সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বলিউড নায়িকাদের পছন্দ বিবাহিত পুরুষ!

বলিউড নায়িকাদের পছন্দ বিবাহিত পুরুষ!

তাদের পছন্দ বিবাহিত পুরুষ। তারা সবাই বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তারকা অভিনেতা থেকে শুরু করে হাজারো অবিবাহিত পুরুষ পাগল ছিলেন তাদের জন্য। নিজেদের প্রথম বিয়ে হলেও তারা কেউ স্বামীর প্রথম স্ত্রী নন। বিবাহিত পুরুষই ছিল তাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বলিউডের এমন কয়েকজন অভিনেত্রীকে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন-আলাউদ্দীন মাজিদ

 

মধুবালা-কিশোর কুমার

মধুবালাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার। প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী ও গায়িকা রুমা গুহঠাকুরতার সঙ্গে তার আট বছরের সংসার ভেঙে যায় ১৯৫৮ সালে। এরপর কিশোর কুমার প্রেমে পড়েন বলিউডের মেরিলিন মনরো-খ্যাত মধুবালার। মধুবালার হৃৎপি- ও শ্বাসযন্ত্রে বাসা বেঁধেছিল অসুখ। অসুস্থ অবস্থায় নয় বছর কিশোর কুমারের সঙ্গে সংসার করে ১৯৬৯ সালে মারা যান মধুবালা।

 

হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র

‘শোলে’ ছবির শুটিংয়ের সময় নায়ক ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েন হেমা মালিনী। ধর্মেন্দ্র তখন বিবাহিত। তার প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। হিন্দুধর্মমতে প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে আইনসিদ্ধ না হওয়ায় ১৯৭৯ সালে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে এষা ও অহনা।

 

শাবানা আজমি-জাভেদ

১৯৭০ সালে শাবানার বাবা কবি কাইফি আজমির কাছে জাভেদ লেখালেখির কলাকৌশল শিখতে আসা শুরু করেন। আর এই আসা-যাওয়ায় শাবানায় মুগ্ধ হন বিবাহিত জাভেদ। কিন্তু জাভেদের ঘরে স্ত্রী হানি ইরানি ও দুই সন্তান ফারহান ও জয়া বর্তমান। হানি ইরানিকে তালাক দিয়ে ১৯৮৪ সালে শাবানা আজমিকে বিয়ে করেন জাভেদ আখতার।

 

স্মিতা পাতিল-রাজ বাব্বর

স্মিতা পাতিল প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেতা রাজ বাব্বরের। রাজ বাব্বর তার প্রথম স্ত্রী নাদিরা জহির এবং দুই সন্তান আর্য বাব্বর ও জুহি বাব্বরকে রেখে স্মিতা পাতিলকে বিয়ে করেন। পুত্রসন্তান প্রতীক বাব্বরের জন্মের পর ১৯৮৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর স্মিতা পাতিল মারা যান।

 

জুহি চাওলা-জয় মেহতা

জুহি চাওলা ১৯৯৫ সালে ব্যবসায়ী জয় মেহতাকে বিয়ে করেন। আমেরিকা, কানাডা, ভারত ও আফ্রিকাজুড়ে ব্যবসা জয় মেহতার। জয় মেহতার প্রথম স্ত্রী সুজাতা বিরলা ১৯৯০ সালে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। জুহি চাওলা-জয় মেহতা দম্পতির এক মেয়ে জাহ্নবী ও এক ছেলে অর্জুন।

 

শ্রীদেবী-বনি কাপুর

১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক বিবাহিত বনি কাপুরকে বিয়ে করেন শ্রীদেবী। বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টার বিবেচিত শ্রীদেবীকে বিয়ের আগে মোনা শুরিকে বিয়ে করেছিলেন বনি কাপুর। ১৯৯৩ সালে তার প্রথম স্ত্রী মোনার সঙ্গে আট বছরের সম্পর্ক ভেঙে দেন। শ্রীদেবী-বনি কাপুরের দুই মেয়ে জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর।

 

কারিশমা কাপুর-সঞ্জয় কাপুর

২০০৩ সালে কারিশমা বিয়ে করেন শিল্পপতি বিবাহিত পুরুষ সঞ্জয় কাপুরকে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অবশেষে ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আলাদা হয়ে যান। সঞ্জয় প্রথম বিয়ে করেছিলেন ডিজাইনার নন্দিতা মাহতানিকে।

 

রাভিনা ট্যান্ডন-অনিল থাদানি

অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন ‘স্ট্যাম্পড’ ছবিতে অভিনয়ের সময় চলচ্চিত্র পরিবেশক অনিল থাদানির প্রেমে পড়েন। ২০০৪ সালে রাভিনা অনিল থাদানিকে বিয়ে করেন। রাজস্থানের জগ মন্দিরে বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয় তাদের। রাভিনাকে বিয়ে করতে প্রথম স্ত্রী নাতাশা সিপ্পিকে তালাক দেন অনিল। তাদের সংসারে আছে কন্যা রাশা ও পুত্র রণবীর।

 

শিল্পা শেঠি-রাজা কুন্দ্রর

‘চুরা কে দিল মেরা’খ্যাত অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি  ২০০৯ সালে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী বিবাহিত পুরুষ রাজ কুন্দ্ররের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। শিল্পাকে বিয়ে করার আগে প্রথম স্ত্রী কবিতাকে তালাক দেন রাজ কুন্দ্র। শিল্পা-কুন্দ্রর ছেলের নাম ভিয়ান।

 

অমৃতা অরোরা-শাকিল লাদাখ

২০০৯ সালের ৪ মার্চ তালাকপ্রাপ্ত শাকিল লাদাখকে বিয়ে করেন বলিউড তারকা অমৃতা অরোরা। তাদের ঘরে জন্ম হয় দুই পুত্রসন্তান। যাদের নাম রাখা হয়েছে আজান লাদাখ ও রায়ান লাদাখ।

 

লারা দত্ত-মহেশ ভূপতি

সাবেক মিস ইউনিভার্স লারা দত্ত ২০১১ সালে ভারতের জনপ্রিয় টেনিস খেলোয়াড় আগে বিয়ে করা পুরুষ মহেশ ভূপতিকে বিয়ে করেন। ২০১০ সালে সাত বছর একসঙ্গে থাকার পর প্রথম স্ত্রী প্রখ্যাত মডেল শ্বেতা জয় শঙ্করকে তালাক দেন মহেশ ভূপতি। ২০১২ সালে লারা-মহেশ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় কন্যা সায়রা।

 

কারিনা কাপুর-সাইফ আলী খান

সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুরের প্রেমের শুরু ২০০৭ সালে ‘তাশান’ ছবিতে অভিনয়ের সময়। পাঁচ বছর প্রেম করার পর ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর গাঁটছড়া বাঁধেন সাইফ-কারিনা। ২০০৪ সালে বয়সে ১৩ বছরের বড় বলিউডের অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে ১৩ বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন সাইফ। সাইফ-কারিনার একমাত্র পুত্র তৈমুর আলী খান।

 

বিদ্যা বালান-সিদ্ধার্থ রায়

বিদ্যা বালান ইউটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিবাহিত সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে টানা দুই বছর প্রেম করেন। মিডিয়ায় তাদের প্রেমের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট থাকলেও তারা কখনো স্বীকার করেননি। এমনকি বিয়ের কিছু দিন আগেও তারা এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১২ সালে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন বিদ্যা বালান ও সিদ্ধার্থ রায় কাপুর। বিদ্যার এটি প্রথম বিয়ে হলেও সিদ্ধার্থের কিন্তু এটি তৃতীয় বিয়ে।

 

রানী মুখার্জি-আদিত্য চোপড়া

দীর্ঘদিন মন দেওয়ার পর ২০১৪ সালে বলিউডের বিখ্যাত যশরাজ ফিল্মসের চেয়ারম্যান আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করেন রানী মুখার্জি। আদিত্য চোপড়া ২০০৯ সালে প্রথম স্ত্রী পায়েল খান্নার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে রানী মুখার্জির প্রেম যখন চলছে, তখনো আদিত্য পায়েল খান্নার স্বামী। পায়েলকে ডিভোর্স দিয়ে আদিত্য বিয়ে করেন রানীকে। এখন তাদের রয়েছে ফুটফুটে একটি কন্যাসন্তান আদিরাও।

 

সঙ্গীতা-আজহারউদ্দীন

প্রথম স্ত্রী নওরিনের সঙ্গে নয় বছরের সম্পর্ক ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেটার আজহারউদ্দীন ঘর বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে। তার সেই বিয়ে টিকেছিল ২০১০ সাল পর্যন্ত। বিজলানি সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুহাম্মদ আজহারউদ্দীনকে বিয়ে করেন ১৯৯৬ সালে এবং ২০১০ সালে তারা ডিভোর্সে যান।

 

সারিকা-কমল হাসান

১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম বাণী গণপতিকে বিয়ে করেন অভিনেতা কমল হাসান। বাণী একজন নাচনেওয়ালি ছিলেন।

১৯৮৫ সালে বাণীকে তালাক দিয়ে ’৮৬ সালে অভিনেত্রী সারিকাকে বিয়ে করেন কমল। এই দম্পতির মেয়ে হলেন অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান। ২০০৪ সালে সারিকার সঙ্গে আবার কমলের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।

 

মাহিমা চৌধুরী-ববি

‘পরদেশ গার্ল’খ্যাত মাহিমা চৌধুরী হুট করেই দুই সন্তানের বাবা ববি মুখোপাধ্যায়কে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন। তাদের বিয়েটা এত গোপনে সেরে ফেলা হয় যে, বিয়ের কোনো ছবি প্রকাশ পায়নি গণমাধ্যমে। বিয়ের পর মাহিমার গর্ভধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তাদের ঘরে জন্ম নেয় কন্যাসন্তান।  যার নাম রাখা হয় আরিয়ানা চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর