শিরোনাম
শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

অনেকেই জানতেন না আমি দেশে থাকি

অনেকেই জানতেন না আমি দেশে থাকি

সুমাইয়া শিমু

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু। দীর্ঘদিন ধরেই নাট্যাঙ্গনে এই ভার্সেটাইল অভিনেত্রীর স্বপ্রতিভ বিচরণ। মাঝে কিছু সময় বিরতি নিয়ে আবারও  অভিনয়ে নিয়মিত হচ্ছেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আজ তাঁর সাক্ষাৎকার- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? লকডাউনে সময় কেমন কাটছে?

জি, এখন পর্যন্ত ভালো আছি। আর লকডাউনে তো বাইরে বের হচ্ছি না। না হওয়াই ভালো। এ নির্দেশনা তো আমাদের সবার ভালোর জন্যই। তাই সবার মেনে চলা উচিত। অফিসের বেশির ভাগ কাজ আমি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার চেষ্টা করছি। সর্বাত্মক চেষ্টা করছি বাইরে যেন না যেতে হয়।

 

লকডাউন ঘোষণার আগে তো একটি নাটকে অভিনয় করেছেন?

হুম, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের রচনা ও নির্মাণে ‘লাইফলাইন’। এটি প্রেমের গল্প নিয়ে। আমার বিপরীতে মুশফিক আর ফারহান ছিলেন।

 

ঈদের জন্য আরও কাজের প্ল্যান ছিল না?

প্ল্যান তো ছিল আরও কিছু কাজ করার। কিন্তু এই যে লকডাউন! যদি লকডাউনের মধ্যেও শুটিং করার বাধ্যবাধকতা না থাকে, নিরাপত্তা নিয়ে করা যায়-তাহলে ঈদের জন্য আরও কিছু কাজ করতে পারি। 

 

এত দিন পর কেন এই অভিনয়ে ফেরা?

হ্যাঁ, অনেক দিন পর! প্রায় তিন বছর হবে। যদিও করোনার শুরুর দিকে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছিলাম; সেটিও কয়েক দিন করার পর বন্ধ হয়ে গেলে আর করাই হয়নি। এত দিন কেন অভিনয়ে ফেরা- তার বিশেষ কোনো কারণ নেই। তবে, অনেকেরই অজানা ছিল আমার সম্পর্কে। তাঁরা ভেবেছিলেন, আমি বিদেশে চলে গেছি, অভিনয় আর করছি না! তাই তাঁরাও যোগাযোগ করেননি আর আমারও নিজে থেকে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিছু দিন আগে একটি প্রোগ্রামে নির্মাতা শাওকির সঙ্গে দেখা হলে তিনি তো অবাক হয়ে বললেন, ‘আমি তো জানিই না আপনি দেশে থাকেন। আপনাকে নিয়ে তো অনেক কাজের প্ল্যান ছিল।’

 

দেশ-বিদেশের অসংখ্য শিমুভক্ত রয়েছেন, যাঁরা আপনার অভিনয়কে মিস করেন...

সত্যিই তাই। আমার ফ্যান পেজের পোস্টের হাজার হাজার কমেন্টের মধ্যে বেশির ভাগ কমেন্টই থাকে, কেন আমি নিয়মিত কাজ করছি না! কমেন্টে তাঁরা আমাকে নিয়ে ভালো লাগা শেয়ার করেন। তবে আমি ধন্যবাদ দেব যে, তাঁরা কখনই আমাকে নিয়ে বাজে কমেন্ট করেন না।

 

দীর্ঘ সময়ে অনেক কাজ করলেও সেগুলো প্রচারের অভাবে সামনে আসেনি। কারণটা কী?

এটা অবশ্য এবার কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আগে অনেক কাজ করলেও ব্যস্ত থেকেছি শুটিং নিয়ে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে কম সময় দিয়েছি। তখন প্রচার নিয়ে ভাবিনি, তবে এখন ভাবার সময় এসেছে। সে জন্যই নিজেকে আপডেটেড করার চেষ্টা করছি।

 

তাহলে অভিনয়ে এবার নিয়মিত হচ্ছেন...

হুমম... আবারও নিয়মিত কাজ করব। ২৫ থেকে ২৬ দিন না হলেও নিয়মিত অভিনয় করার চেষ্টা থাকবে।

 

এখন তো ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের সময়। এই মাধ্যমে কি নিয়মিত দেখা যাবে আপনাকে?

আমার অভিনয়ের ক্ষুধা আছে। অভিনয়টাই ঠিকমতো করতে চেয়েছি সবসময়; এখনো চাই। অভিনয় থেকে যেমন নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই না, তেমনি চাই না দর্শকও আমার অভিনয় দেখা থেকে বঞ্চিত হোক। আমি যেহেতু অভিনয় করি, তাই অভিনয়ের সব মাধ্যমেই কাজ করতে চাই।

 

নির্মাণে আসার ইচ্ছা রয়েছে কি?

আমি আসলে অভিনয়টাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। ডিরেকশন, রাইটিং নিয়ে সেভাবে চিন্তা করিনি। ভবিষ্যতে হলেও হতে পারে; এখন বলতে পারছি না। 

 

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কোনো সুখবর...

অনেক চলচ্চিত্রের অফার এসেছিল আগে। তখন ফ্যামিলি ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে করতে পারিনি। আমি যে ধরনের চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই তা যেহেতু এখন হচ্ছে, তাই করতে সমস্যা নেই। ভালো অফার হলে অবশ্যই করব।

 

আপনার বেটার ফিউচার ফর ওমেন-এর কার্যক্রম কেমন চলছে?

অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, পরিচিতি, পড়াশোনা ও গবেষণা মিলিয়ে মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়াস থেকেই গড়েছি এই প্রতিষ্ঠান। এটি একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন। এখানে নারীরা অনেক সমস্যার কথা শেয়ার করেন। আমিও তাদের সমস্যা মন দিয়ে শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি। নারীদের জন্য কর্মসংস্থান এবং নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য দক্ষতা তৈরি করা, নারীদের জন্য তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা, নারীদের জন্য ই-লার্নিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা, সর্বোপরি নারীদের জন্য একটা উন্নত ভবিষ্যৎ তৈরি করাই ‘বেটার ফিউচার ফর ওমেন’-এর মূল কাজ। একই সঙ্গে আমি কমিউনিকেশন নিয়েও কিছু কাজ করছি আমার প্রতিষ্ঠিত ‘বেটার ফিউচার কমিউনিকেশন লিমিটেড’-এর অধীনে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান দেশে-বিদেশে কিছু ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করছে। যেমন ‘কমনওয়েলথ অব লার্নিং’র জন্য নানা ধরনের কমিউনিকেশন সহায়তা দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান।

 

এখনো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে কি মিস করেন?

চিরচেনা সেই ক্যাম্পাসকে প্রচুর মিস করি! অনেক স্মৃতি রয়েছে ক্যাম্পাসটি ঘিরে।  এখনো সেগুলো মনে পড়ে।

সর্বশেষ খবর