বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

যেমন আছেন তাঁরা...

যেমন আছেন তাঁরা...

ষাট থেকে নব্বই দশক এমনকি ২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত চলচ্চিত্রের অনেক নামি অভিনেত্রী এখন আর রুপালি পর্দায় নেই বা অনিয়মিত। কোথায় আছেন কেমন আছেন তাঁরা। সে খবরই জানাচ্ছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

শবনম

১৯৯৯ সালে সর্বশেষ ঢাকাই চলচ্চিত্রে দেখা যায় শবনমকে। তিনি অভিনয় করেন কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ ছবিতে। এরপর তিনি আর দেশীয় ছবিতে অভিনয় করেননি। তিনি প্রায়ই কলকাতা বা পাকিস্তানে যাতায়াত করেন। পাকিস্তান টিভির জন্য কিছু নাটকেও কাজ করেছেন। এখন অবশ্য দেশে থাকলে বারিধারার বাসায়ই থাকেন। টিভি দেখেন, বই পড়েন আর ঘরের প্রয়োজনীয় কাজ নিজেই করেন। তিনি  বলেন সেই ষাটের দশক থেকে প্রায় ২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত একটানা অভিনয় করে গেছি। একসময় ভালো ছবির অভাবে কাজ বন্ধ করে দিই। এখন নিজের মতো করে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত আছি, ধর্মকর্ম পালন করছি এই তো।

আনোয়ারা

২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত অভিনয়ে সক্রিয় ছিলেন ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রের আলেয়াখ্যাত অভিনেত্রী আনোয়ারা। ষাটের দশকে চলচ্চিত্রে আসা এই অভিনেত্রীর সর্বশেষ বছরদুয়েক আগে অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হচ্ছে ‘মা’। এখন তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকার মেরাদিয়ার বাসায় অসুস্থ স্বামীর দেখাশোনা নিয়েই ব্যস্ত। এ ছাড়া সংসারের নানা কাজ, নামাজ-রোজায় কাটে তাঁর দিন। ভালো ছবি পেলে অভিনয়ও করেন মাঝেমধ্যে।

শাবানা

১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিনেত্রী শাবানা অভিনীত শেষ ছবি ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। এরপর অবশ্য  যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস জীবন শুরুর পর আর অভিনয়ে ফেরেননি তিনি। সেখানে স্বামী, সন্তান আর নাতি-নাতনিদের নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটছে তাঁর। এখন ঘরের কাজ, নামাজ-রোজা আর টিভি দেখা ও বই পড়ায়ই তাঁর আনন্দ বলে জানান ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই বিউটিকুইন।

সুচন্দা

নব্বই দশকেই অভিনয় ছেড়েছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী  সুচন্দা। এখন বনানীতে পুত্র, কন্যা আর নাতি নাতনিদের সঙ্গেই সময় কাটান। সময় পেলেই চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে ভাইদের কাছে বেড়াতে। করোনার কারণে এখন তেমন বাসা থেকে বের হওয়াও হয় না তাঁর। চলতি মাসের ১৯ তারিখ ছিল জন্মদিন। নাতি-নাতনি আর বোন চম্পাকে নিয়ে জন্মদিনটি পালন করেন তিনি। বাসায় নামাজ-রোজা আর ঘরের কাজ নিয়েই ব্যস্ততা তাঁর। এ ছাড়া বই পড়েন, টিভি দেখেন।

ববিতা

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা সর্বশেষ অভিনয় করেন ২০১৫ সালে ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ ছবিতে। এরপর মানসম্মত গল্পের অভাবে তিনি অভিনয় থেকে দূরে সরেন। ঘরের কাজ, কানাডায় পুত্র অনিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভাইদের কাছে সময় পেলেই ছুটে যান। গত বছরের মার্চ মাসে দেশে করোনা মহামারী দেখা দিলে গুলশানের বাসায় একাকী সময় কাটান তিনি। এক বছরেরও বেশি সময় করোনার কারণে ঘর থেকে বের হননি তিনি। করোনা সংক্রমণের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত কোরবানির ঈদের আগে কানাডায় পুত্রের কাছে চলে যান তিনি। এখন সেখানেই আছেন। অন্যান্য কাজের ফাঁকে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ডিসিআইআই-এর প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বব্যাপী অসহায় শিশুদের কল্যাণেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

রোজিনা

সত্তরের দশকে ‘জানোয়ার’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আসা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা ২০০০ সালের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২০০৫ সালে আবার দেশে ফিরে প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মতিন রহমানের ‘রাক্ষুসী’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এরপর কিছু টিভি নাটকে অভিনয় ও নাটক নির্মাণ করেন তিনি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর আসা-যাওয়া চলতে থাকে। তিনি প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র পরিচালনাও করছেন।  সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই ছবির নাম ‘ফিরে দেখা’। এটিতে অভিনয়ও করছেন রোজিনা। তাছাড়া তাঁর  গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীতে মসজিদ নির্মাণ নিয়েও ব্যস্ত সময় কাটছে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর