বিশ্বজুড়ে চলে আসছে হলিউড তারকাদের রাজত্ব। প্রিয় তারকাদের ছবি দেখতে সিনেমা হলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে দর্শক। মুখিয়ে থাকে তাদের দক্ষ মনকাড়া অভিনয় দেখতে। হলিউডের এ সময়ের আলোচিত তারকার কথা গ্রন্থনা করেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ
টম ক্রুজ
মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেছিলেন টম ক্রুজ। কোনো ট্রেনিং ছাড়াই তিনি অভিনয় করেছেন টপ গান, মিশন ইম্পসিবল, ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডসের মতো দুর্দান্ত সব ছবিতে। হলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের একজন তিনি। ‘টপ গান’ বা ‘মিশন ইম্পসিবল সিরিজ’ থেকে অভিনেতা হিসেবে টম ক্রুজের সিগন্যাচার ফিল্ম। এগুলো দিয়েই দর্শকের মাথায় ঢুকে গেছেন তিনি। ছবিপ্রতি পারিশ্রমিক নেন সাড়ে ৩ কোটি ডলার।
জনি ডেপ
মিউজিশিয়ান হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ায় এসেছিলেন জনি ডেপ। এক বন্ধুর মাধ্যমে হলিউডের ‘অ্যা নাইটমেয়ার অন এলম স্ট্রিট’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান, চার্লি অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরি, অ্যালিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড, ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস-এর মতো অসাধারণ সব ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। অথচ অভিনয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তার।
লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও
ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করতে করতে বেশ পাকা হয়ে গেছেন অভিনয়ে। ছোটবেলায় ‘টার্মিনেটর’, আরেকটু বড় হয়ে ‘টাইটানিক’ আর ২০১৩ সালের ‘উলফ অব ওয়ালস্ট্রিট’ ছবিতে বিচিত্র সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো। ছবিপ্রতি তিনি নেন ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র
বয়স ৫২ হলেও থেমে নেই তার গতি। প্রতি ছবিতে সাড়ে ৭ কোটি ডলার নেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। মা-বাবা দুজনেই ছিলেন ছবির জগতের মানুষ। দুজনেই অভিনয় করতেন। তাই সে গুণটা ভালোই রপ্ত করেছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। ২০১১ থেকে প্রতি বছর একটা করে ছবি করেছেন। শার্লক হোমস, আয়রন ম্যান বা অ্যাভেঞ্জার সব ছবিই দারুণভাবে ব্যবসা সফল। তাই বছরে একটা ছবির জন্য ডাউনির পেছনে টাকা ঢালতে মোটেও আপত্তি নেই প্রযোজকদের।
চ্যানিং টটাম
প্রতি ছবিতে গুনে গুনে ৬ কোটি ডলার দিতে হয় চ্যানিং টটামকে। এ বছর এক হালি ছবি মুক্তি পাবে তার। গত বছর টোয়েন্টি টু জাম্প স্ট্রিট এবং তার আগের বছর ডন জন ছবি দুটো ভালোই ব্যবসা করেছে। ন্যায্য পারিশ্রমিক চাইতে তাই কোনো বাধা নেই টটামের। কমেডি, অ্যাকশন কিংবা রোমান্টিক সব চরিত্রেই মানানসই তিনি।
হিউ জ্যাকম্যান
এক্স ম্যান নামেই বিখ্যাত তিনি। অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা, গায়ক ও প্রযোজক। একসঙ্গে অনেক কাজের কাজি। ছবিপ্রতি নেন সাড়ে ৫ কোটি ডলার মাত্র। লা মিজারেবল ছবিতে তার গানের প্রশংসা করেছেন সবাই।
মার্ক ওয়েলবার্গ
৫ কোটি ২০ লাখ ডলার নেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই পেয়েছেন ‘মাথা গরম’ অভিনেতার তকমা। সাংবাদিকদের সঙ্গে দফারফা হয়েছে কয়েকবার। তবু অভিনয়ে কখনো মাথা গরম করেননি। থ্রিলার বা অ্যাকশন ছবিতে তার ঠাণ্ডা মাথার অভিনয় সবাইকে বশ করেছে।
ডয়্যান জনসন
অভিনয়ে আসার আগে ছিলেন রেসলার। সেই জনপ্রিয়তার জোরে যাত্রা শুরু করেন হলিউডে। ডয়্যান জনসন রেসলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন দ্য রক নামে। ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিরিজে অভিনয় করে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। পারিশ্রমিকটাও তাই ছবিপ্রতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
অ্যাডাম স্যান্ডলার
প্রযোজক, সংগীত পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা। একসঙ্গে অনেক গুণের অধিকারী তিনি। অভিনেতা হিসেবে বেশি চেনে লোকে। ফিফটি ফার্স্ট ডেটস, হ্যাপি গিলমোর, দ্য ওয়াটারবয়, বিগ ড্যাডি এবং ওয়েডিং সিঙ্গার ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। প্রতি ছবিতে ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক নেন তিনি।
ডেনজেল ওয়াশিংটন
৬৩ বছর বয়সে মোটেও ক্লান্ত নন ডেনজেল ওয়াশিংটন। খুব ভেবেচিন্তে ছবি করেন। তবে যে ছবি হাতে নেন সেটা বাজিমাত করবেই বলা যায়। গত বছর ‘দ্য ইকুয়ালাইজার’ ছবিতে অ্যাকশন এবং অভিনয় দিয়ে মাত করেছিলেন। উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘আমেরিকান গ্যাংস্টার’, ‘ট্রেনিং ডে’, ‘ম্যান অন ফায়ার’।
জোয়াকিন ফোনিক্স
একটা সময়ে পরিবারের খরচ জোগাতে ভাইয়ের সঙ্গে রাস্তায় গান গেয়ে বেড়াতে হতো ‘জোকার’ খ্যাত জোয়াকিনকে। আইরিশ বুর্টন নামের একটি এজেন্সির নজরে আসেন তিনি। এরপর সুযোগ পেয়ে যান টিভি বিজ্ঞাপন ও শোতে। অভিনয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও জোয়াকিনের অভিনয় দর্শককে হাসায়-কাঁদায়। তিনি হলিউডের সেরা অভিনেতাদের একজন।
হিথ লেজার
রুপালি পর্দায় ‘জোকার’ চরিত্রে অভিনয় করে পুরো বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন হিথ লেজার। ১৭ বছর বয়সে স্কুল পালিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে সিডনিতে আসেন। এরপর টিভি সিরিজের ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তারপর হলিউডে সুযোগ পেয়ে যান।