ফল সরবরাহকারী দিলীপ কুমার
১৯৪০ সালে দিলীপ কুমার পুনেতে একজন ক্যান্টিন মালিক এবং একজন শুষ্ক ফল সরবরাহকারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে, ‘বম্বে টকিজ’-এর মালিক অভিনেত্রী দেবিকা রানী ও তার স্বামী হিমাংশু রাই দিলীপ কুমারকে চলচ্চিত্রে আনেন। ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ চলচ্চিত্রে তাকে অভিনয় করান। এরপর বলিউডের শীর্ষ আসন দখল করে নেন।
শিপিং কোম্পানির অমিতাভ
বলিউডের শাহেনশা তিনি। পাঁচ দশকের অভিনয় জীবন। কিন্তু কর্মজীবনের শুরুতে রেডিও জকি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন বিগ-বি। যদিও ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ তার কণ্ঠস্বর প্রত্যাখ্যান করে। কলকাতার একটি শিপিং কোম্পানিতেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন অমিতাভ।
কস্টিউম ডিজাইনার সোনাক্ষী
কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে ভালোই জনপ্রিয় হয়েছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। ২০০৫-এ ‘মেরে দিল লেকে দেখো’ ছবির পোশাক ডিজাইনার ছিলেন দাবাং গার্ল। পরে অভিনয়ের জন্য ছেড়ে দেন সেই পেশা।
বাস হেলপার রজনীকান্ত
বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের বাসের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন রজনীকান্ত। অভিনয়ের নেশায় ১৯৭৩ সালে ‘মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউট’ থেকে অভিনয়ের ওপর ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তামিল চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা রজনীকান্ত এক সময় অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তারপর থেকে ভারতীয় জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে তিনি ‘অভিনয় দেবতা’ হিসেবে জনপ্রিয় হন।
শেফ থেকে অভিনেতা অক্ষয়
বলিউডে আসার আগে ব্যাংককে মার্শাল আর্টসের ট্রেনিং নিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। রেস্তোরাঁর শেফ হিসেবে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। ট্রেনার হিসেবে শুরু করেছিলেন কর্মজীবন। কিন্তু বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেননি অক্ষয়।
ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় দীপিকা
বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। ছোটবেলা থেকেই খেলার আবহে বড় হয়ে ওঠা দীপিকাও ব্যাডমিন্টনে যথেষ্ট পারদর্শী। অভিনয়ের টানে খেলাকে খুব একটা আমল দেননি কোনো দিন।
বিজ্ঞাপনী সংস্থায় রণবীর সিং
বলিউডে আসার আগে একটি বিজ্ঞাপন প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কপি রাইটার হিসেবে কাজ করতেন রণবীর সিং। অভিনয়ের নেশায় এ কাজ ছেড়ে বলিউডে পাড়ি দেন তিনি।
ইকোনমিক অ্যানালিস্টি আমিশা প্যাটেল
অর্থনীতির স্নাতক আমিশা পড়াশোনায় বরাবর ভালো ছিলেন। গোল্ড মেডেল নিয়ে কলেজ পাস করে ইকোনমিক অ্যানালিসিস্টের কাজ করতেন আমিশা। কিন্তু অভিনয়ের জন্য ছেড়েছিলেন সফল পেশাও। বাবার বন্ধু পরিচালক রাকেশ রোশনের হাত ধরে সুপার ডুপার হিট ছবি ‘কহ না প্যার হ্যায়’-এ প্রথম আত্মপ্রকাশ বলিউডে। আর ফেরেননি পুরনো পেশায়।
মার্কেটিংয়ে চাকরিজীবী পরিণীতি
পরিণীতি চোপড়া পড়াশোনায় ছিলেন প্রথম সারিতে। কলেজ পর্ব শেষ করে যশ রাজ ফিল্মসের মার্কেটিং বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘ইশাকজদে’র নায়িকা। অভিনয়ের জন্য পরে ছেড়ে দেন আগের চাকরি।
কেমিস্ট নওয়াজউদ্দিন
পেটের দায়ে কেমিস্টের কাজ করতেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। কর্মসূত্রে দিল্লিতে আসার পর থেকেই থিয়েটারের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। মঞ্চে নেন হাতেখড়ি কিন্তু প্রতিভা চিনতে ভুল হয়নি বলিউডের। অভিনয়ের নেশায় কেমিস্টের পেশাকে তাই গুডবাই বলেন।
মডেল সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
সফল মডেল হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। শুধু তাই নয়, ‘মাই নেম ইজ খান’-এ করণ জোহরকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের নেশায় মডেলিং হোক বা ডিরেক্টর সব পেশাকে বিদায় জানিয়ে অভিনয়ে নামেন তিনি।
হোটেল রুম সার্ভিসে বোমান ইরানি
বোমান ইরানির নিজেদের পৈতৃক বেকারির ব্যবসা ছিল। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে রুম সার্ভিসের কাজও করেছেন বোমান ইরানি। কিন্তু নেশা ছিল অভিনয়ের। নেশার টানে বলিউডে পা দিতে বেশি সময় নেননি এবং দ্রুত সাফল্য পেয়ে যান বোমান ইরানি।