এন্ড্রু কিশোরের দেশে ফেরা অনিশ্চিত। এখনই তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না। সম্প্রতি বেশকিছু গণমাধ্যমে এন্ড্রু কিশোরের দেশে ফেরার কথা প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়, বিশেষ ফ্লাইটে বুধবার দেশে ফিরছেন এই কণ্ঠশিল্পী। এই খবরটিকে ভুল ও ভিত্তিহীন বলে জানালেন কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘লেজার ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজহারুল ইসলাম হংকংয়ের কণ্ঠশিল্পী সুফি আসমারের রেফারেন্স দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেখানে বলেছিলেন যে, দাদা বুধবার বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন। কিন্তু এই খবরটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, সবাই কেন এই খবরটি বিশ্বাস করছে? দাদার সঙ্গে তো মাজহারুল ইসলামের দুই বছর হলো কথাই হয় না! দাদার ফেরার খবর ভুল। আমি দাদার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, দেশে ফেরার ব্যাপারে তো কোনো কথাই হয়নি তার সঙ্গে।’

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা গানের প্লে-ব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর এখন ভালো আছেন। এই সময়ে তিনি সিঙ্গাপুরে আটকা পড়ে আছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশে ফিরবেন। যদি সিঙ্গাপুর থেকে ফ্লাইট ছাড়ে; তাহলে মাসখানেকের মধ্যেই তিনি দেশে আসতে পারেন। এই সুখবরটি কিছুদিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস। কিন্তু সম্প্রতি বেশকিছু গণমাধ্যমে এন্ড্রু কিশোরের দেশে ফেরার ভিত্তিহীন খবর প্রকাশিত হওয়ায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেছেন। মোমিন বিশ্বাস বলেন, ‘৮ মাসের বেশি সময় ধরে দাদা সিঙ্গাপুরে চিকিৎসায় আছেন। দাদার ট্রিটমেন্ট ৯৫% সম্পূর্ণ। তিনি আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ। এখন তিনি দেশে ফেরার মতো অবস্থায় রয়েছেন, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে। আর যদি সিঙ্গাপুর থেকে ফ্লাইট ছাড়ে! সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। আগে থেকে তার ফেরার ব্যাপার বলা মুশকিল।’ মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। এর আগে সিঙ্গাপুরে হুইল চেয়ারে বসে একটি অনুষ্ঠানে গানও শুনিয়েছিলেন। চলছিল দেশে ফেরার প্রস্তুতিও। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দেশে ফেরা আর হয়নি তখন। তবে, বিশেষ ফ্লাইটে বিদেশে আটকে পড়াদের দেশে আনছে সরকার। এমন কোনো ব্যবস্থা হলে এন্ড্রু কিশোর দ্রুতই দেশে ফিরতে পারবেন। তবে কয়কে মাস পর পর নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুরে আসতে হবে তাকে। এন্ড্রু কিশোর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থ অবস্থায় ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি  Non Hodgkin Disease (Lymphoma) তে আক্রান্ত হন। তখন থেকে নিয়মিত কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এরপর একটু একটু করে সেরে উঠছিলেন। এন্ড্রু সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ডা. লিম সুন থাইয়ের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।