বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার শোবিজ বিভাগে গত ১৪ আগস্ট ‘১০ বছরে ৭৪ ছবিকে অনুদান, ৪৯টির খবর নেই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে অনুদানের ছবি নির্মাণে নানা অনিয়ম বিশেষ করে অনুদানের নীতিমালায় উল্লিখিত সময়সীমা অনুদান প্রাপ্তির পর ৯ মাসের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হবে এ বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়। এ প্রতিবেদনে যারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি তাদের মধ্যে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া নির্মাতা জাঁ নেসার ওসমান ও তার ‘পঞ্চসঙ্গী’র কথাও উল্লেখ ছিল। এ ছবিটি ২০১৯ সালে সেন্সর ছাড়পত্র ও মুক্তি পায়। মানে অনুদানের নীতিমালার সময়সীমার পরে মুক্তি পেয়েছে। এ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ইউটিউবে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে নির্মাতা প্রতিবেদনটি যথাযথ নয় বলে উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানান। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘৪৯টির খবর নেই’ পড়ে তিনি মনে করেছিলেন এতে তার ছবিটির কথাও বলা হয়েছে। এটি তার বোঝার ভুল ছিল। ছবিটির মুক্তির বিলম্ব হিসেবে তিনি অনুদানের কিস্তির টাকা ও এফডিসির অনাপত্তি পত্র পেতে বিলম্ব হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেদনটি তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ ছিল এবং এর জন্য প্রতিবেদক ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি পড়ে প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পাড়ায় প্রতিবেদকের প্রতি তার যে মনোভাব জন্মেছিল তার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।