বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

গল্পকার অপু বিশ্বাস

শোবিজ প্রতিবেদক

গল্পকার অপু বিশ্বাস

এখানে শীতের শহরে নিঃশব্দে শিশির ঝরে। শেষ বিকালে পাখিরা ঘরে ফিরে পরম তৃপ্তি নিয়ে। প্রতিদিন মানুষের মুখে কখনো হাসির ঝলক কখনোবা দুঃখের কালো মেঘ দেখি। দেখি না শুধু অদেখা ভুবন। তারপরও জীবন চলে জীবনের গতিতে। পৃথিবীতে জীবনের গল্পটা খুবই কঠিন। এই গল্প খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু নিজের অন্তর দিয়ে অনুভব করা যায়। সেই অনুভব থেকে বিরহব্যথা আর আনন্দকে বইয়ের পাতায় রূপ দিয়েছি আমি। বললেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। প্রথমবারের মতো তিনি গল্প লিখলেন। তাঁর গল্পে একজন নারীর জীবনের দুঃসহ চিত্রই শুধু অঙ্কিত হয়নি, নারী যেন নিজের নিরাপত্তার হাত নিজের কাছেই পাততে পারে সেই সাহসও জোগানো হয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন নারীকে সব সময়ই যে কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। আর এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে নারীর নিজেকেই। এ গল্পে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন নারীর লাঞ্ছনা এবং বীরত্বগাথার কথা তুলে ধরা হয়েছে সাহসী হওয়ার উপমা হিসেবে। পোড়-খাওয়া জীবনটাকে নিজের মানসের আয়নায় দেখে অন্য নারীদের সাহস জোগাতে এমন গল্পের অবতারণা হাসি-কান্নায় ঘেরা জীবনের অধিকারী অপু বিশ্বাসের। অচিরেই বই আকারে প্রকাশ পাবে এখনো নাম না দেওয়া গল্পটির। আগামীতে সেলুলয়েডের ফিতায়ও ওঠে আসতে পারে যুদ্ধ বেদনায় বিমূর্ত নারীর জীবননির্ভর অপুর এই গল্প। অপু বললেন, বেলাশেষে ঘরে ফেরার পালা। তার আগে কর্মের সাক্ষর রেখে যেতে চাই। যা ভোরের সূর্য হয়ে প্রতিদিন একজন নারীকে আলোর পথ দেখাবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর