শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আবদুল আলীমের প্রয়াণ দিবস আজ

শোবিজ প্রতিবেদক

আবদুল আলীমের প্রয়াণ দিবস আজ

আজ বাংলা লোকসংগীত সম্রাট আবদুল আলীমের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকালে আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন শিল্পীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেল শিল্পীর ওপর বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। লোকসংগীত, আবহমান বাংলার এই সংগীত ধারাকে অসাধারণ কণ্ঠ-ঐশ্বর্যে সর্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আবদুল আলীম। ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন লোকসংগীতের এই মুকুটবিহীন সম্রাট। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হলো ‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’। পল্লীগানকেই আবদুল আলীম প্রাণের গান হিসেবে বেছে নেন। এর আগে ইসলামী গানসহ প্রায় সব ধরনের গান গাইতেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও রেডিও ছাড়া  চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন। গুণী এ শিল্পীর ৫০০ গান রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া স্টুডিও রেকর্ডেও তার অসংখ্য গান রয়েছে। তার অবিস্মরণীয় গানগুলোর মধ্যে ‘যার আপন খবর আপনার হয় না’, ‘নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা’, ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘হলুদিয়া পাখি’, ‘মেঘনার কূলে ঘর বাঁধিলাম’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘দোল দোল দুলনি’, ‘দুয়ারে আইসাছে পালকি’, ‘কেনবা তারে সঁপে দিলাম দেহ মন প্রাণ’, ‘মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়’, ‘কেহ করে বেচাকেনা কেহ কান্দে’, ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা’ প্রভৃতি। সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আবদুল আলীম জাতীয় পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে একুশে পদক, পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাচসাস পুরস্কার। পাকিস্তান মিউজিক কনফারেন্স, লাহোরে সংগীত পরিবেশন করে আবদুল আলীম পাঁচটি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে। গানের জগতে আবদুল আলীম পরিবার এখন একটি পরিচিত নাম। সারা বিশ্বে বাবার গান ফেরি করে বেড়াচ্ছেন তার তিন সন্তান জহির আলীম, আজগর আলীম ও নূরজাহান আলীম।

সর্বশেষ খবর