করোনায় আক্রান্ত বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে বলিউড তারকা অভিষেক বচ্চন। অমিতাভ বচ্চনকে শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে অমিতাভের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। এর কিছুক্ষণ পর অভিষেক বচ্চনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক নিজেরাই টুইট করে তাদের কভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসার খবর জানিয়েছেন। ট্ইুটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অমিতাভ লিখেছেন, ‘আমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, পরিবারের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। ইতিমধ্যে আমার বাড়ির সবার নমুনা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা হচ্ছে। তবে এখনো তাদের রিপোর্ট পাইনি।’ অভিষেক লিখেছেন, ‘আমি আর বাবা দুজনই কভিড-১৯ পজিটিভ। আমাদের দুজনেরই কিছু উপসর্গ ছিল। আমরা হাসপাতালে ভর্তি। অনুরোধ করছি আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকবেন।’ টুইটারে অমিতাভ জনসাধারণের কাছে আবেদন করেন, গত ১০ দিনে যারা তার সান্নিধ্যে এসেছেন, তারা প্রত্যেকে যেন কভিড়-১৯ পরীক্ষা করান। এই ঘটনার পর দুশ্চিন্তা ছিল জয়া বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও আরাধ্যকে নিয়ে। তবে আপাতত স্বস্তির খবর মিলেছে। তাদের তিনজনেরই করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ১২ জুলাই সকালে নানাবতী হাসপাতালের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, নমুনা পরীক্ষায় তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ। তবে দ্বিতীয় পরীক্ষায় করোনার রিপোর্টে পজিটিভ আসে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং আরাধ্য বচ্চনেরও।
শনিবার জয়া বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়ার অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন ভক্তরা। কিন্তু গতকাল সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে পজিটিভ আসে ঐশ্বরিয়া এবং অমিতাভের আট বছরের নাতনি আরাধ্যর। যদিও জয়া বচ্চন এবং অমিতাভকন্যা শ্বেতা নন্দার কভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ৭৭ বছর বয়সী অমিতাভের ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও ফেসবুক পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ভারতে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের পুরোটা সময় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। ঘরে বসেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের খবরাখবর জানিয়েছেন। অবশ্য এমনিতে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ শুটিংয়ের কাজ চলছিল। এ ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে কাজ করছেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। ইতিমধ্যে অমিতাভের ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র অডিশনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে সরকারি করোনাবিধি অনুযায়ী ঘরের বাইরে শুটিংয়ে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই লকডাউন ঘোষণার পর বাইরের কোনো শুটিংয়ে অংশ নেননি অমিতাভ। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার লিভারের ৭৫ শতাংশ অকার্যকর হয়ে গেছে হেপাটাইটিস-বির মতো মারাত্মক ভাইরাসের আক্রমণে। এ রোগ তার শরীরে বাসা বেঁধেছিল ৩০ বছরেরও আগে। ‘কুলি’ ছবির শুটিংয়ের সেটে তার মারাত্মক একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তলপেটে মারাত্মক আঘাত পেয়ে প্লিহা ফুটো হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সে সময় তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়েছিল তাকে। সে সময় একজন দাতার রক্তে হেপাটাইটিস-বির সংক্রমণ ছিল। তার রক্ত নেওয়ার পর এই ভাইরাসের জীবাণু তার শরীরে ঢুকে যায়, যদিও ওই সময় কিছুই বুঝতে পারেননি কেউ।
