শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ধর্ষণের বিরুদ্ধে তারকাদের প্রতিবাদ

ধর্ষণের বিরুদ্ধে তারকাদের প্রতিবাদ

দেশব্যাপী ঘটে চলছে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনা। নৃশংসতায় একটি ছেড়ে যাচ্ছে অন্যটিকে। একটি ঘটনার রেশ শেষ না হতেই আরেকটি ঘটনা আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। দাবি উঠছে আইন পরিবর্তনের। দেশের তারকাদের বড় অংশ নিশ্চুপ থাকলেও কেউ কেউ মুখ খুলেছেন।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে তারা এই প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন- আলী আফতাব

 

হানিফ সংকেত

ধর্ষণ নামক এক ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। ধর্ষণের শিকার হয়ে সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত হয়ে অসংখ্য নারী বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথ। নারীদের ওপর যারা এ ধরনের পাশবিক আচরণ করছে তারা মানুষ নামের অমানুষ। এদের মনুষ্যত্ব নেই, আছে পশুত্ব। আর এই পশুরা আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, কন্যাদের সম্ভ্রমহানি করছে যেখানে-সেখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অজপাড়াগাঁয়ের কোনো গৃহবধূ, এমনকি শিশুরাও এই পশুদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বেড়ে চলছে এদের ধর্ষণসন্ত্রাস। আসুন সবাই মিলে এই ধর্ষকদের প্রতিরোধ করি। তুলে দিই আইনের হাতে। আর এদের ব্যাপারে দাবি একটাই, বিচারে দীর্ঘসূত্রতার জটিল জট ভেঙে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চয়তা। ধর্ষকদের রক্ষা  নেই, সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।  সোচ্চার হয়ে বলি সবাই, বন্ধ হোক ধর্ষণ। নারী মাতা, নারী বধূ, কন্যা এবং বোন।

 

জয়া আহসান

ছি! কীভাবে এই দৃশ্যটি আমি দেখি! ফোনে ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই নির্মম-নিষ্ঠুর ভিডিও আমাদেরই দেশে তৈরি, এও বিশ্বাস করতে হবে? আমারই কোনো বোনকে লাঞ্ছনায় নরকের অতলে পৌঁছে দিচ্ছে আমারই পাশের বাড়ির এক ছেলে। এও আমাকে দেখতে হবে, আমারই ভাইয়ের রক্তে ভেজা লাল-সবুজের দেশে?

নিষ্পাপ শিশু, সরল আদিবাসী, বেড়াতে যাওয়া আনন্দিত স্ত্রী, ঘরের কোণে সংসারী মাÑ সবাই হয়ে যাচ্ছে নরকের অঙ্গারে পোড়া ছবি। একের পর এক এই সর্বনাশা ঢেউ কোথায় ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের? তাহলে কি মেনে নিতে হবে ধর্ষণের অতিমারীই আমাদের গন্তব্য?

না! এই পরিণতি আমরা কখনই মেনে নেব না। এ যদি পৌরুষ হয়, তাকে আমি বলি, ছি। সবাই কণ্ঠ মিলিয়ে চিৎকার করে বলি, ছি। আর, তুমি এই হৃদয়ে উঠে এসো, দুঃখিনী বোনটি আমার।

 

মেহের আফরোজ শাওন

মৃত্যুদ- কিংবা ক্রসফায়ার, কোনো শাস্তিই যথেষ্ট নয় অমানুষগুলোর জন্য। এত সহজে তাদের মরে যেতে দিলে তো হবে না! ধর্ষকের এমন কঠিন শাস্তির বিধান হোক যেন তারা প্রতিটি মুহূর্তে নিজেদের মৃত্যু কামনা করে। স্বাধীনতা স্তম্ভের নিচে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে সেই ভয়াবহতম শাস্তি কার্যকর হোক, সব টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হোক যেন প্রত্যেকটা সম্ভাব্য ধর্ষক শিউরে ওঠে। আর কোনো নপুংসকের কল্পনায়ও যেন ধর্ষণের চিন্তা না আসে...

 

শবনম পারভীন

প্রতিবাদ জানাই এবং যোগ্য শাস্তি দাবি করছি এই ঘৃণ্য বর্বরোচিত হামলার জন্য।

 

শানারেই দেবী শানু

ধর্ষক এক ধরনের মানসিক বিকারগ্রস্ত পশু। তাদের নির্মূল করার দায়িত্ব এখন সবার, পুরো সমাজের, রাষ্ট্রের। নতুবা আপনার মেয়ে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত থাকতে হবে আপনাকেই! সময় এসেছে জোরালো কণ্ঠে সোচ্চার হওয়ার, কঠিন শাস্তির।

 

অপূর্ব

‘স্টপ রেপ’। একটি ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে লেখা, স্ট্যান্ড অ্যাগেইনেস্ট রেপ, হোক প্রতিবাদ।

 

আফরান নিশো

এসব আর মেনে নিতে পারছি না। প্লিজ স্টপ রেপ।

 

চঞ্চল চৌধুরী

লিঙ্গ তো আর একা ধর্ষণ করতে পারে না। ধর্ষণে প্রলুব্ধ করে মাথার ভিতর বাস করা অমানুষটা। মৃত্যুদ- এদের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রকাশ্যে এই অমানুষগুলোর একটি অংশ শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেওয়া হোক। যাতে লিঙ্গের ওপর শয়তান মাথার কোনো অধিকার না থাকে। তাহলেই এই বর্বরতা থেমে যাবে। এই কঠোর শাস্তি প্রয়োগে মানবাধিকারের কোনো মায়াকান্না আমরা শুনতে চাই না। সেই সঙ্গে আইনের সঠিক এবং কঠিন প্রয়োগ চাই। শাস্তি হোক দৃষ্টান্তমূলক। এর বাইরে কোনো কথা নেই, হোক প্রতিবাদ।

 

অনিমেষ আইচ

নতুন এ ধর্ষণ নিয়ে কোনো কথা নয়। বরঞ্চ পুরনো যেসব ধর্ষণ মামলা চলমান তার সর্বশেষ আপডেট জানতে চাই। কিছু কি কোথাও হয়েছে? হয়তো ধর্ষণকারীর পরিবার কিছু অর্থকড়ি আর দেনদরবারের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ সমাজে, নয়তো ধর্ষক ছেলেটিকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। এই তো, এর বেশি কিছু ঘটবে না জানি। বেগমগঞ্জের ক্ষত শিগগিরই শুকিয়ে আসবে জানি। আবারও আমরা অন্য কোনো ধর্ষণের প্রতিবাদে ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার কালো করে দেব। কিন্তু আমাদের মধ্যে যে ধর্ষক মনোবৃত্তি, তা দূর করব কীভাবে?

 

আহসান হাবীব নাসিম

হোক প্রতিবাদ। নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। বেগমগঞ্জের নরপশুদের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

 

জাকিয়া বারী মম

এই ধর্ষণের দেশ আর চাই না। মাননীয় এত ক্ষমতা দিয়ে কী হবে? দেশের নারী ধর্ষিত আর আমরা দর্শক!

 

জায়েদ খান

নোয়াখালীর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমন নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ লজ্জা আমাদের সবার।

 

অরুণা বিশ্বাস

মাগো, কী বীভৎসতা! ধর্ষণ আবার ধর্ষণ, কী কুৎসিত! কবে থামবে? এখন প্রত্যেকটি মেয়ের ত্রিশূল আর রামদা হাতে রাখার সময় এসেছে।

 

মেহজাবীন চৌধুরী

নারীদের ওপর এই সহিংসতা মেনে নেওয়া যায় না। ধর্ষকদের ফাঁসি দেওয়া হোক।

সর্বশেষ খবর