বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

২২-এ চ্যানেল আই, সামনে এগিয়ে যাই

২২-এ চ্যানেল আই, সামনে এগিয়ে যাই

ফরিদুর রেজা সাগর। শিশুসাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আজ চ্যানেল আই ২২ বছরে পদার্পণ করছে। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন- আলী আফতাব

 

চ্যানেল আইয়ের ২২তম প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি কতখানি?

আজ থেকে ২২ বছর আগে যখন চ্যানেল আইয়ের জন্ম হলো তখন আমরা চিন্তা করেছিলাম মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশকে নিয়ে ভালোবাসা তৈরি করব। আর টেলিভিশন অনুষ্ঠানমালায় অনেক নতুন ধারণার জন্ম দেব। সে ক্ষেত্রে এসব অনুষ্ঠানের আমরাই থাকব পাইওনিয়ার। সেই প্রত্যাশা অনেকটাই আমরা পূরণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যা কিছু নতুন, যা কিছু প্রথম তাই করেছে চ্যানেল আই। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অনেক নতুনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চ্যানেল আইয়ের নাম। বিগত ২১ বছরে চ্যানেল আই অনেক নতুন ধারণার নতুন অনুষ্ঠানের জন্ম দিয়েছে। এটাই চ্যানেল আইর বড় প্রাপ্তি।

 

একটি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মিডিয়াগুলো। করোনা তার মধ্যে কতখানি প্রভাব ফেলেছে?

২২ বছরে এসে আমাদের বলতে হচ্ছে ‘সামনে এগিয়ে যাই’। অথচ বলার কথা ছিল ‘বয়স যখন একুশ পার হলো তখন পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো অবকাশ নাই’। কিন্তু হঠাৎ করেই এ বছর পুরো পৃথিবী করোনার আক্রমণে স্তব্ধ হয়ে গেল। সবকিছু ব্যাহত হয়ে গেল। অন্যরকম স্থবির অচল এক পৃথিবী। কিন্তু মানুষ সেই প্রাণী, যে জানে জীবন মানে অবশ্যই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু একই সঙ্গে বেঁচে থাকার আনন্দটাই সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ও আনন্দ। আর এই আনন্দের জন্য, বিশুদ্ধ আনন্দের জন্য যুদ্ধ করছে চ্যানেল আই। তাই যত প্রতিকূলতাই আসুক, যত কুয়াশাচ্ছন্নই হোক আমরা সদা সর্বদা আপনাদের সঙ্গে নিয়ে বলব, সামনে এগিয়ে যাই।

 

এখন মিডিয়া টিকিয়ে রাখতে কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন?

আমরা জানি সংকট ও সম্ভাবনা দুটোই মানব জাতিকে ঘিরে এগিয়ে যায়। সংকটময় মুহূর্তে মানুষ কিছুটা স্থবির কিংবা বিভোর হলেও সে সম্ভাবনার জায়গাটা খুঁজতে শুরু করে। আজ থেকে ৭ মাস আগে যে সংকট শুরু হয়েছিল তা ছিল একেবারেই কল্পনারও অতীত। কিন্তু সময় যেতে না যেতেই মানুষ সম্ভাবনার জায়গাটিও ঠিক বের করে ফেলল। মিডিয়াগুলো তাদের মেধা ও মনন দিয়ে দর্শকদের জন্য তৈরি করতে থাকল অন্য ধরনের অনুষ্ঠান। সংকট থেকে বেরিয়ে মিডিয়াগুলো সম্ভাবনার পথে হাঁটতে শুরু করল। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।

 

মানুষ এখন টেলিভিশনে কোনো নাটক, সিনেমা কিংবা অনুষ্ঠান দেখতে চায় না। তারা ইউটিউব কিংবা অনলাইন প্ল্যাটফরমে ডুবে থাকে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ কোনো অনুষ্ঠান খারাপ হলে কিংবা ভালো না লাগলে এখনো দর্শক যেভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তাতে মনে হয় না দর্শক কমে যাচ্ছে। টেলিভিশন মিডিয়া ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন নানারূপে প্রকাশিত। হয়তো একই অনুষ্ঠান নানা প্ল্যাটফরমে দেখা যাচ্ছে, তাই আমি মনে করি টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমই ব্যবহৃত হচ্ছে নানারূপে।

 

প্রতিটি টিভি চ্যানেলের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফরম দরকার। এ বিষয়ে মতামত কী?

টেলিভিশনকে একসময় বলা হতো ইরেজ মিডিয়া। কিন্তু ইন্টারনেটের কল্যাণে এই মিডিয়াটি আমি মনে করি এখন আর ইরেজ মিডিয়ার দুর্নামের মধ্যে নেই।

টেলিভিশনের জন্য যা নির্মিত হচ্ছে তার সবকিছুই এখন সংরক্ষণ করা যাচ্ছে। যে দর্শক, যে অন্ষ্ঠুানটি টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পারছেন না, তিনি পরবর্তীতে সেটি ইউটিউব চ্যানেল বা ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে যে কোনো স্থান থেকে স্মার্টফোনে দেখে নিতে পারছেন। এখন ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা অ্যাপসের স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে টেলিভিশন অনুষ্ঠান যে কোনো দর্শকের সময়ের নাগালে এবং হাতের মুঠোয়। আর এখন টেলিভিশন মানেই তার একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফরম।

 

সর্বশেষ খবর