বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

শিশু শিল্পী থেকে সফল তারকা

শিশু শিল্পী থেকে সফল তারকা

বলিউড দুনিয়ায় তাঁদের অভিষেক শিশু শিল্পী হিসেবে। একসময় তাঁরাই হয়ে ওঠেন তারকা শিল্পী। শিশু শিল্পী থেকে তারকা  শিল্পী হয়ে ওঠা শিল্পীদের তালিকা কিন্তু একেবারে ছোট নয়। কোন শিশু শিল্পী পরবর্তীতে তারকা শিল্পী হিসেবে বলিউড মাতান তাঁদের কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

মীনা কুমারী

মীনা কুমারী ওরফে মাহজাবীন বানু। চল্লিশের দশকে শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক। ‘এক হি ভুল’ (১৯৪০)। এই ছবির পরিচালক বিজয় ভট্ট তাঁর নাম দিয়েছিলেন বেবি মীনা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। ১৯৪১ সালে পরিচালক মেহবুব খানের ‘বেহেন’ ছবিতেও শিশু শিল্পী। শিশু শিল্পী হিসেবে আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৫২ সালে ‘বৈজু বাওরা’ ছবিতে নায়িকা হয়ে আসেন তিনি।

 

মধুবালা

মধুবালা। প্রকৃত নাম মমতাজ জাহান বেগম দেহলভী।  ১৯৪২-১৯৪৭ সাল থেকে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। শিশু শিল্পী হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি ছিল ‘বসন্ত’ (১৯৪২)। নায়িকা হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু ১৯৫৮ সালে ‘হাওরা ব্রিজ’ ছবির মাধ্যমে।

 

মেহমুদ

মঞ্চনাটক ‘অদৃষ্ট’ (১৯৪৩)-এ তিনি অভিনেতা অশোক কুমারের ছোটবেলার ভূমিকায় অভিনয় করেন বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা মেহমুদ। গুমনাম (১৯৬৫) ছিল তাঁর অভিনেতা হিসেবে অভিনীত প্রথম ছবি।

 

শশী কাপুর

প্রখ্যাত অভিনেতা শশী কাপুর ১৯৪৮ সালে ‘আগ’ ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৫১ সালে যুবক রাজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন  ‘আওয়ারা’ ছবিতে। এরপর প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে শতাধিক ছবিতে নায়কের চারিত্রে সফল অভিনয় করেন শশী কাপুর।

 

শ্রীদেবী

শ্রীদেবী। ষাটের দশকে তামিল ‘কন্দন করুণাই’ চলচ্চিত্রে মুরুগান দেবতার চরিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। সত্তরের দশকের শেষ ভাগে ‘সদমা’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব শ্রীদেবীর।

 

নিতু সিং

নিতু সিং ৬০ এবং ৭০-এর দশকের প্রথমদিকে শিশু শিল্পী ছিলেন। বেবি সোনিয়া নামে অভিনয় শুরু করেছিলেন। শিশু শিল্পী হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি ‘সুরজ’ (১৯৬৬)। এ ছাড়া শিশু শিল্পী চরিত্রে নিতু কাজ করেন ‘দশ লক্ষ’ (১৯৬৬), কালিয়ান কর (১৯৬৮), ফাঁদ (১৯৬৮), ওয়ারিস (১৯৬৯), ঘর ঘর কি কাহানি (১৯৭০), পাপী (১৯৭০)। নায়িকা হিসেবে প্রথম তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ১৯৭৫ সালে ‘খেলা মেইন’ ছবিতে।

 

উর্মিলা

শিশু শিল্পী হিসেবে উর্মিলা মাতন্দকারের আত্মপ্রকাশ ‘কলিগ’ (১৯৮৩) ছবিতে। এরপর মাসুম (১৯৮৪), বড় ঘর কি বেটিসহ (১৯৮৫) বেশ কটি ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করার পর ১৯৯২ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘রঙ্গিলা’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। শিশু শিল্পী এবং নায়িকা, দুই চরিত্রেই সফল হয়েছেন তিনি।

 

সঞ্জয় দত্ত

সঞ্জয় দত্ত শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন রেশমা অর শেরা (১৯৭১) ছবিতে। এরপর আরও কয়েকটি ছবিতে শিশু শিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় তাঁর। প্রথমবার নায়ক হিসেবে তাঁর আবির্ভাব সংঘর্ষ (১৯৯৯)। এরপর থেকে সফল নায়ক হিসেবে এখনো তাঁর যাত্রা অব্যাহত রয়েছে।

 

কমল হাসান

মাত্র ছয় বছর বয়সে তামিল চলচ্চিত্র ‘কলাথুর কান্নামা’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন কমল হাসান।

 

 

ববি দেওল

‘ধর্মবীর’ চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন ববি দেওল। যেখানে ধর্মেন্দ্রর ছেলেবেলার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

 

টাবু

দেব আনন্দের সঙ্গে প্রথম ‘হাম নওজোয়ান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন টাবু। যেখানে অভিনেতার ছোট মেয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল টাবুকে। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকে নায়িকা হিসেবে তাঁর সফল পর্দা যাত্রা শুরু।

 

আমির খান

আমির খান শিশু শিল্পী হিসেবে ১৯৭৪ সালে ‘ইয়াদো কি বরাত’ ছবিতে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। এরপর ‘মাধোশ’সহ (১৯৭৪) আরও কয়েকটি ছবিতে শিশু শিল্পী চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৮ সালে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিতে প্রথম নায়ক হিসেবে আবিভর্‚ত হন আমির খান।

 

হৃত্বিক রোশন

হৃত্বিক রোশন ১৯৮৫ সালে প্রথম অভিনয় করেন ‘ভগবান দাদা’ ছবিতে। এরপর ১৯৮৭ সালে ‘আশা’ ছবিতে আবারও শিশু শিল্পী। ২০০০ সালে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে হৃত্বিকের। নায়করূপে তাঁর প্রথম ছবি ‘কহোনা পেয়ার হ্যায়’ বাম্পার হিট ব্যবসা করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সফল নায়ক হিসেবে অভিনয় করে যাচ্ছেন  হৃত্বিক রোশন।

 

পদ্মিনী কোলহাপুরি

রবি ট্যান্ডন পরিচালিত জিন্দেগি (১৯৭৬) ছবিতে প্রথম শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু প্রখ্যাত অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলহাপুরির। এরপর ‘স্বপ্নকন্যা’ (১৯৭৭) পরিচালনা করেছেন প্রমোদ চক্রবর্তী। ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ (১৯৭৮), ‘প্রেমরোগ’ (১৯৮০), ‘ইনসাফ কি তারাজু’সহ (১৯৮০) অসংখ্য ছবিতে শিশু শিল্পী চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে ‘ওহ সাত দিন ছবিতে’  নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব তাঁর।

সর্বশেষ খবর