করেন ফুলশয্যা, আগমন, পোকামাকড়ের ঘরবসতিসহ বেশ কটি ছবি নির্মাণ করে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হন।

 

মৌসুমী

১৯৯৬ সালে কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আসা মৌসুমী অভিনেত্রী হিসেবে যেমন জনপ্রিয় তেমনি ‘কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি’, ‘মেহের নিগার’সহ কয়েকটি ছবি নির্মাণ করেও প্রশংসিত হন।

 

শাকিব খান

১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আসা ঢালিউডের এ শীর্ষ অভিনেতা ২০১৪ সালে নির্মাণ করেন ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ছবিটি। ২০১৯-এ মুক্তি পাওয়া তার নির্মিত ‘পাসওয়ার্ড’ বছরের একমাত্র ব্যবসা-সফল ছবি। গতকাল মুক্তি পেয়েছে তার তৃতীয় নির্মাণ ‘বীর’। মুক্তির আগেই আলোচনায় আসে ছবিটি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর