রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ

শোবিজ প্রতিবেদক

করোনায় নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ

করোনার প্রভাবে, খুব বাজে একটি সময়ের মধ্য দিয়ে পার করছে সারা বিশ্ব। একটি অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি আমরা। এর ভালো একটি প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শোবিজ অঙ্গনের মানুষও আজ ঘরবন্দী। নেই কোনো নতুন নাটক, সিনেমা কিংবা গানের কাজ। এমন একটি সময়ে কিছু মানুষ নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষদের জন্য। তাদের একজন হচ্ছেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের শুরু থেকে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক ভিডিও দিয়ে আসছেন শুরু থেকে। পাশাপাশি গেল ৩১ মার্চ ‘বিদ্যা নন্দে’ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন এই গুণী শিল্পী। এ ছাড়া ২৫ জন মিউজিশিয়ানকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি। জানা যায়, এই দেড় লাখ টাকার মধ্যে কুমার বিশ্বজিৎকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী চন্দন সিনহা আর বাকি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ নিজেই। শুধু তাই নয়, সীতাকু-ে কুমার বিশ্বজিতের কিছু দোকান আছে। তিনি এরই মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের দোকার ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে আটকা পড়েছেন কুমার বিশ্বজিতের স্ত্রী। ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় আছেন তিনি। এসব প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘খুব বাজে একটি সময় পার করছি আমরা। এই সময় যদি মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারি তবে কবে দাঁড়াব। আমি নীরবে কাজ করে যাচ্ছি শুরু থেকে। আমি কিছু দিন আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি বিদ্যা নন্দের এক টাকার আহার প্রসঙ্গে। বিষয়টি আমার কাছে ভালো লাগে। আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তাদের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেই। এ ছাড়া এখন তো কোনো স্টেম শো নেই। বিপাকে আছেন অনেক মিউজিশিয়ান, সাউন্ড ও লাইটম্যানরা। আমি, শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও চন্দন সিনহা মিলে তাদের দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। এই অবস্থা যদি আরও চলতে থাকে সামনে আরও কিছু পরিকল্পনা আছে আমাদের। এই করোনায় আরও একটি অভিজ্ঞতা হলো আমার। আর তা হলো, আমরা স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে। আর আমি ছেলেকে নিয়ে আছি ঢাকায়। বাচ্চার দেখাশোনা, খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা সবই আমাকে করতে হচ্ছে। আছে পুরো বাড়ি ঠিক রাখা, বাজার সদাই আছে কি না- সব কাজ করতে হচ্ছে আমার।’

সর্বশেষ খবর