বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → মোশাররফ করিম

নির্মাণে আসার ইচ্ছা নেই

নির্মাণে আসার ইচ্ছা নেই

শীর্ষ অভিনেতা মোশাররফ করিম। সাবলীল অভিনয়ের কারণে তিনি দর্শকনন্দিত। ইদানীং বেশ কিছু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে চলে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। নতুন ছবিতে অভিনয়ের কথাও রয়েছে। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন-  পান্থ আফজাল

 

আজ কোনো শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন?

একটি সিঙ্গেল নাটকে কাজ করছি। ঢাকার বাইরে হচ্ছে শুটিং।

 

সম্প্রতি ‘রাত প্রহরী ও ফুলনদেবী’ নাটকে কাজ করলেন। গল্পটি কী বিষয় নিয়ে?

এটির নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ। আমার সহশিল্পী নিশাত প্রিয়ম। আমি রাত প্রহরীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর প্রিয়ম অভিনয় করেছে ফুলনদেবী নামে ফুল বিক্রয়কারী হিসেবে। নাটকে অতীত জীবনের ট্র্যাজেডি দেখানো হয়েছে, যা সমসাময়িক জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।

 

এ বছর আপনার অভিনীত বেশকিছু নাটক ছিল আলোচনার কেন্দ্রে...

গল্প ও চরিত্র বুঝে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আর আমার প্রতি দর্শকের ভালোবাসা আছে। আজীবন ভালো কাজ করে যেতে চাই।

 

এখনো কি বেশি রাত করে শুটিং করেন?

ঠিক নেই। আসলে করতে চাই না। তবে উৎসব হলে একটু চাপ থাকে।

 

ব্রাত্য বসুর চলচ্চিত্রে কাজের অগ্রগতি কতদূরে?

বুদ্ধদেব গুহর দুটি ছোট গল্প ‘বাবা হওয়া’ ও ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে ব্রাত্য বসু তৈরি করবেন একটি ছবি। নাম ‘ডিকশনারি’। ছবিতে কাজ করার বিষয়ে মোটামুটি আলাপ-আলোচনা হয়েছে। দুই-তিনবার মিটিং হয়েছে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখানেও কথা হয়েছে। তবে কিছু কাগজ পাঠানো বাকি রয়েছে তাদের। সেসব ঠিকঠাক মতো হলে তবে সবকিছু চূড়ান্ত বলতে পারব।

 

আপনার অনেক গুণের মধ্যে গান লেখা ও গাওয়া অন্যতম। ইদানীং তেমন করে গান লিখছেন না কেন?

বহু বছর হলো। তাও ১৫ বছর। সেই ছোটবেলায় লিখেছিলাম। তখন গানের কথাগুলো এমনিতেই মনের চিত্রপটে ধরা দিত। আহা, সেই সময়! তবে দলে থাকলে গান লেখা হতো। এখন হতে চায় না। মিডিয়ায় ঢুকে ট্যাকার লাগি বন্দি হইয়া গেছি।

 

কবিতাও ভালো লেখেন। বই বের করার ইচ্ছা নেই?

অনেকেই বই বের করতে বলে; আমার লজ্জা লাগে। অনেক কবিতা লিখেছি এবং কিছু কবিতা পত্র-পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে। তবে আক্ষেপ, আমার কবিতাকে অন্যসব কবির লেখা কবিতার মতো মূল্যায়ন করা হয়নি।

 

মিডিয়ার জন্য এ পর্যন্ত কি কোনো নাটক লেখেননি?

মিডিয়ার জন্য কোনো নাটক লেখাই শেষ করতে পারিনি। লিখছি, ভালো লাগেনি; তা আবার ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি। একটি লিখছি-নাম ‘তালাক’। একসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ডিপার্টমেন্ট আমার লেখা তিনটি নাটক করেছে।

 

নামনির্ভর নাটক কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

প্রাসঙ্গিক কি, মাঝে মাঝে একধরনের জোয়ার আছে। এটা আমাদের একধরনের বন্ধ্যত্ব! নাম ভেবেচিন্তে হওয়া উচিত। একধরনের গড্ডলিকা-প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি। আমার নিজেরও এসব ভালো লাগে না, বিশ্বাস করেন! মাঝখানে শর্তও দিয়েছিলাম যে, কোনো মানুষের নামে নাটক হলে করব না। বিরক্ত হয়ে গেছি। বৈচিত্র্য থাকা উচিত।

 

থিয়েটারে ফিরবেন কবে?

১৭ বছর ধরে থিয়েটার করি। থিয়েটার হলো শিকড়, ফিরতেই হবে।

 

নির্মাণে আসবেন না?

কখনই নির্মাণে আসার ইচ্ছা নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর