মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সিনেমা হল খোলা নিয়ে দ্বন্দ্ব

আলাউদ্দীন মাজিদ

সিনেমা হল খোলা নিয়ে দ্বন্দ্ব

করোনাভাইরাসের কারণে মার্চের শেষের দিকে সরকারি নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় সিনেমা হল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ও সিনেমা হলের মালিক-কর্মচারীরা। অর্ধাহারে-অনাহারে কাটছে সিনেমা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবন। তাই সিনেমা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেক মালিক-কর্মচারী। আবার অনেকে করোনা দুর্যোগে সিনেমা হল খোলার বিরোধিতাও করছেন। মিরপুরের সনি সিনেমা হলে ৩৪ বছর ধরে চাকরিরত আবদুল সামাদ বলেন, ‘হল বন্ধ হওয়ায় বেতনের অভাবে অসহায় অবস্থায় পড়েছি। আমার মতো প্রায় সব সিনেমা হল কর্মচারী সমস্যায় আছেন। এখনই সিনেমা হল খোলা না হলে না খেয়ে মরতে হবে।’ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, সবকিছুই যখন খুলে দেওয়া হয়েছে তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমা হল খুলে দিতে সমস্যা কোথায়। আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছি। সিনেমা হল যদি না খোলে, তাহলে কোথায় মুক্তি দেব ছবি? চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির কর্মকর্তা কাজী শোয়েব রশিদ বলেন, করোনার এই দুর্যোগে সিনেমা হল খুললে দর্শক ছবি দেখতে আসবে বলে মনে হয় না। এতে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে প্রযোজক প্রদর্শকরা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সিনেমা হল খোলার চিন্তা করা যেতে পারে। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির আরেক কর্মকর্তা মিয়া আলাউদ্দীন বলেন, সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা যখন দেওয়া হয়েছে তখন প্রদর্শনে বাধা কোথায়? সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দর্শকের বসার ব্যবস্থা করলেই তো হয়। দীর্ঘদিন সিনেমা হল বন্ধ রাখলে লোকসানের কবলে পড়ে যে কটি সিনেমা হল অবশিষ্ট আছে তাও বন্ধ এবং এ শিল্পটিই বিলীন হয়ে যাবে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ রাজধানীর ‘অভিসার’ সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা।

সর্বশেষ খবর