দেশীয় চলচ্চিত্রে অল্প সময়ে আপন মেধা ও যোগ্যতায় জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে যাওয়া চলচ্চিত্রকার অনন্ত। তিনি তার কাজে নিজ স্বার্থকে প্রাধান্য দেন না, কীভাবে অন্যের কল্যাণ করা যায় তাই ভাবেন তিনি। এই কল্যাণকর মনোভাবের কারণেই হিরো আলমকে অভিনয়ের সুযোগ করে দিলেন। অনন্তর ভাবনা ছিল-‘ছেলেটির মেধা আছে, কিন্তু উপযুক্ত প্লাটফর্মের কারণে সেই মেধার বিকাশ ঘটাতে পারছে না। তাই তাকে সুযোগ দেওয়া দরকার।’ কিন্তু হিরো আলম আগেই বিতর্কিত থাকায় সুধীমহলসহ অনন্তর দর্শক ভক্তরা হিরো আলমকে তার ছবিতে না নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। পরে তাকে বাদ দিতে বাধ্য হন তিনি। অনন্তর কথায়, ‘আমার মন খারাপ হয়ে যায় তখনই যখন সে আমার ছবির নাম ব্যবহার করে নারীঘটিত কেলেঙ্কারির জন্ম দেয়। তাছাড়া নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে তার বিরোধের বিষয়টিও আমি মীমাংসা করে দিই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে সে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করছে বলে যখন আমি জানতে পারি তখন বাধ্য হয়েই আমার ছবি থেকে তাকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিই।’ অনন্তর এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে অনেক চলচ্চিত্রকার বলছেন, অনন্ত একজন উদার ও স্বনামধন্য মানুষ। হিরো আলমকে নিয়ে তার কাজ করা মানায় না। চলচ্চিত্রকাররা হিরো আলমকে অনন্তর চলচ্চিত্র থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানান।