বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → জানে আলম

সবাই আমাকে ‘পপসম্র্রাট’ সম্বোধন করে

জনপ্রিয় পপসংগীতশিল্পী জানে আলম। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গান করছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একইভাবে তারুণ্যের গতিতে গান করে চলেছেন। স্টেজ, টিভি লাইভ, অ্যালবাম-প্রত্যেকটি জায়গায়ই নিজের সরব উপস্থিতির মাধ্যমে শ্রোতাদের মন ভরিয়ে তুলছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও অজানা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

সবাই আমাকে ‘পপসম্র্রাট’ সম্বোধন করে

‘শতাব্দীর মহানায়ক’ অ্যালবামটি বের করছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কি বিষয় থাকছে?

  ৩০টি গান নিয়ে ‘শতাব্দীর মহানায়ক’। ৩টি সিডি একত্রে। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন বাঁক গানে গানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধুর শৈশব, রাজনীতিতে প্রবেশ, ভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা গানের মাধ্যমে এ অ্যালবামে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

 

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের উদ্যোগের পরিকল্পনা কেন?

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘হাজার উন্নয়ন’ নিয়ে গান করার জন্য। এরপর আমি পরিকল্পণা করি। তখন কিছু উন্নয়ন নিয়ে ৩টি সিডি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেটি কিন্তু ব্যাপক সাড়া ফেলে। নাম ছিল ‘জনতার শেখ হাসিনা’। এরপর আমি পরিকল্পনা করি যে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে একই রকম গানের অ্যালবাম করব। কারণ আমার মনে হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার একটি বিশেষ অ্যালবাম থাকা উচিত। যেহেতু আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আর বাংলাদেশে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও অনেক গান করেছি। বঙ্গবন্ধুর শত বছরের একটি বিষয় ভেবে এটি করার উদ্যোগ নিই।

 

এই পরিকল্পনা কতদিন ধরে করেছেন?

পরিকল্পনা তো অনেক দিন আগে থেকেই করেছিলাম। তবে ১ বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ করেছি। এটির গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় রয়েছেন শিক্ষানুরাগী সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আশা করছি, এই অ্যালবামটিও ‘জনতার শেখ হাসিনা’র মতো শ্রোতার হৃদয়ে সাড়া ফেলবে।

 

গানের গীতিকার ও সুরকার কে?

গান আমিই গেয়েছি। সুর ও সংগীত পরিচালনাও আমি করেছি। গান লিখেছেন হাসান মতিউর রহমান, মিল্টন খন্দকার; সুরকার লিটন অধিকারী রিন্টু ও দেলোয়ার আরজুদা সারাফ।

 

‘পপসম্রাট জানে আলম’ অ্যালবামটি নিয়ে জানতে চাই...

এই অ্যালবামটি অনেক আগের। এটিতে ৪০টির মতো গান রয়েছে। আমি আমার জনপ্রিয় কিছু গান নতুন ফরম্যাটে মিউজিক ট্রাক করে বের করেছিলাম।

 

পপসম্রাট বলা হয় আজম খানকে। তাহলে এই অ্যালবামটির এমন নাম কেন?

তিনি তো গুরু, পপগুরু! গুরু হলো সবচেয়ে বড় স্তরের। তবে সারা দেশের মানুষ আমাকে এখন ‘পপসম্রাট’ সম্বোধন করে। এটা আমার দেওয়া কোনো উপাধি নয়। ভক্তরা ভালোবেসে উপাধিটি দিয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও আমাকে পপসম্রাট বলেন। আমার গানের সংখ্যা চার হাজারের অধিক। বাংলাদেশের কোনো পপগায়ক এত সংখ্যক গান রেকর্ড করতে পারেননি। আমার যুগোত্তীর্ণ অনেক গান রয়েছে। অনেক সুপারহিট গানের গায়ক আমি জানে আলম। কোম্পানির লোকেরা গান বের করে অ্যালবামের নাম ‘পপসম্রাট’ দিয়েছেন। পপসম্রাটের শ্রেষ্ঠ গান।

 

গান নিয়ে বর্তমানে আর কোনো ব্যস্ততা রয়েছে?

সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরাই হবে আমার লক্ষ্য। দেশ ও বিদেশে কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকব। আমেরিকায় বঙ্গবন্ধুর ওপর কনসার্ট করব। একক কনসার্ট হবে। জাতির জনকের ওপর আমি ৩০টি গান করব সেখানে। এছাড়াও গান গাইতে ফ্রান্স ও কানাডায় যাব এবার। এভাবে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে বাইরে ব্যস্ত থাকব আমি ও আমার দল।

সর্বশেষ খবর