সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিকল্পনা করি

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিকল্পনা করি

দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. মাহাফুজুর রহমানের হাত ধরে চ্যানেলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে এটি দর্শক গ্রহণযোগ্যতার শীর্ষে রয়েছে। লকডাউনের মধ্যেও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান প্রচারের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আসছে ঈদেও থাকছে বৈচিত্র্যপূর্ণ সব অনুষ্ঠান। এ বিষয়ে ড. মাহাফুজুর রহমানের সাক্ষাৎকার তুলে ধরেছেন- আলী আফতাব

 

প্রতিবারের মতো এবারের ঈদেও থাকছে আপনার গানের অনুষ্ঠান। এ আয়োজনে কোন কোন গানগুলো পরিবেশন করবেন?

এবারের ঈদেও প্রচার হবে আমার একক গানের অনুষ্ঠান ‘হিমেল হাওয়া ছুঁয়ে যায় আমায়’। অ্যালবামে ১০টি নতুন গান রয়েছে। গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। ঈদের পর দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচারতব্য এ অনুষ্ঠানে দর্শকরা শুনতে পাবেন হিমেল হাওয়া, এ বুকের ভেতর, পাহাড়ের জমে থাকা, তোমার পিছুটানে, আমি এমন একজন, ইচ্ছে জাগে, আবার ফিরে আসো, কথাই রাখোনি, মনটা শুধু দিও ইত্যাদি।

 

ঈদে আর কী কী অনুষ্ঠান থাকছে।

এবারের ঈদের যথারীতি সব ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করবে এটিএন বাংলা। ১০ দিনের ঈদ অনুষ্ঠানমালায় থাকছে একটি ধারাবাহিক নাটক। এ ছাড়া রয়েছে একক নাটক, টেলিফিল্ম, সেলিব্রেটি শো, সংগীতানুষ্ঠান, ছোটদের অনুষ্ঠান এবং চলচ্চিত্র। এবারের ঈদেও ১০ দিনে ২০টি চলচ্চিত্র প্রচার করা হবে। যার মধ্যে একটি চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন প্রিমিয়ার। এ ছাড়া রয়েছে সেনাপ্রধানের সহধর্মিণী দিলশাদ নাহার কাকলীর একক সংগীতানুষ্ঠান ‘বাঁকা চোখে চেওনা’।

 

এসব অনুষ্ঠান কি লকডাউনের আগে করা ছিল।

এটিএন বাংলার ঈদ অনুষ্ঠানমালায় একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার করা হবে। নাটকটি অনেক আগেই শুটিং করা হয়েছিল। তবে প্রচারের জন্য আমরা ঈদের বিশেষ সময়টাকে বেছে নিয়েছি। বেশ কিছু সংগীতানুষ্ঠান হবে যেগুলো লকডাউনের আগে ধারণ করা হয়েছে। রমজান মাসে স্বল্প পরিসরে স্টুডিওতে কিছু অনুষ্ঠান ধারণ করা হয়েছে। তবে এসব অনুষ্ঠান ধারণের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং একেবারে স্বল্প সংখ্যক লোকজন নিযুক্ত ছিল। 

এ লকডাউন আরও দীর্ঘ হলে সামনের দিনগুলোতে আপনার টেলিভিশন কী কী পদক্ষেপ নেবে

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের অনেক টেলিভিশন চ্যানেলেই লকডাউনের এ সময়ে পুরনো অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। এটিএন বাংলা দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল। আমরা লকডাউনের মধ্যেও শিডিউল মাফিক নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার অব্যাহত রেখেছি। আমাদের আর্কাইভে অনেক জনপ্রিয় নাটক এবং অনুষ্ঠান রয়েছে। লকডাউন আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে নতুন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আমরা কিছু কিছু পুরনো এবং জনপ্রিয় অনুষ্ঠান প্রচার করব। তবে পুরনো অনুষ্ঠানের পরিমাণ খুব বেশি হবে না।

 

সামনে আপনাদের নতুন অনুষ্ঠান পরিকল্পনা আছে কি?

দর্শকদের জন্য নিত্যনতুন অনুষ্ঠান উপহার দিতে এটিএন বাংলা কখনো কার্পণ্য করে না। প্রতিনিয়তই আমি চ্যানেলে নতুন অনুষ্ঠান প্রচারের পরিকল্পনা করি। আগামীতে ব্যতিক্রমী একটি রিয়েলিটি শো প্রচার করবে এটিএন বাংলা। এ ছাড়া লাইভ মিউজিক্যাল শো, সেলিব্রেটি শো এবং বেশ কিছু প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটক আগামীতে প্রচার করা হবে।

 

আবার গানের প্রসঙ্গে আসি, গানের প্রতি উৎসাহিত হলেন কীভাবে?

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি দুর্বলতা ছিল। বাবা গান খুব পছন্দ করতেন। তিনি প্রখ্যাত শিল্পীদের গানের রেকর্ড নিয়ে আসতেন। বাসায় প্রচুর গানের রেকর্ড ছিল, যেখানে প্রখ্যাত কোনো শিল্পী বাদ ছিলেন না। পাশাপাশি খ্যাতিমান লেখকদের বিশাল বইয়ের ভাণ্ডার গড়ে তুলেছিলেন বাবা। আমার দুই বোনকে গান শেখানোর জন্য দুজন শিক্ষক এবং দুজন যন্ত্রবাদক রেখেছিলেন। আমাকেও বাবা বোনদের সঙ্গে গান শেখাতে বসাতেন। এতে গানের সঙ্গে মিতালিটা আমার জন্য খুবই সহজ হয়ে গিয়েছিল।

 

গানকে বলা হয় গুরুমুখী বিদ্যা, গুরুর দীক্ষা ছাড়া ভালো গাওয়া সম্ভব হয় না, এ কথার সঙ্গে আপনি কি একমত?

গলা হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত। গলা না থাকলে গুরু যেমন কিছু করতে পারেন না তেমনি গুরু ছাড়া গান হয় না। গানের জন্য নিয়মিত রেওয়াজ দরকার। আমি ২০ বছর ধরে সংগীত চর্চা করে আসছি।

 

আপনার গানের গুরু কে?

আমার এই গায়ক হয়ে ওঠার পেছনে গুরু হিসেবে মান্নান মোহাম্মদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি ধৈর্যসহকারে গান শিখিয়ে আমাকে এতটা পথ নিয়ে এসেছেন, তাকে আমি আমার গানের গুরু মানি।

 

ভারতের প্রখ্যাত সংগীতকার বাপ্পী লাহিড়ী আপনার গানের প্রশংসা করেছেন, এ বিষয়ে কিছু বলবেন?

হ্যাঁ, বাপ্পী লাহিড়ীর মতো বিখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব আমাকে বলেছেন গান সম্পর্কে আপনার এত জ্ঞান হলো কীভাবে। আসলে আমি যখন স্টুডিওতে তার গান রেকর্ডিংয়ের সময় বসতাম তখন বলতাম- বাপ্পীদা, এখানে এই যন্ত্রের কাজ আসলে পারফেক্ট হচ্ছে না। তিনি বলতেন ঠিক বলেছেন এবং তা ঠিক করে নিতেন। গান সম্পর্কে আমার মেধা আর আইকিউ দেখে সত্যি তিনি অবাক হয়েছেন এবং প্রশংসা করেছেন। এটিই গানের ক্ষেত্রে আমার বড় প্রাপ্তি ও স্বীকৃতি।

 

গান নিয়ে আপনার আগামী পরিকল্পনা কী?

প্রতি বছর ২-৩ জন শিল্পী উপহার দিতে চাই।  আসলে আমি গাইব এটি বড় কথা নয়, আমি শিল্পী তৈরি করব এটিই আমার মূল পরিকল্পনা।

সর্বশেষ খবর