রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → দিঠি আনোয়ার

আমাকে শুধু উপস্থাপিকা বললে কষ্ট লাগে

আমাকে শুধু উপস্থাপিকা বললে কষ্ট লাগে

স্টেজ শো, উপস্থাপনা আর নতুন নতুন গান নিয়ে ব্যস্ত কণ্ঠশিল্পী দিঠি আনোয়ার। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন-  আলী আফতাব

 

বর্তমানে ব্যস্ততা কী নিয়ে?

আমি সবসময় একটু বেছে গানের কাজ করি। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের জন্য একটি গান করেছি। এই গানে আমি ছাড়াও আরও ১২ জন নারী কণ্ঠশিল্পী থাকছেন। গানটি ৮ মার্চ ভিডিও আকারে প্রকাশ হবে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নতুন একটি গান করেছি। এই গানটিও এই মাসে প্রকাশ পাবে। এ ছাড়া আমি মাসে দুটির বেশি স্টেজ শো করি না। মে মাস পর্যন্ত বেশকিছু শো আছে আমার।

 

উপস্থাপনা কেমন চলছে?

এই মুহূর্তে আমি চারটি টিভিতে উপস্থাপনা করছি। তার মধ্যে রয়েছে- চ্যানেল আইয়ে ‘পালকি’, আরটিভিতে ‘এই রাত তোমার আমার’, একুশে টিভিতে ‘মনের মতো গান’ ও মাছরাঙা টেলিভিশনে ‘ইচ্ছে গানের দুপুর’। এর সবগুলোই মিউজিক্যাল গানের অনুষ্ঠান।

 

এতগুলো গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন, অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন না তো আবার! 

নিজেকে সবসময় শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে ভালো লাগে। তবে মাঝে-মধ্যে কেউ যখন আমাকে শুধু উপস্থাপিকা ভাবে আমার কষ্ট হয়। আমি কিন্তু আগেই বলেছি, আমি যেসব অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করি তার সবগুলোই মিউজিক্যাল অনুষ্ঠান। এ ছাড়া গীতিকার এবং চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কন্যা হওয়ার কারণে আমি বাবার কাছ থেকে অনেক গানের ইতিহাস জানি। আর এ কারণে টেলিভিশনগুলো আমাকে এসব অনুষ্ঠানের জন্য বারবার ডাকে।

 

আপনার কাছে কি মনে হয় উপস্থাপনা কমিয়ে দেওয়া দরকার? 

তা মনে হয় না। তবে গানের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া দরকার। বছরে অন্তত দুই-তিনটি ভালো গান প্রকাশ করতে হবে।

 

ছোটবেলায় একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন?

হ্যাঁ, আমি বাবার একটা ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। ছবিটার নাম ‘শাস্তি’। আমার বয়স তখন সাত কি আট বছর। ওই ছবির জন্য বাবা একটা ছেলেকে খুঁজছিলেন। তখন আমার চুল বয়কাট ছিল। দেখতেও ছিলাম ছেলেদের মতো! বাবা আমাকে বললেন, তুমি এই ছবিতে অভিনয় করো। সে অভিনয়ের কথা কখনো ভুলব না।

 

 

আপনি চাইলে তো নায়িকা হতে পারতেন। হলেন না কেন?

অভিনয়ের অনেক প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু বড় হওয়ার পর মনে হয়েছে অভিনয়টা আমার জন্য নয়। বরং ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি ঝোঁক ছিল। জন্মের পর থেকে বাবার সুবাদে দেশের সব নামকরা শিল্পী-সুরকার দেখে আসছি। সেই থেকে আমার ভিতরেও গানের প্রতি ভালোবাসাটা জন্ম নেয়। তা ছাড়া গান তো আমার রক্তের মধ্যেই আছে।

 

তবে কি গানের শুরুটা বাবার হাত ধরে?

ছোটবেলায় গুনগুন করে গাইতাম। সেটা দেখেই উজ্জীবিত হন আমার বাবা। আট বছর বয়সে আমাকে হারমোনিয়াম কিনে দেন। আমাকে সারেগামা শিখিয়েছিলেন এক ফুপি। পরে দীর্ঘদিন তালিম নিয়েছিলাম ওস্তাদ ইয়াসিন খানের কাছে।

সর্বশেষ খবর