অমুক তারকা কী খান, অমুকে কী করতে ভালোবাসেন, কী তাঁদের সু আর কুঅভ্যাস, কেমন জীবনযাপন করেন- এমন হাজার প্রশ্ন দর্শক-ভক্তদের মনে ঘুরে বেড়ায় পর্দা তারকাদের নিয়ে। অনেক সময় তাঁদের অন্য গ্রহের মানুষ ভাবতেও পছন্দ করেন দর্শক। বলিউড তারকাদের কিছু বদ অভ্যাসের কথা জানাচ্ছেন-  আলাউদ্দীন মাজিদ

বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের গাড়িপ্রীতির কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু তাঁর ঘড়িপ্রীতির কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। ঘড়িপ্রীতি থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সমস্যাটা হলো বিদেশযাত্রার সময় তিনি দুই হাতে দুটি ঘড়ি অবশ্যই পরেন। এ ছাড়া নাকি তাঁর চলেই না এবং বিদেশযাত্রায় দুই হাতে ঘড়ি পরতে তিনি কখনো ভোলেন না। একটিতে নিজ দেশের সময় অন্যটিতে যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের সময় দেখেন তিনি।

শৌচাগারে খাবার খান জিতেন্দ্র

বলিউডের বরেণ্য তারকা জিতেন্দ্র শৌচাগারে গিয়ে খাবার খান। তিনি শৌচাগারে গিয়ে ফল খেতে খুবই পছন্দ করেন। জিতেন্দ্র যখন শৌচাগারে যান, তখন সঙ্গে করে এক প্লেট পাকা পেঁপে নিয়ে যান। আর সেখানে বসে তিনি দিব্যি এক প্লেট পেঁপে সাবাড় করে দেন।

জুতা পরে ঘুমান শাহরুখ

শাহরুখ খান সব সময় ফিটফাট থাকতে পছন্দ করেন। তাঁকে স্যুট ও বুটেই দেখা যায় বেশি। এ ছাড়া স্পোর্টস শু পরতে বিশেষ পছন্দ করেন বলিউডের কিং খান। চটি পরে প্রকাশ্যে একদমই আসেন না। শাহরুখ তাঁর পা থেকে জুতা কিছুতেই খুলতে চান না।

ছাদে স্নান করেন সুস্মিতা

সুস্মিতা সেন হামেশাই খোলা আকাশের নিচে স্নান করতে ভালোবাসেন। স্নান করার সময় তাঁর আকাশ দেখা চাই। তাই সুস্মিতার বাড়ির ছাদে তাঁর স্নানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দীপিকার ‘শুচিবায়ু’ রোগ

দীপিকা পাড়ুকোন চরম শুচিবায়ু রোগে ভুগছেন সেই ছোটবেলা থেকে। সবকিছুতেই তাঁর খুঁতখুঁতে স্বভাব। এতে তাঁর পরিবারের লোকজনসহ অনেকে বিরক্ত হলেও এক্ষেত্রে অনড় দীপিকা। দীপিকা পাডুকোন জানান তিনি ‘অবসেশিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার’এ ভুগছেন।

কারিনার নখ কামড়ানো

কারিনা কাপুর খানের একমাত্র স্বীকারোক্তি, আজও তাঁর নখ কামড়ানোর বদভ্যাসটি দূর হয়নি। ছোটবেলা থেকেই দাঁত দিয়ে নখ কাটার বদভ্যাস তাঁর। শুধু হাতের নয়, পায়ের নখও দাঁত দিয়ে কাটেন তিনি। শুধু নিজের নখ কেটে ক্ষান্ত হন না এই অভিনেত্রী, পারলে অন্যের নখও নাকি কামড়ে দেন তিনি।

শাক-সবজিতে অ্যালার্জি প্রিয়াঙ্কার

শাক-সবজিতে নাকি সাংঘাতিক অ্যালার্জি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। তাঁর কথায় তিনি ভেজিটেবল একদমই পছন্দ করেন না এবং একেবারেই শাক-সবজি খান না। সব থেকে মজার ব্যাপার হলো শহীদ কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের অনেক কারণের মধ্যে শহীদের সবজিভোজি হওয়াটাও অন্যতম কারণ।

অন্ধকারে ভয় আলিয়ার

বলিউডের এ সময়ের মিষ্টি চেহারার অধিকারিণী আলিয়া ভাট জানান, তাঁর অন্ধকারভীতি রয়েছে এবং রাতে বাতি জ্বালিয়ে ঘুমান এই অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, উচ্চতাভীতিও রয়েছে আলিয়ার। আর তাই তিনি একান্ত বিপদে না পড়লে বিমানে ভ্রমণ করেন না।

গোসল অপছন্দ আমিরের

গোসল করতে দারুণ অপছন্দ আমিরের। কখনো কখনো দুই সপ্তাহেও একবার গোসল করেন না তিনি। মানুষ নানাভাবে মজা করে আনন্দ পায় বা আনন্দ পাওয়ার জন্য মজা করে থাকে। কিন্তু এই মজা করাটাই নাকি একেবারে অপছন্দ আমির খানের। এ কারণে তাঁর স্ত্রী কিরান রাও নাকি মজাই করতে পারেন না। এর জন্য তাঁকে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ইমরান হাশমির আয়নাপ্রীতি

ইমরান হাশমি স্বীকার করেন তিনি নিজেকে নিয়ে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। চোখের সামনে আয়নাটি পেয়ে গেলে তো কথাই নেই, নিজের চেহারাটি দেখতে কখনই ভুলে যান না এই তারকা। তা গাড়ির আয়নাই হোক আর ক্যামেরার লেন্সেই হোক চুলগুলোতে হাত বুলিয়ে ঠিকঠাক করে নেন। বলিউডের নায়িকাদের থেকে কোনো অংশে কম যান না এই তারকা।

কাজলের ড্যান্সপ্রীতি

কাজল আগারওয়াল। রূপের জাদুতে অনেককে মুগ্ধ করেছেন এই নায়িকা। সাউথ থেকে মুম্বাই পর্যন্ত তাঁর নামডাক রয়েছে। তবে হিন্দি, তামিল, তেলেগু সব জায়গায়ই তাঁর সমান পদচারণা থাকলেও একসময় তিনি ছিলেন শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার। এর আগে ‘কিউ হো গ্যায়া না’ ছবির ‘উলজানে’ গানে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের পাশে ড্যান্স করতে দেখা গেছে ‘সিংঘাম’ ছবির এই নায়িকাকে। এই নায়িকার কথায় ‘অভিনয় থেকে ড্যান্সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি আমি।’

পা নাচান জন আব্রাহাম

জন আব্রাহামের রয়েছে পা নাচানোর বদ অভ্যাস। যে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে মনের অজান্তেই নাচাতে শুরু করেন পা। এই বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও এখনো তা সম্ভবপর হয়নি। তাঁর পায়ের নাচ চলতে থাকে, হোক না তা বাড়ির বেডরুম কি কোনো অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম। এখানেই শেষ নয়, এই তারকার বাইকের প্রতি এতই প্রেম যে, রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে যাতে বাইকটি না ভিজে সে জন্য নিজের বেডরুমে নিয়ে রাখেন এই তারকা।

রানীর সিগারেটপ্রীতি

রানী মুখার্জি। এত নিষ্পাপ হাসির অধিকারিণীর আবার কোনো বদভ্যাস থাকে পারে? হ্যাঁ, এই নায়িকার সকালই শুরু হয় সিগারেটের ধোঁয়ায়। সাধারণ মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে তোলেন এক কাপ চা আর রানী ঠোঁট ছোঁয়ান জ্বলন্ত সিগারেটের বাঁটে।

সোনমের চকলেটপ্রীতি

চকলেট ছাড়া কিছুই বোঝেন না সোনম কাপুর। চকলেটই এই নায়িকার প্রাণ। ডায়েটে থাকলেও রীতিমতো ট্রেইনার এবং মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে খেতে থাকেন চকলেট। মেয়ের এরকম কীর্তিতে বড্ড বিরক্ত তাঁর মা। সোনমের বড় বাজে অভ্যাস হলো পোশাকের ব্যাপারে অতিরিক্ত সচেতনতা। ডিজাইনার পোশাক ছাড়া এই নায়িকা কোনো পোশাকই গায়ে তোলেন না।

ভুলো মনের বিদ্যা

যোগাযোগ রক্ষায় খুব খারাপ পিকচার খ্যাত বিদ্যা বালান। অনেক সময় নিজের মোবাইল ফোনটি দেখতেই ভুলে যান দিনের পর দিন।

এই স্বভাবের কারণে সর্বদাই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। আর এই বদভ্যাসটির কারণে অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি বিদ্যা।

কুসংস্কারে বিশ্বাসী গোবিন্দ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সময়ের মানুষ হলেও প্রাচীনকালের মানুষের মতো আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী গোবিন্দ। কুসংস্কারে এতটাই আচ্ছন্ন যে, মইয়ের নিচ কখনই মারান না তিনি। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই তারকার পথের সামনে দিয়ে কোনো বিড়াল গেলে সেদিন আর কোনো কাজে হাত দেন না।