শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত তারকা

শোবিজ ডেস্ক

করোনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত তারকা

অনলাইনে মাধুরীর নাচের ক্লাস

করোনাভাইরাসের সংকটে গোটা ভারত লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ দেশের সব কাজ। বলিউডও একই পথের পথিক। কিন্তু তাই বলে তো সেলেবরা শরীরচর্চা থামিয়ে রাখতে পারেন না। আর নাচের চর্চার চেয়ে চমৎকার ওয়ার্ক-আউট আর অন্যকিছু হতেই পারে না। এমনটাই মনে করেন মাধুরী দীক্ষিত। তাই লকডাউনে দেশের মানুষ যখন গৃহবন্দী তখন নৃত্যে উৎসাহিত মানুষ নাচের মধ্য দিয়ে সময় কাটান, এমনটাই ইচ্ছা তার। এটা করার জন্য অনলাইন ড্যান্স ক্লাসের আয়োজন করছেন তিনি। নিজের এই অন্যরকমের প্রজেক্টের জন্য দেশের সেরা কোরিওগ্রাফারদের সঙ্গে নিয়েছেন মাধুরী। চলতি মাসজুড়ে চলবে এই প্রশিক্ষণ। এই সংকটকালে মানুষের মনে সামান্য আনন্দ দিতেই মাধুরীর এই প্রয়াস। অনলাইন প্রজেক্টে মাধুরীকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন পণ্ডিত বীরজু মহারাজ। থাকছেন সরোজ খান, টেরেন্স লিউইস, রেমো ডিসুজা প্রমুখ। মাধুরী বলেন, বাড়িতে বন্দী থাকার সময়টায় নৃত্যপ্রেমী মানুষ নাচ এনজয় করুন, এটাই চাইছি। ফ্যান ও দর্শকরা নিজেদের ভিডিও আপলোড করে মাধুরীর সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন। মাধুরীর ডাকে কেমন সাড়া মেলে এখন সেটাই দেখার।

 

শোয়ার্জনেগারের ৮ কোটি টাকা দান

করোনা লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন হলিউড তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। ফ্রন্টলাইন রেসপন্ডার্স ফান্ডে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দান করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই তথ্য প্রকাশ করে নিজের অনুসারীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ‘টার্মিনেটর’ তারকা। তার অনুরোধ ফেলতে পারেননি ভক্তরাও। কিছুক্ষণের মধ্যে পাঁচ লাখ ডলারও জমা হয়ে যায় এই ফান্ডে। শোয়ার্জনেগার লেখেন, ‘সোফায় বসে থেকে শুধু অভিযোগ করার ব্যক্তি আমি নই। আমি বিশ্বাস করি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে।’

 

লকডাউনে সৃজনশীল কাজে আলিয়া?

সারা বছর শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে এখন লকডাউন চলছে। লকডাউনের এই সময়টায় সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দিয়েছেন এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের ওপর অনলাইনে ক্লাস করছেন এই অভিনেত্রী।

 

পরিবার নিয়ে ঘরে ঋতুপর্ণা

‘রাতে আমার ছেলে এফ ওয়ান ফর্মুলার কার রেস দেখায়। আমিও দেখছিলাম। বাবা আর ছেলে গাড়ির স্পিড নিয়ে কথা বলছিল। স্পিড শব্দটা শুনতে শুনতে চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল। তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ সঞ্জয়ের ডাক শুনতে পাই। ও বলল, ‘রেস শেষ হয়েছে। ঘরে এসে ঘুমাও।’ আচ্ছা, এত স্পিড দিয়ে কী হবে? স্পিডেও ব্রেক লাগাতে হয়। আজ যেমন স্পিড বন্ধ। আমরা বড্ড বেশি রেসে ঢুকে গেছি। আর রেস করতে চাই না, আমি বাঁচতে চাই’ কথাগুলো বলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মহামারী করোনা প্রকোপে গোটা পৃথিবীর মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এখনো এ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। সময়ের সঙ্গে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। থমকে গেছে সারা পৃথিবী। কাজ আর অর্থের পেছনে ছুটে বেড়ানোর তাড়া এখন তেমন একটা নেই। এই ছুটে বেড়ানোর গতিতে ছেদ পড়েছে। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাও আর ছুটে বেড়াতে চান না। জীবন উদযাপন করতে চান। ঋতুপর্ণা স্বামী-সন্তানদের নিয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। সেখানে নিয়ম মেনে ঘরে অবস্থান করছেন। পুরো পরিবারের সঙ্গে সময় পার করছেন।

 

রুটি বানানোর চ্যালেঞ্জে তনুশ্রী

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুটি বানানোর চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। বুধবার তিনি রুটি বানানোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় তিনি কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন, তা ভক্তদের কাছে তুলে ধরতেই এই ভিডিও পোস্ট করেন তনুশ্রী। তনুশ্রীর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি রুটি বানানোর চেষ্টা করছেন। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি সাধারণত যে কাজগুলো করেন না, সেগুলোই এখন করার চেষ্টা করছেন। ভিডিওটি পোস্ট করে ভক্তদের উদ্দেশে তার প্রশ্ন, ‘তোমরা কি পার গোল রুটি বানাতে?’ অন্যদেরও রুটি বানানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে তাকে ট্যাগ করতে বলেছেন তনুশ্রী। অন্যদেরও তাদের পরিচিতদের কাছে এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাতে বলেছেন।

 

আনু এই শিক্ষা সারা জীবনের

অন্ধকার রাতের পর যেমন সূর্য ওঠে, যেমন সব কালো মেঘকে রুপালি রেখা ঘিরে থাকে... যে সময়টা এখন সবার দুর্বিষহ মনে হচ্ছে, সেই সময়টাই হয়তো আমাদের জীবনের যাপনকে সদর্থক করে তুলবে। আনুশকা শর্মার মতো তারকা যেমন মনে করছেন, এ সময় কিছু কঠিন উপলব্ধি হলো সবারই। যেটা হয়তো জেনেবুঝেই এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। ‘ব্যস্ততার কারণে বা অজুহাতে আমরা অনেক জিনিসকে জীবন থেকে ব্রাত্য করে দিয়েছিলাম। এই পরিস্থিতি জোর করে আমাদের সেই জিনিসগুলো মনে করিয়ে দিল। কেন জানি না মনে হচ্ছে, এটার প্রয়োজন ছিল আমাদের সবার। এই শিক্ষা সারা জীবনের, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে অকপট আনুশকা। কত ন্যূনতমভাবে আমরা চলতে পারি, সেই উপলব্ধির কথাও বলেছেন নায়িকা। খাবার, জল, মাথার ওপরের ছাদ আর আমার পরিবারের সবার সুস্থতা- এর বেশি সত্যিই কিছু চাওয়ার নেই আমার। বাদবাকি যা পেয়েছি, সবটাই উপরি, লিখেছেন তিনি।

 

দরিদ্রদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বিদ্যা

কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিদ্যা বালন। এবার নিজের ভুলটা শুধরে নিয়ে এই কঠিন পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন অভিনেত্রী। ‘মুম্বাই রোটি ব্যাংক’ নামে একটি সংস্থা দরিদ্রদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা মুম্বাইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ডি শিবানন্দন। এর সঙ্গে যুক্ত বিদ্যা নিজেও। এই সংস্থাটি নিয়মিত মুম্বাইয়ের পাঁচ-ছয় হাজার মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যা। এই প্রয়াসকে আরও ছড়িয়ে দিতে অভিনেত্রীর অনুরোধ, আপনারা দয়া করে এই কঠিন সময়ে না খেতে পাওয়া মানুষের পাশে থাকুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই অনুরোধ জানিয়েছেন। বিদ্যা আরও বলেছেন, করোনার জন্য গোটা বিশ্বই এখন সংকটের সম্মুখীন। এর জেরে ভারতে অসংখ্য লোক অভুক্ত থাকছেন। মুম্বাই রোটি ব্যাংক এই দরিদ্র, না খেতে পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের খাবার জোগান দিচ্ছে। এই উদ্যোগে আপনারাও শামিল হোন।

 

ঘর পরিষ্কার করছেন জারিন খান

সালমান খানের ‘বীর’-এর অভিনেত্রীকে মনে আছে! হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, জারিন খানের কথাই বলা হচ্ছে। এবার সেই জারিন খানকে দেখা গেল লকডাউনের মধ্যে ঘর পরিষ্কার করতে। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন বলিউড অভিনেত্রী। যেখানে দেখা যায়, লকডাউনের মধ্যে সময় নষ্ট না করে নিজের ঘর পরিষ্কার করছেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, বর্তমানে সব জিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে শরীরচর্চার জন্য ঘর পরিষ্কারের মতো উপযুক্ত জিনিস আর নেই। অর্থাৎ, ঘর পরিষ্কার করে আপনি এই অসময়ে শরীর ফিট রাখতে পারবেন জিমে না গিয়েও। এমন মন্তব্যও করতে দেখা যায় জারিন খানকে। সালমান খানের হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন জারিন খান। সালমান খানের বিপরীতে ‘বীর’-এ অভিনয় করেই বি টাউনের চর্চায় চলে আসেন এই অভিনেত্রী।

সর্বশেষ খবর