মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → আনিসুর রহমান মিলন

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করব

জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। দীর্ঘদিন ধরেই টিভি, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে তার সরব উপস্থিতি। তিনি বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ব্যস্ত রয়েছেন চলচ্চিত্র, নাটক ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে। সামনে ছবি নির্মাণেও তাকে দেখা যেতে পারে। সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করব

কেমন আছেন? ৬ মার্চ চলচ্চিত্র ‘চল যাই’ কি মুক্তি পাচ্ছে?

জি, অনেক ভালো আছি। আর হ্যাঁ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্রটি। মহান এই ব্যক্তিত্বের একটি উক্তিকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে এটি। গল্প-চিত্রনাট্য খালিদ মাহবুব তূর্য এবং নির্মাণে মাসুমা রহমান তানি। ইতিমধ্যে ট্রেইলার অবমুক্ত হয়েছে বাংলাঢোলের ইউটিউব চ্যানেলে।

 

ছবিটির গল্প একটু বিস্তারিত জানতে চাই...

‘আমাদের ইয়াং জেনারেশন আসলে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তেমন করে জানে না। দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানে না। গল্পে দেখা যাবে, কিছু ইয়াং জেনারেশন আড্ডা দিতে দিতে হাইওয়েতে চলে আসে। পথিমধ্যে তাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে একজন আগন্তুকের (মিলন) সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়। সেই আগন্তুক তাদের গন্তব্যে (মাওয়া ফেরিঘাট) পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। তারা জানতে পারে, আমি আমেরিকায় থাকি। বাবার খোঁজে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার দিকে যাচ্ছি। আরও জানতে পারে, আমি একজন বীরাঙ্গনার সন্তান। যাকে মুক্তিযুদ্ধের পর একজন আমেরিকান তার দেশে নিয়ে যায়। সেই আমেরিকান দত্তক বাবার কাছ থেকে তার দেশ, মা ও বাবা সম্পর্কে জেনে এখন এসেছেন বাংলাদেশে সবাইকে খুঁজতে ও জানতে। ইয়াং জেনারেশন বঙ্গবন্ধুকে জানে একজন লিডার হিসেবে। তারা বীরাঙ্গনা সম্পর্কে তেমন জানে না। বীরাঙ্গনা নিয়ে তাদের রয়েছে নানা প্রশ্ন। দেশের জন্য কিছু করতে না পারায় তারা অনুশোচনায় ভুগতে থাকে।’

 

‘ওস্তাদ’ ছবির শুটিং করেছেন। কেমন হচ্ছে কাজটি?

সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’-এর প্রথম লটের শুটিং শেষ করলাম। যে চরিত্রটি করেছি, সেটি আগে কখনই করিনি। ওল্ড টাউনের গল্প। ওল্ড টাউনের সমবণ্টনে বিশ্বাসী একজন ওস্তাদের গল্প। এই প্রভাবশালী লোকটি প্রশাসন থেকে শুরু করে সবার কাছে একজন ভালো মানুষের প্রতিরূপ। কিন্তু ক্ষমতার লোভে তারই ছোট ভাই (তাসকিন) একসময় শত্রু হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই ওস্তাদ তার ক্ষমতা ও প্রভাব ন্যস্ত করে তারই অনুসারী রোশানকে। এসবের মধ্যে অসহায় একটি মেয়ে (রাহা তানহা খান) আমাকে ভালোবাসে। তার এবং আমাকে জড়িয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন।

 

জানামতে, চলচ্চিত্রটির গল্পে হিন্দু-মুসলমান বিষয়ও উঠে এসেছে?

এটির কারণেই এই চলচ্চিত্রটি ইউনিক! সারা বিশ্বে চলছে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা। এই বিষয় এখানেও রয়েছে। আমি হিন্দু ঘরের ছেলে। আর আমার দেহরক্ষী মুসলমান। সে মন্দিরেও যায়। এখানে দেখানো হয়েছে, হিন্দু হিসেবে কেউ মন্দিরে আর মুসলমান হিসেবে কেউ মসজিদে যায়। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা কয়জন যাই? মানুষকে আলাদা করা কিন্তু ধর্মের বিষয় নয়।

ধর্মকে প্রাধান্য না দিয়ে মানুষকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সবকিছু মিলিয়ে গল্পে নতুনত্ব রয়েছে। পিউর লাভ রয়েছে। রয়েছে, মানুষের সাইকোলজিক্যাল বিষয়।

 

আপনার ‘গাঙচিল’ ছবির আপডেট কী?

নঈম ইমতিয়াজ নিয়ামুলের ‘গাঙচিল’ ছবির শেষ লটের শুটিং বাকি রয়েছে। এটি বড় ব্যানারের ছবি। একটি অঞ্চলের গল্প নিয়ে তৈরি। আমার মনে হয়, ছবিটি দর্শকদের ভালো লাগবে।

 

ওয়েব সিরিজ করছেন কী?

ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা হচ্ছে। সহিদ উন নবীর নির্মাণে এটি করব।

 

একক ও ধারাবাহিকে ব্যস্ততা কেমন? 

এখন তো ৪-৫টি সিরিয়াল করছি। দীপ্ত টেলিভিশনে চলছে কায়সার আহমেদের ‘বকুলপুর’। নতুন কিছু নাটকের কাজের কথাবার্তাও চলছে।

 

শুনেছি শিগগিরই চলচ্চিত্র নির্মাণে নামছেন। বিষয়টি কতটা সত্য?

হুম, নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমার নিজের গল্প। দুটি চলচ্চিত্র তৈরি করব। তবে এসব চলচ্চিত্রে আমি অভিনয় করব না। ফিজিক্যালি ডিজেবল শিশু নিয়ে একটি চলচ্চিত্রের নাম ‘ইয়েস’ আর মনস্তাত্ত্বিক গল্প নিয়ে অন্যটি ‘রেড বক্স’। সব ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই ছবি দুটি নিয়ে মুভ করব।

 

সর্বশেষ খবর