বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সিনেমা হল বন্ধ থাকলেও ছোট পর্দা মাতাবে আমার ছবি

সিনেমা হল বন্ধ থাকলেও ছোট পর্দা মাতাবে আমার ছবি

২০০৫ সাল থেকে ঈদে সিনেমা হলে মুক্তি পেয়ে আসছে শাকিব অভিনীত সর্বাধিক ছবি। এবার করোনার কারণে বড় পর্দায় শাকিবের ছবি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দর্শকরা। তবে টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে তার প্রায় দুই শতাধিক ছবি। ঈদে শাকিবের বিপুলসংখ্যক ছবি প্রদর্শনে এই অভিনেতার প্রতিক্রিয়া কেমন। তা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

প্রায় দেড় যুগ ধরে ঈদে বড় ও ছোট পর্দায় আপনার সর্বাধিক ছবি প্রদর্শন হয়ে আসছে, বিষয়টি কীভাবে উপভোগ করছেন?

অবশ্যই ভালো লাগার মতো বিষয়। এজন্য দর্শকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসা না পেলে আজ যেমন আমি অভিনেতা শাকিব খান হতে পারতাম না তেমনি ব্যাপকভাবে আমার ছবিও প্রদর্শন হতো না। দর্শক দীর্ঘ সময় ধরে আমার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন, আমাকে ভালোবাসা দিয়ে আসছেন এতে আমি গর্ববোধ করি, নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

 

দর্শকের এই ভালোবাসা প্রাপ্তি কীভাবে সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন?

আসলে যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে ডেডিকেশন ও পারফেকশন থাকলে অবশ্যই তা সফল হবে। একই সঙ্গে কমিটমেন্টও থাকতে হবে। আমি অভিনয়ের শুরু থেকেই পরিশ্রমকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। শুরুতে অর্থ আমার কাছে মুখ্য ছিল না, কীভাবে কাজটি মানসম্মত হয় সেটিই ছিল আমার একমাত্র ধ্যান জ্ঞান, এমনও সময় গেছে যখন দিন-রাতের কথা ভাবিনি, ২৪ ঘণ্টা একটানা কাজ করে গেছি। এমনকি দুই ঈদেও ছবির শুটিং নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যস্ত থাকতাম। একসময় যখন অভিনয়কে হান্ড্রেড পার্সেন্ট প্রফেশন হিসেবে নিলাম তখন স্বাভাবিকভাবেই জীবন চালানোর তাগিদে অর্থ উপার্জনকেও গুরুত্ব দিতে হয়েছে। তার পরেও কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে মানের সঙ্গে কোনো আপস করছি না।

 

অভিনয় দিয়ে বিদেশের দর্শকেরও মন জয় করেছেন, কীভাবে?

ওই যে বললাম, কাজের ক্ষেত্রে মানই আমার কাছে প্রধান। বিদেশে বিভিন্ন দেশের ছবি একসঙ্গে একই মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পায়। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি ছবিকেই প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে আমি ভাগ্যবান যে, মধ্যপ্রাচ্যে কোনো বাংলা ছবি হিসেবে আমার অভিনীত ‘নবাব’ ছবিটি মুক্তি পেয়ে ব্লক বাস্টার হিট হয়। এই ছবিটি প্রদর্শন করতে গিয়ে মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দর্শকের ব্যাপক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে অন্য দেশের ছবি নামিয়ে ‘নবাব’ ছবির স্ক্রিন ও শো বাড়াতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া আমার অভিনীত ‘শিকারি’, ‘ভাইজান এলোরে’, ‘চালবাজ’সহ আরও কয়েকটি ছবি বিদেশে সাড়া জাগিয়েছে। এটি আমার নিজ দেশের জন্য বিশাল একটি প্রাপ্তি।

 

এবারের ঈদে করোনার কারণে বড় পর্দার দর্শক আপনার ছবি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, প্রতিক্রিয়া কি?

আসলে করোনা মহামারী হলো বৈশ্বিক, সারা বিশ্বে সব কিছুই প্রায় অচল হয়ে আছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও করোনার কারণে সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে। আমাদের দেশেও করোনা ঝুঁকি এড়াতে গত রমজানের ঈদ আর এই ঈদ শুধু নয়, ১৮ মার্চ থেকে টানা সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে। এতে হয়তো দর্শক এবং আমাদের চলচ্চিত্র জগতের মানুষের মন খারাপ। কিন্তু জীবন আগে বাঁচাতে হবে। তাই আশা করছি, দ্রুত করোনা থেকে বিশ্বের মানুষ মুক্তি পাবেন এবং চলচ্চিত্রসহ সবকিছু আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

 

এই ঈদে টিভি চ্যানেলগুলো প্রায় দুই শতাধিক ছবি প্রদর্শন করবে, কেমন লাগছে?

ভালো লাগছে, কারণ আমার প্রতি দর্শকের ভালোবাসা ও প্রত্যাশা এই ব্যাপক প্রদর্শনের কারণে বেশি পরিমাণেই পূরণ হবে বলতে পারি। টিভি চ্যানেলগুলোকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তারা সব সময়ই বিপুল পরিমাণে আমার ছবি প্রদর্শন করে আমার প্রতি দর্শকচাহিদা পূরণ করে আসছে। সবশেষে দর্শক, টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, চলচ্চিত্র জগতের মানুষসহ সর্বস্তরের সবার প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা এবং সবাই যাতে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়ে সুস্থ ও সুন্দর থাকতে পারেন সেই কামনা রইল।

সর্বশেষ খবর