মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ - কুসুম সিকদার

অভিনয়ে ফেরা নির্ভর করছে মুডের ওপর

অভিনয়ে ফেরা নির্ভর করছে মুডের ওপর

লাখো ভক্তের হৃদয় হরণকারী লাক্সসুন্দরী কুসুম সিকদার। একাধারে তিনি একজন মডেল, অভিনেত্রী, গায়িকা, কবি ও লেখক। সব্যসাচী এই তারকা অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও লেখালেখি, আবৃত্তি ও গান গাওয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপনে- পান্থ আফজাল

 

লকডাউনে কীভাবে সময় কাটছে?

লকডাউনে নিজের মতোই থাকছি। আসলে পাবলিকলি বলার মতো কিছুই করছি না।

 

এর আগে করোনায় কর্মহীন মেকআপ শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার অসহায় শিল্পীদের পাশে কীভাবে আছেন?

এবার কিছু করিনি। শুনেছি লকডাউনের মধ্যেও শুটিং চলছে স্পেশাল পারমিশন নিয়ে। সবাই মোটামুটি কাজ করছেন, উপার্জন করছেন।

 

অভিনয়ে বিরতি কেন?

কারণ তো নিশ্চয়ই আছে!

 

নাটক-ওয়েব সিরিজে কবে দেখতে পাব?

অফার আসে প্রায়ই। শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘না’ বলে দেই। যদিও খুবই কষ্ট হয় না বলতে। কারণ ক্যামেরা ও অভিনয় মিস করি। ঠিক কবে আবার অভিনয়ে ফিরব তা নির্ভর করছে নির্মাতা, গল্প আর শুটিং লোকেশনের ওপর। আর বাকিটা আমার মুডের ওপর।

 

নতুন কোনো চলচ্চিত্র করার প্ল্যান রয়েছে?

এখনো নেই।

 

নাটক, শর্টফিল্ম, ওয়েব কনটেন্ট বা চলচ্চিত্রের জন্য গল্প লেখার পরিকল্পনা রয়েছে?

আমার লেখা গল্পগুলো দিয়ে কিন্তু মুভি বানানো সম্ভব।

 

আপনি নিজের লেখা কবিতা ‘জলকন্যা’ আবৃত্তি করেছেন আরেক ইউটিউব প্ল্যাটফরমে। আপনার ইউটিউব চ্যানেল আসবে কবে?

বাহ, আপনি তো দেখি আমার সব খবরই রাখেন! ‘জলকন্যা’ চ্যানেল আই ইউটিউব আর ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছিল। আর আপাতত আমার কোনো ইউটিউব চ্যানেল নেই। করলে তা জানাব সবাইকে।

 

ডিজিটাল প্ল্যাটফরম কতখানি সম্ভাবনার?

এটা অলরেডি প্রমাণিত যে, দর্শক ওটিটিই বেশি দেখছেন। ওটিটি অনেক সম্ভাবনার।

 

গান করছেন; প্রকাশ করছেন কিছু মিউজিক ভিডিও। চার বছর পর শুটিং করলেন নিজের লেখা ও গাওয়া ‘মরীচিকা’র। পাইপলাইনে আর কোনো গান আছে কি?

হা হা হা...আগে ‘মরীচিকা’ শেষ করি! লকডাউনের জন্য এখনো ‘মরীচিকা’র সম্পাদনা শুরু করতে পারিনি।

 

গল্পকার হিসেবেও আপনার সুখ্যাতি রয়েছে। লেখালেখির কী খবর?

এখনো নতুন কোনো প্ল্যান নেই। তবে আবার নতুন করে লেখা শুরু করব। আর আমার ১০ জন নির্বাচিত বিজয়ী পাঠকের সঙ্গে ডিনারের প্ল্যান ছিল। তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি কভিড পরিস্থিতির কারণে।

আর লেখা শুরু করতে পারলে বই বের করার প্ল্যান করতে পারব। 

 

নিজেকে কবি, লেখক, অভিনেত্রী নাকি গায়িকা-কোনটা ভাবতে বেশি পছন্দ করেন?

এটা আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম! কীভাবে আমাকে দেখতে বেশি পছন্দ করেন?

 

নির্মাণে আসার কোনো ইচ্ছে আছে?

হা হা হা...আরও একটি পরিচয় চান নাকি!

 

জনপ্রিয়তাকে ফেসবুক ফলোয়ার আর ইউটিউব ভিউ দিয়ে পরিমাপ করা হয় একজন শিল্পীকে। আপনার কাজে এই বিষয়টি কতটা প্রাসঙ্গিক?

এটা ঠিক। যারা ফলো করছে বা যারা নাটক-সিনেমা দেখে ভিউ বাড়াচ্ছে, তারাই  তো দর্শক; তারাই তো ভক্ত! মাধ্যমটা পরিবর্তিত হয় ইচ্ছেমতো। আগে সবাই টিভি দেখত বা হলে যেত বা ম্যাগাজিন- পেপার থেকে প্রিয় তারকার ছবি কেটে রেখে জমাত। এখন তো মোবাইল-ল্যাপটপে সব দেখে তারকাদের।

 

দেশীয় সিনেমা নিয়ে ভাবনা কী?

দেশের চলচ্চিত্র জগতের দুরবস্থা কাটাতে আরও ভালো গল্পের ও নির্মাণের ছবি হওয়া উচিত। নিম্নমানের কাজ করলে ইন্ডাস্ট্রির ইমেজ নষ্ট হয়, যা ফিরে পাওয়া কঠিন। এই থিওরি নিজের ক্ষেত্রেও কঠোরভাবে মেনে চলি আমি।

 

‘শঙ্খচিল’র জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনে কেমন লেগেছিল?

এটা আমার কাজের স্বীকৃতি। কম কাজের পরও এত এত মানুষের ভালোবাসা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। মানুষের ভালোবাসা আর পুরস্কার-দুয়ে মিলে শতভাগ থাকলে জীবন পরিপূর্ণ হতে বাধ্য।

 

সংসার কেমন চলছে?

আলহামদুলিল্লাহ! সব ঠিকঠাক।

সর্বশেষ খবর