রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় অসহায় শিল্পীদের পাশে নেই সচ্ছল তারকারা

করোনায় অসহায় শিল্পীদের পাশে নেই সচ্ছল তারকারা

করোনাভাইরাস মহামারীর তাণ্ডবে বিশ্ব আজ লণ্ডভণ্ড। প্রতিটি দেশের প্রতিটি সেক্টর বিপর্যস্ত। শোবিজ দুনিয়াও এই আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। তাদের রক্ষায় বিশ্বের অনেক দেশে এগিয়ে এসেছেন সচ্ছলরা। আমাদের দেশে শোবিজ জগতে এ নিয়ে অনাগ্রহ রয়েছে সচ্ছল তারকাদের। সেই কথাই তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ ও আলী আফতাব

 

বর্তমানে ব্যস্ত কমপক্ষে ১০ জন শিল্পীর কথাই যদি ধরি, এমন একজন শিল্পীর মাসিক আয় কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে ১০ জনের মাসিক আয় দাঁড়ায় ১ কোটি টাকা। এই এক কোটি টাকা থেকে তারা কি ২০ লাখ টাকাও অসহায় শিল্পী, নির্মাতা, কলাকুশলীদের সহযোগিতায় উপহার দিতে পারেন না। মানসম্মান রক্ষার্থে এসব শিল্পীর নাম প্রকাশ না করলেও সবার প্রত্যাশা লজ্জা-শরম যদি থাকে তাহলে তারা এই জগৎ থেকে আয় করা সঞ্চিত অর্থ নিয়ে দ্রুত অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়াবেন।
 

মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব আজ স্থবির। এমন কোনো সেক্টর নেই যা ক্ষতির মুখে পড়েনি। বেকারত্ব, চাকরি হারানোসহ মানবেতর জীবন যাপনে পড়েছে প্রায় সব পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তারা আজ চরম অসহায়। পরিবার নিয়ে উপোস করছে স্বল্প আয়ের মানুষ। তাদের কথায় করোনায় নয়, না খেয়েই মরতে হবে তাদের। কারণ তাদের ঘরে খাবার নেই। চলচ্চিত্র, নাটক, আর সংস্কৃতি জগতের কথা যদি ধরি তাহলে দেখা যায় সংসার চালাতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে অসচ্ছল শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তারা না পারছেন কাউকে স্পষ্ট করে কিছু বলতে, না পারছেন পরিবারের দায় মেটাতে। চলচ্চিত্রজগতে হাতে গোনা কয়েকজন কলা-কুশলী চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ব্যানারে অসহায় শিল্পী কলাকুশলীদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। এর পরিমাণ এত স্বল্প যে, তা দিয়ে দিন কয়েক মাত্র চলতে পারে। কিন্তু করোনা কত দিন স্থায়ী হবে তা সবার অজানা। তাই স্বল্প এই ত্রাণ কতদিন এসব মানুষের ক্ষুধা মেটাতে পারবে? এই প্রশ্ন এখন বিত্তশালী শোবিজ জগতের মানুষের কাছে রাখছেন অসহায় মানুষরা। তাদের প্রশ্ন, নির্মাণ আর অভিনয় করে অনেক শিল্পী-নির্মাতা আছেন যারা দেশ-বিদেশে বাড়ি গাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আজ তারা কোথায়? শোবিজ জগতের টাকা দিয়ে যারা অর্থবৈভবের মালিক হয়েছেন তারা আজ ক্ষুধাপীড়িত শিল্পী-কলাকুশলী আর নির্মাতাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন না কেন? বলিউডের শিল্পীদের দেখেও তো তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। একজন অভিনেতা অক্ষয় কুমার ব্যক্তিগতভাবে অসচ্ছল মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রথমে ২৫ কোটি রুপি এবং পরে পিপিই কেনার জন্য তিন কোটি রুপিসহ আরও অনেক অর্থ সাহায্য প্রদান করেছেন। এমন আরও অনেক বলিউড তারকার উদাহরণ দেওয়া যায় যার তালিকা অনেক দীর্ঘ হবে। আর আমাদের দেশে শুধু নাটকের শিল্পীদের কথাই যদি বলা হয় তাহলে বর্তমানে ব্যস্ত কমপক্ষে ১০ জন শিল্পীর কথাই যদি ধরি, এমন একজন শিল্পীর মাসিক আয় কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে ১০ জনের মাসিক আয় দাঁড়ায় ১ কোটি টাকায়। এই ১ কোটি টাকা থেকে তারা কি ২০ লাখ টাকাও অসহায় শিল্পী, নির্মাতা, কলাকুশলীদের সহযোগিতায় উপহার দিতে পারেন না। মান-সম্মান রক্ষার্থে এসব শিল্পীর নাম প্রকাশ না করলেও সবার প্রত্যাশা লজ্জা-শরম যদি থাকে তাহলে তারা এই জগৎ থেকে আয় করা সঞ্চিত অর্থ নিয়ে দ্রুত অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়াবেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের কি শুধু একাই মাথাব্যথা অসহায় শিল্পীদের নিয়ে? যিনি কিনা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে প্রতিনিয়ত অসহায়দের পাশে ছুটে যাচ্ছেন। যারা এই জগতের অর্থ দিয়ে গুলশান-বনানী-উত্তরাসহ আরও অনেক অভিজাত এলাকায় বাড়ি করেছেন, একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছেন, যাদের প্রচুর ব্যবসা তারা আজ কোথায়? তারা এগিয়ে এলে সরকারের কাছে কেন প্রণোদনা চাইতে হবে। সংগীতজগতে কি শুধু একজন শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎয়েরই সব দায়-দায়িত্ব। বাকি দেশসহ উপমহাদেশের খ্যাতিমানরা কোথায়? অনেকে আবার নিজস্ব নানা সামগ্রী নিলামে তুলছেন। অনেকের কথায় তাদের ব্যবহৃত সামগ্রী নিলামে তুলছেন ভালো কথা, সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আরও কিছু অর্থ যোগ করে দিলে তো কোনো শিল্পী, কলাকুশলী আর নির্মাতা ক্ষুধার্ত থাকে না। একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেতের কথাই যদি বলা হয়, তার এমন কী দায় পড়েছে দেশের ৪৭ ইউনিয়নে নিজের পকেটের অর্থ দিয়ে আর মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়া। তার মতো সামর্থ্যবান অন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা আজ কোথায়? হানিফ সংকেতের কাছে তার এ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স্বতঃফূর্তভাবে বলেন, ‘আমরা ইত্যাদি পরিবারের পক্ষ থেকে এই দুর্যোগে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এসব পদক্ষেপে অংশগ্রহণ করেছেন ইত্যাদিতে বিভিন্ন সময়ে প্রদর্শিত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা। তারই ধারাবাহিকতায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজধানীর ১৫টি পয়েন্টে ‘ইত্যাদি’ কর্মীদের মাধ্যমে ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সদরের আলহাজ সিদ্দীক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে ফেসবুকে সেবাদানকারী মামুন বিশ্বাসের মাধ্যমে কয়েক শ অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩১ মার্চ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পুরোটাই চলেছে দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম। ইত্যাদিতে প্রদর্শিত ছাদকৃষির প্রবর্তক গ্রিন সেভার্সের প্রধান আহসান রনির মাধ্যমে নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, পাবনা ও পটুয়াখালীর সাত উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে, রাজশাহীর ‘ওরা ১১ জন’-এর মাধ্যমে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায়, শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত হাজির হওয়া কতর্ব্যনিষ্ঠ শিক্ষক নূরুল ইসলামের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ আরও অনেক স্থানেই সচেতনতামূলক মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ইত্যাদির উদ্যোগে ‘সিএসআর উইন্ডো’-এর কর্মীদের মাধ্যমে চলছে ‘পাশে আছি’ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে যে কোনো পরিবার অসহায় মানুষকে খাবার দিতে চাইলে এসব কর্মী তাদের বাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০ জনের জন্য রান্নাকরা খাবার সংগ্রহ করে ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।’ অনেক বিত্তবান শিল্পী আর তারকা কাছে কেন এগিয়ে আসছেন না এমন প্রশ্ন করা হলে তাদের জবাব, আমরা গোপনে করছি অথবা আবার যদি বেঁচে যাই তাহলে দেখব? আপনাদের কাছে প্রশ্নÑগোপন আর আগামীর জন্য আপনারা বসে থাকলেও দুর্যোগ কি আপনাদের জন্য বসে থাকবে? হানিফ সংকেত বলেন, ‘শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে এ সময়  অনেকের অনুপস্থিতির কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এদের নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে। করা হচ্ছে ট্রল। কদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলের টকশোয় এক সাংবাদিক একজন শিল্পীকে প্রশ্নও করেছিলেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ের পর সরকারের ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চারপাশে যেভাবে শিল্পীদের দেখা গেছে, এই দুর্যোগে সেভাবে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না কেন?’ আবার টিভিতে, পত্রিকায় অনেককেই ইদানীং বলতে শোনা যায়, আমি ব্যক্তিগতভাবে গোপনে ত্রাণ দিচ্ছি, প্রচার করতে চাই না। এ ধরনের কথা বলার পেছনেও অনেকের উদ্দেশ্য থাকে। এ কথা বলে অনেকে যেমন নীরবে ত্রাণ দিচ্ছেন, তেমনি আবার না দিয়েও অনেকে গোপনে দিয়েছি বলে পার পেতে চেষ্টা করছেন। আসলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য, পরিচিত ও জনপ্রিয় মানুষের ত্রাণ কার্যক্রম গোপনে নয়, প্রকাশ্যে করা উচিত। তাতে অন্যরা উদ্বুদ্ধ হন।’ অনেক তারকা আবার আগের মতোই আত্মপ্রচারের জন্য ত্রাণ কার্যক্রমে শরিক হয়েছেন। ত্রাণের প্যাকেট অসহায়ের হাতে তুলে দিয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁত বের করা সেই ত্রাণকর্তা (?) তার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছেন, পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠাচ্ছেন। এসব দেখে আবারও বলতে হয় ‘হায় সেলুকাস...।’ এমন অনেক শিল্পী আছেন যারা প্রতি মাসে দেশ-বিদেশে স্টেজ শোয়ের মাধ্যমে কোটি টাকা আয় করেন। তারা আজ অসহায়দের পাশে নেই কেন? এমন প্রশ্ন আজ শোবিজ জগতের অসহায় মানুষের। অভিনয় শিল্পী সংঘের সচ্ছল ও সময়ের শীর্ষ তারকাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সেই আহ্বানে আহামরি কোনো সাড়া পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম। তিনি বলেন, ‘যাদের ওপর ইন্ডাস্ট্রি নির্ভর করে, যাদের ঘিরে নাটকের জগৎ ব্যস্ত এবং যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি শুটিং হচ্ছে, ঈদে ৬০০/৭০০ নাটকের বেশির ভাগ নাটকে যেসব তারকা অভিনয় করেন, এদের অনেকের পেছনেই লগ্নিকারী, নির্মাতারা শিডিউলের জন্য ঘোরাঘুরি করেন, যারা বেশির ভাগ সময় শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই সময়ে প্রতিদিন যদি এক থেকে দেড় কোটি লগ্নি হয়, তার সিংহভাগ যাচ্ছে ওইসব তারকার কাছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সাহায্যে এগিয়ে আসেননি বা আসছেন না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে পাঁচ হাজার মানুষ কাজ করেন, যাদের বেশিরভাগ মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এই করোনা পরিস্থিতিতে আমরা মনে করেছি, তাদের নিরাপত্তা দেওয়াই সংগঠনের কাজ। এজন্য আমরা অনুরোধ করেছিলাম এই সহায়তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে। আমাদের আহ্বানে অনেকেই সাড়া দিয়েছেন, আবার অনেক জনপ্রিয় তারকাই সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। খুব নগণ্য জনপ্রিয় তারকারা সাহায্য করেছেন।’ এই দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে নাট্য-সংশ্লিষ্ট চার সংগঠনÑ অভিনয় শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড, নাট্যকার সংঘ ও প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন। এই চার সংগঠন মিলে সম্প্রতি প্রডাকশন, মেকআপ, লাইটিং, ক্যামেরাসহ নাটকের অসচ্ছল কর্মীদের সাহায্য করা হয়েছে। এখানে অভিনয় শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। নাসিম বলেন, ‘এরপর আমরা অভিনয় শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে ১১০ জন অভিনয়শিল্পীকে সাহায্য করেছি। সামনে আরও সাহায্য করতে হবে। সংগঠনের সহস্রাধিক শিল্পীর মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ শিল্পী আছেন যারা স্বল্প আয়ের। আত্মসম্মানবোধের কারণে না খেয়ে থাকলেও অনেকে তাদের কষ্টের কথা বলতে চান না। আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই। তাই সবার সহযোগিতা আমাদের কাম্য।’ প্রতিটি কোম্পানির পণ্যকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন শোবিজ তারকারা। কিন্তু এই ক্রান্তিকালে আমাদের শোবিজ অঙ্গনের পাশে নেই কোনো কোম্পানি। ভারতের নেটফ্লিক্স ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে শোবিজাঙ্গনের জন্য। এ নিয়ে আক্ষেপ করে নাসিম বলেন ‘গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, রবির মতো ১৫টি কোম্পানি আছে যারা আমাদের জন্য কিছুই করছে না।’ সর্বশেষ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেতের আরেকটি মন্তব্য দিয়ে শেষ করতে চাই, তার কথায়-‘নিজেকে জাহির করতে অনেক তারকাকে দেখা যায় রাস্তায় কুকুরকে খাওয়াচ্ছে আর ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করছে। আমার কথা হলো অবলা জীবকে খাবার দিচ্ছেন ভালো কথা, কিন্তু নিজের পাশের অভাবী মানুষটির দিকেও তাকানো কি দায়িত্ব নয়? নাকি পশুপ্রেমী হিসেবে আত্মপ্রচার করেই সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাল্যশিক্ষার এ আদর্শকে ধারণ করে মানুষের সেবা করছেন। যাদের জীবন সাধনার নামই হচ্ছে জনকল্যাণ। করোনা দুর্যোগের এই ক্রান্তিকালে আমরা তেমনি কিছু মানুষকে দেখতে পেয়েছি, যারা তাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়েও বিত্তহীন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি ঘৃণা ও ধিক্কার জানাচ্ছি সেসব মানুষকে, যারা অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করছেন এবং অসহায়ের পাশ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’

সর্বশেষ খবর