শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

১০ বছরে ৭৪ ছবিকে অনুদান ৪৯টির খবর নেই

আলাউদ্দীন মাজিদ

১০ বছরে ৭৪ ছবিকে অনুদান ৪৯টির খবর নেই

চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান নিয়ে নয়ছয়ের শেষ নেই। বাংলাদেশ সরকার মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে ১৯৭৬-৭৭ সাল থেকে চলচ্চিত্রে অনুদানের প্রথা চালু করে। এ পর্যন্ত ১৪১টি ছবি অনুদান পায়। এর মধ্যে অর্ধশতাধিকেরও বেশি ছবি আলোর মুখ দেখেনি। কমপক্ষে গত ১০ বছরের চিত্রে দেখা যায়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে অনুদান দেওয়া হয়েছে ৭৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। মুক্তি পেয়েছে মাত্র ২৫টি, মুক্তি পায়নি ৪৯টি।

চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান মানেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে টাকাটা মেরে দেওয়া। সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান দিয়েই যেন দায়িত্ব শেষ। তদারকির কোনো বালাই নেই। মাঝে একবার সময়মতো অনুদানের ছবি নির্মাণ করতে না পারা কয়েকজন নির্মাতার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল, ব্যস ওই পর্যন্তই। খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে পার পেয়ে যান অভিযুক্তরা। গত বছর এক নির্মাতাকে গ্রেফতার করা হয়, পরে আবার তাঁকে জামিনও দেওয়া হয়। গত বছরই অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণে নতুন কিছু শর্ত আরোপ করে সরকার। চলচ্চিত্রকাররা বলছে শুধু শর্ত আরোপ করে বসে থাকলে চলবে না। যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা না করলে চলচ্চিত্র নির্মাণে দেওয়া সরকারি অর্থ মেরে খাওয়া চলতেই থাকবে। বাংলাদেশ সরকার মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে ১৯৭৬-৭৭ সাল থেকে চলচ্চিত্রে অনুদানের প্রথা চালু করে। চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালায় বলা আছে, অনুদানের প্রথম চেক প্রাপ্তির নয় মাসের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হবে। তবে বিশেষ অবস্থায় অনুরোধ সাপেক্ষে পরিচালক ওই সময় বৃদ্ধি করতে পারেন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক নির্মাতা ছবি নির্মাণে বছরের পর বছর সময় পার করছেন। মন্ত্রণালয়ের একশ্রেণির কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশের কারণে তাঁরা এ ধরনের কাজ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে নির্মাতাদের কোনো ধরনের জবাবদিহি করতে হয় না। অনুদানের অর্থ নিয়ে সময়মতো ছবি নির্মাণ না করায় গত বছর টোকন ঠাকুরসহ বেশ কজন নির্মাতার নামে মামলাও হয়েছে এবং গ্রেফতার হন টোকন ঠাকুর। তাঁকে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ‘কাঁটা’ ছবির জন্য অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু সময়মতো ছবিটির নির্মাণকাজ শেষ করেননি তিনি। পরে অবশ্য আবার জামিনও পেয়ে যান। অনুদান নিয়ে ছবি জমা না দেওয়ার রেওয়াজটা শুরু হয় প্রথম অর্থবছর থেকেই। চারটি ছবির একটিও সময়মতো মুক্তি দিতে পারেননি নির্মাতারা। মসিহউদ্দিন শাকের-শেখ নিয়ামত আলীর ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’ মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে, বাদল রহমানের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ মুক্তি পায় ১৯৮০ সালে। কবির আনোয়ারের ‘তোলপাড়’ মুক্তি পায় অনুদান পাওয়ার এক দশক পর, ১৯৮৮ সালে। বেবী ইসলামের ‘মেহেরজান’ আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। ২০১১-১২ অর্থবছরে ‘নেকড়ে অরণ্য’র জন্য প্রথম কিস্তির টাকা গ্রহণ করার পরও ছবির কাজ শুরু করতে না পারায় মারুফ হাসান আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করে তথ্য মন্ত্রণালয়। অভিযোগ রয়েছে, অনুদানের টাকা দিয়ে তিনি জমি কিনেছেন। শিশুতোষ ছবি ‘একা একা’র জন্য অর্থ বরাদ্দ পেয়েছিলেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। ছবি নির্মাণ না করায় গুণী এই নির্মাতার বিরুদ্ধেও অর্থ আদায়ের জন্য মামলা করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে নির্মাতা তারেক মাসুদ ‘কাগজের ফুল’-এর জন্য অনুদান পান। প্রথম কিস্তির অর্থ পাওয়ার পর সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে প্রযোজক ক্যাথরিন মাসুদ অর্থ ফেরত দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় ছবিটি নির্মাণের অনুরোধ করে ক্যাথরিনকে। সেই ছবি আজও নির্মাণ হয়নি। একই বছর অনুদান পাওয়া নার্গিস আক্তারের ‘যৈবতী কন্যার মন’, টোকন ঠাকুরের ‘কাঁটা’ মুক্তির মুখ দেখেনি এখনো। ‘কাঁটা’ নির্মাণ না করায় টোকন ঠাকুরের বিরুদ্ধে ও ‘যৈবতী কন্যার মন’-এর জন্য নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করে তথ্য মন্ত্রণালয়। পরে নার্গিস আক্তার সময় চেয়ে গত বছর ছবিটির নির্মাণকাজ শেষ করলেও করোনার কারণে এখনো মুক্তি দিতে পারেননি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মুক্তি পায়নি ড্যানি সিডাকের ‘কাঁসার থালায় রূপালী চাঁদ’ ও জাঁ নেসার ওসমানের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘পঞ্চসঙ্গী’। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মুক্তি পায়নি ‘বিউটি সার্কাস’। নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মুক্তি পায়নি সারা আফরীনের ‘শঙ্খধ্বনি’। এটি পরে ‘শিকলবাহা’ নামে নির্মিত হচ্ছিল।  পরিচালনা করছেন কামার আহমাদ সাইমন। লোরা তালুকদার প্রযোজিত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ সেন্সর ছাড়পত্র পেলেও এখনো মুক্তি পায়নি। নির্মাতা পান্থ প্রসাদ ‘সাবিত্রী’র শুটিংই শেষ করেননি। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে কিছু শুটিং হয়েছে শবনম ফেরদৌসীর ‘আজব সুন্দর’ ছবিটির। এ ছবির নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘আজব কারখানা’। কাজ হয়নি কমল সরকারের ‘দায়মুক্তি’ ছবির। সোহানুর রহমান সোহানের ‘প্রিয় জন্মভূমি’ ও ফেরদৌস আলম সিদ্দিকীর প্রামাণ্যচিত্র ‘একজন মরিয়ম’ নির্মাণ আটকে আছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে গাজী রাকায়েতের  ‘গোর’, মানিক মানবিকের আজব ছেলে, আবিদ হোসেন খান (অবলম্বন), সাইদুল আনাম টুটুল (কালবেলা) ও হাবিবুর রহমানের (অলাতচক্র)। ‘অবলম্বন’ শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রের জন্য অনুদান পান রুবাইয়াত হোসেন। গোর আর অলাতচক্র ছাড়া অন্যগুলোর খবর নেই। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সরকারি অনুদান পান চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ও পরিচালক কবরী, অভিনেতা মীর সাব্বির ও হৃদি হক। এ ছাড়া অনুদান পেয়েছেন আকরাম খান, হোসনে মোবারক রুমি। মীর সাব্বিরের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রাত জাগা ফুল’। হৃদি হক সময়মতো নির্মাণ শেষ করতে পারেননি ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ ছবির। কবরী নির্মাণ করছিলেন ‘এই তুমি সেই তুমি’। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুকে থমকে যায় ছবিটির নির্মাণ। ‘বিধবাদের কথা’ নামে সিনেমা নির্মাণ করছিলেন আকরাম খান। হোসনে মোবারক রুমি নির্মাণ করছিলেন ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় হুমায়রা বিলকিসের নির্মাণ করার কথা ছিল ‘বিলকিস এবং বিলকিস’ ও পূরবী মতিন ‘মেলাঘর’। শিশুতোষ শাখায় আবু রায়হান মোহাম্মদ জুয়েল নির্মাণ করছিলেন ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’। পরে জুয়েল ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ নাম পরিবর্তন করে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ হিসেবে ছবিটির শুটিং প্রায় শেষ করেন। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ শিরোনামে চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা অনুদান পান চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার। ‘কাজলরেখা’ শিরোনামে চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পান গিয়াস উদ্দিন সেলিম। বদরুল আনাম সৌদ ‘শ্যামা কাব্য’ চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পান। তালিকায় আরও আছে প্রদীপ ঘোষের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, এম এন ইস্পাহানির প্রযোজনা ও ইস্পাহানি আরিফ জাহানের পরিচালনায় ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘গাঙকুমারী’, অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনা ও সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’, রওশন আরা রোজিনার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’, তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের প্রযোজনা ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় ‘আশীর্বাদ’, ইফতেখার আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘লেখক’, আবদুল মমিন খানের প্রযোজনা ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে অনুদান পেয়েছে পংকজ পালিতের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘একটি না বলা গল্প’, অনম বিশ্বাসের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফুটবল ৭১’ ও এস এ হক অলিকের ‘যোদ্ধা’ ছবি তিনটি। শিশুতোষ দুটি চলচ্চিত্রে আমিনুল হাসান লিটুর প্রযোজনা ও আউয়াল রেজার পরিচালনায় ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও নুরে আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ ছবি দুটি অনুদান পেয়েছে। এসবের মধ্যে কিছু ছবি শুটিংয়ে গেলেও বেশির ভাগেরই কোনো খোঁজ নেই। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে মোট ২৫টি চলচ্চিত্রকে অনুদান প্রদান করে সরকার। তালিকা প্রকাশের এক বছর ২ মাস পার হওয়ার পরও কোনো নির্মাতাই এখন পর্যন্ত ছবির সেন্সর ছাড়পত্র জমা দিতে পারেননি। কিন্তু নির্মাণ শেষ করে নয় মাসের মধ্যে ছবির সেন্সর ছাড়পত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে মোট ২৫টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ইতিমধ্যেই মাত্র পাঁচটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। দৃশ্যধারণ শেষ হওয়া এই পাঁচটির মধ্যে রয়েছে নায়িকা রোজিনার ‘ফিরে দেখা’, ইস্পাহানি-আরিফ জাহানের ‘হৃদিতা’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আশীর্বাদ’, বন্ধন বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’ ও ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’।  ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্যরে মধ্যে উল্লিখিত পাঁচটির শুধু শুটিং শেষ হলেও সেন্সরে জমা দেওয়ার উপযোগী বাকি ছবির কাজ এখনো শেষ করতে পারেননি নির্মাতারা। অন্যদিকে বাকি ১১টির মধ্যে বেশির ভাগেরই শুটিংয়ের কাজও এখনো শুরু করতে পারেননি তাঁরা।

অনুদানের নীতিমালা ভেঙে করোনাকে নির্মাতারা দায়ী করলেও এই করোনায় গত এক বছরের মধ্যে থেমে নেই নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিং। এ প্রসঙ্গে উক্ত অর্থবছরে অনুদান পাওয়া অন্যতম নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘করোনার কারণে শুটিং শুরু করতে পারিনি। করোনার কারণেই নীতিমালা ভঙ্গ হয়েছে। ইচ্ছা করে আমরা নিয়ম ভঙ্গ করিনি। সময় চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছি। এখনো কোনো উত্তর পাইনি।’

অনুদানের অর্থে ছবি নির্মাণ নিয়ে নয়ছয় করা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মাতা বলেন, ‘একটি ছবি নির্মাণ করতে দেড় বছরের বেশি সময় লাগা উচিত নয়। অনুদান প্রদান কমিটিতে দুর্বলতা থাকতে পারে। তাই অনুদানের ছবির এই বেহাল দশা।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অ্যাকশনে আছি। যে ছবিগুলো এখনো নির্মিত হয়নি, সেগুলো যাতে হয় এ জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। কয়েকজন পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি।’

তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘নেকড়ে অরণ্য’ ছবির জন্য ২০১১-১২ অর্থবছরে অনুদানপ্রাপ্ত পরিচালক মারুফ হাসান আরমান, একই অর্থবছরে ‘একা একা’ চলচ্চিত্রের জন্য সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘যৈবতী কন্যার মন’ চলচ্চিত্রের জন্য নার্গিস আক্তার, একই অর্থবছরে ‘খাঁচা’ চলচ্চিত্রের জন্য খান শরফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরাম ও ‘কাঁটা’ চলচ্চিত্রের জন্য টোকন ঠাকুরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিয়েছিল মন্ত্রণালয়।’

চলচ্চিত্রবোদ্ধারা বলছেন, সরকারি অনুদানের ছবি দেখে কে, কোথায় প্রদর্শন হয়, এসবের নির্মাণকাজ কখন শেষ হয়, আদৌ শেষ হয় কি না এ বিষয়গুলো সরকারসহ কেউই জানে না। মানে সরকারি অর্থ নিয়ে নয়ছয় করার এক বিরাট খাতের নাম হচ্ছে ‘চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান প্রথা’।

এই প্রথা বন্ধ করে ওই অর্থ যাঁরা নিয়মিত ছবি নির্মাণ করেন তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনকে দেড় কোটি টাকা করে দিয়ে শর্ত জুড়ে দেওয়া যেতে পারে। তাঁরা সময়মতো মানসম্মত ছবি নির্মাণ করলে এবং সেই ছবি সফল হলে সেই সব নির্মাতাকে নিয়মিত অনুদান দেওয়া যেতে পারে।

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর কথায়, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান নিয়ে ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার জন্য অবশ্যই নির্মাতাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’

সর্বশেষ খবর