শোবিজ জগতে মাদককান্ডে বারবার বহু তারকার নাম জড়িয়েছে। কোনো তারকার জেল পর্যন্ত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মনে জগৎটি নিয়ে নেতিবাচক ধারণা জন্মে। ফলে জগৎটি পড়ে বিব্রতকর অবস্থ্য়া। বলিউড তারকাদের মধ্যে যাঁদের নাম জড়িয়েছে মাদক সেবনের সঙ্গে তাঁদের  কথা তুলে ধরেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর নায়িকা রিয়া চক্রবর্তীকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) গ্রেফতার করে। তদন্ত করে রিয়াসহ মাদক কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় ১৮ জনকে।

ভারতী সিং

কৌতুক অভিনেত্রী ভারতী সিংকে গত বছর গ্রেফতার করে মুম্বাইয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্যরা। তিনি গাঁজা সেবনের কথা স্বীকার করেন। তাঁর বাড়ি থেকে ৮৬ দশমিক ৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

রণবীর কাপুর

স্কুল জীবন থেকেই নাকি মাদক সেবনের অভ্যাস রণবীর কাপুরের। চকলেটবয়কে নাকি রিহ্যাবেও যেতে হয়েছিল। এমনকি গাঁজার নেশার কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেন রণবীর।

সুজান খান

হৃত্বিক রোশনের সাবেক স্ত্রী সুজান খানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। হৃত্বিকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর নাকি চরম অবসাদগ্রস্ত হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সুজান।

সঞ্জয় দত্ত

বলিউড তারকা সঞ্জু বাবা নিজে স্বীকার করেছিলেন মাদক চক্রে জড়িয়ে পড়ার কথা। ক্যারিয়ারে সঞ্জয় দত্তের ক্ষতির মূল জায়গাই নাকি এই মাদক।

হানি সিং

বলিউডের র‌্যাপার হানি সিংহ। তিনি বহুবার রিহ্যাবে গিয়েছিলেন মাদকাসক্তি থেকে রেহাই পেতে। গাঁজা, কোকেন, হেরোইন সবরকম মাদক সেবনেরই নাকি অভ্যাস আছে হানির।

গৌরী খান

বলিউড বাদশা কিং খান শাহরুখের স্ত্রী গৌরী। বার্লিন বিমানবন্দরে নাকি ধরা পড়েছিলেন সঙ্গে মারিজুয়ানা ছিল বলে।

ফারদিন খান

ফারদিন কোকেন থেকে হেরোইন- সবরকম মাদকেই আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই আসক্তি ছাড়ার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। মাদক থাকার অভিযোগে তিনি গ্রেফতারও

হয়েছিলেন।

মনীষা কৈরালা

মনীষাও নাকি ভয়ংকর মাদক সেবন করতেন। তবে ওভারির ক্যান্সার ধরা পড়ার পর সেই অভ্যাস ত্যাগ করেন।

মমতা কুলকার্নি

মমতা এবং তাঁর স্বামী ভিকি দুজনের বিরুদ্ধেই মাদক রাখার অভিযোগ ছিল। তাঁদের নাম জড়িয়েছিল মাদক পাচারের সঙ্গেও। গ্রেফতারও হয়েছিলেন মমতা। মমতার বলিউড ক্যারিয়ার নষ্টের মূল কারণও নাকি এটাই।

পারভিন ববি

ড্রাগ ওভারডোজ বা অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই নাকি প্রাণ হারান পরভিন ববি। একাকিত্বের কারণেই নাকি বেছে নিয়েছিলেন মাদক।

মীনা কুমারী

বিবাহবিচ্ছেদের পর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন  মীনা কুমারী। ভালোবাসা ভুলতে আকণ্ঠ মদ্যপান। জনপ্রিয়তার শিখরে থাকতে থাকতেই মাত্র ৩৯-এ ফুরিয়ে যাওয়া ট্র্যাজিক নায়িকা মীনা কুমারীও নাকি মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

রাভিনা ট্যান্ডন

অক্ষয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন রাভিনা। তখন নাকি গাঁজা ও অন্য মাদক সেবন করতেন। এদিকে সম্প্রতি মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকেই একহাত নিলেন রাবিনা ট্যান্ডন। তাঁর দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া মাদক আসতে পারে না। মাদক নিয়ে শুধু তারকাদেরই সফট টার্গেট করা হচ্ছে।

কপিল শর্মা

বলিউডের ক্যারিয়ারে সংকটের মুখোমুখি হয়েছিলেন কপিল শর্মা। বিখ্যাত এই কৌতুকাভিনেতাও অবসাদ ভুলতে নাকি মাদকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। নিয়মিত গাঁজা খেতেন কপিল।

দীপিকা পাড়ুকোন

মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে শীর্ষ নারী তারকা দীপিকার নামও। মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) জিজ্ঞাসাবাদে দীপিকার ম্যানেজার কারিশমা জানিয়েছেন, মাদকবিষয়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ‘ডি’ মানে দীপিকা এবং তিনি ওই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন। এনসিবির জেরার মুখে মাদকবিষয়ক একটি গ্রুপে দীপিকার অ্যাডমিন থাকার কথা স্বীকার করেন অভিনেত্রীর ম্যানেজার কারিশমা।

শিল্পা শেঠি

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তদন্তে নেমে মাদক চক্রের যোগ প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়েছে অনেকের। কঙ্গনা রানাওয়াত সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্টভাবে দাবি তুলেছেন দুই রণবীরের ড্রাগ পরীক্ষার। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর ভাইকেও। নাম জড়াচ্ছে শিল্পা শেঠির পরিবারেরও। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) গ্রেফতার করে বলিউড তারকা সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে।

সারা, রাতুল, শ্রদ্ধা, দিয়া

সুশান্তের সঙ্গে বসেই নাকি মাদক সেবন করতেন সারা ও রাতুল। সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রাতুল প্রীত সিং, সিমোন খামবাট্টা, দিয়া মির্জাকেও সমন পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোতে ডাকা হয় দিয়াকে। মাদক পাচারকারী অঙ্কুশ আর অনুজ কেশওয়ানিকে জেরার সময়ই দিয়ার নাম উঠে এসেছে। দিয়ার এই ম্যানেজার অনুজের প্রেমিকা। গত বছর থেকে তিনিই নিয়মিত দিয়াকে মাদক পৌঁছে দিতেন। এমনকি দুবার মাদক পাচারকারিদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন দিয়ার ব্যবস্থাপক। তাঁকে সমনও পাঠানো হয়।