শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → বাঁধন

ছবির নামটি ‘মারিয়া’ নয়

ছবির নামটি ‘মারিয়া’ নয়

জনপ্রিয় অভিনেত্রী লাক্স তারকা আজমেরী হক বাঁধন। কঠোর পরিশ্রম আর অভিনয়ের গুণে শোবিজ অঙ্গনে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। তবে ২০১৮ সাল থেকে হঠাৎ করে আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। তবে এই আড়ালে থাকার রহস্য উদঘাটন করতেই জানা গেল দারুণ একটি সুখবর। সেই সুখবর ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

গাড়ির হর্নের শব্দ পাচ্ছি। কোথায় যাচ্ছেন?

মেয়েকে স্কুলে দিতে উত্তরা যাচ্ছি। এখন এয়ারপোর্ট পার হচ্ছি। এখন তো রুটিন হয়ে গেছে মিরপুর বাসা থেকে সকালবেলা মেয়েকে স্কুলে ড্রপ করতে উত্তরা যাওয়া। এরপর জিম করতে বনানী এবং জিম শেষে আবার উত্তরা থেকে মেয়েকে নিয়ে মিরপুরে বাসায় ফেরা।

 

নিয়মিত জিমে যাচ্ছেন, ফলাফল কি?

রেজাল্ট তো পাচ্ছি। শারীরিক গঠন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অনেকে মনে করেন মা হলে সব স্বপ্ন, প্রত্যাশা শেষ। যেটা ভুল। ৩০ বছর পার হলেই সোসাইটি মনে করে মেয়েদের কোনো স্বপ্ন দেখতে নেই, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে চাই। আমি সবার অনুপ্রেরণার বিষয় হতে চাই। আমি স্বতঃস্ফূর্ত, স্বতন্ত্র একজন নারী, একজন সিঙ্গেল মাদার, একটা সুন্দরী কন্যার মা এবং ৩৬ বছর বয়সী নিজে বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক।

 

মেয়েকে নিয়ে কেমন আছেন?

ভালোই তো আছি। মেয়েকে নিয়েই তো আমার সব ব্যস্ততা। সেই তো আমার সব। আমিই মিশেলের বাবা আর আমিই ওর মা। আমার পরিচয়েই ও বড় হবে।

 

শুনলাম অন্য একটি কাজে ব্যস্ত ছিলেন এতদিন?

ঠিকই শুনেছেন। একটি চলচ্চিত্রের কাজে দীর্ঘদিন ব্যস্ত ছিলাম। ব্যক্তিগত ঝামেলায় অনেকদিন কাজ থেকে দূরে ছিলাম। আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করছি।

 

চলচ্চিত্রটির নাম কি? কোন বিষয় নিয়ে নির্মিত?

নামটি এখনই বলতে চাই না। তবে এটি নির্মাণ করেছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। আর অনেক নিউজে যে নামটি এসেছে অর্থাৎ ‘মারিয়া’ নামটি ভুল। এই নাম জীবনেও ছিল না। আর চলচ্চিত্রটির গল্প নারী প্রধান; তবে নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে নয়। এমন কিছুই নেই। চলচ্চিত্রটির শুটিং শেষ। বাকিটা এখন ডিরেক্টরের হাতে। জানা মতে, এটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এরপর বাংলাদেশে রিলিজ হবে।

 

এটিতে যুক্ত হলেন কীভাবে?

যোগাযোগ হয়েছে খুবই কাকতালীয়ভাবে। দেড় বছর আগে তাদের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছিল। তারাই আমাকে নিজ থেকে অফার দিয়েছেন। এর এক বছর পর তারা আমার অডিশন নিয়েছে। খুবই ডিসেন্ট ওয়েতে এগিয়েছে তারা। তাদের কাজের প্রতি ডেডিকেশন দুর্দান্ত। তাদের সঙ্গে কাজ না করলে বুঝতামই না অনেক কিছু। তাদের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। যতদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ইনভলব ছিলাম, অনেক কিছু শিখেছি। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি।

 

এর আগে একটি গ্ল্যামার ফটোশুটে দেখা গিয়েছিল। চলচ্চিত্রে যুক্ত হওয়ার পূর্ব লক্ষণ ছিল নাকি এটি?

এর আগে রাফকে দিয়ে কার্লি হেয়ারে একটি শুট করেছিলাম। কারণ, কামব্যাক করার ইচ্ছা ছিল। তখন থেকেই চিন্তা ছিল অভিনয়ের সঙ্গে আরও পোক্তভাবে যুক্ত হওয়ার।

 

তাহলে কি বলব এই ছবিটি আপনার জন্য টার্নিং পয়েন্ট হবে?

এমন কিছুই না। অনেক নিউজে ভুল লিখেছে। তারা লিখেছে, এটি মুক্তির পর আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হবে। আসলে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতাই আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। তবে এই চলচ্চিত্রটি আমার জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে প্রস্তুতি কেমন ছিল?

এই এক বছরে অনেক মুভি, ইন্টারভিউ, অ্যাক্টিং নিয়ে পড়েছি, দেখেছি। প্রচ-ভাবে পরিবর্তন হয়েছে আমার জীবন। এটা আমার জন্য একটা বড় অর্জন। এই সময় অনেক কিছু শিখেছি। সেটাই চলচ্চিত্রে প্রতিফলন করার চেষ্টা করেছি।

 

আর কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন?

দুই-তিনজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমিই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে, আশা করছি সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

 

তাহলে নাটকে আর অভিনয় করছেন না?

অবশ্যই করব। অনেকেই মনে করছেন করব না। ভালো নির্মাতা, গল্প ও টিম হলে নাটকে অবশ্যই অভিনয় করব। আমার অভিনয়ের ক্ষুধা রয়েছে। সেই ক্ষুধা থেকেই নিয়মিত কাজ করতে চাই। এখন থেকে আরও ডেডিকেশন দিয়ে অভিনয় করব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর